২১ জানুয়ারী ১৯৮১ কংগ্রেসী গুন্ডাদের ছোঁড়া বোমার আঘাতে নিহত হন প্রশান্ত পাল ও হকার নিমাই দাস। কংগ্রেসী গুন্ডারা ৮০ দশকে উত্তর-মধ্য কলকাতার একের পর এক ছাত্রাবাসে নিজেদের ঘাঁটি বানিয়ে যত অসামাজিক কাজ কর্ম চালিয়ে যেতো। তার বিরুদ্ধে তখন আবাসিকের ছাত্রদের ব্যাপক ক্ষোভ ছিল। রাজ্যে রাজনৈতিক পালাবদলের পর বিভিন্ন গণআন্দোলন শুরু হয়। দানা বাঁধতে থাকে কংগ্রেসী গুন্ডাদের বিরুদ্ধে ছাত্রদের আন্দোলন।
এই আন্দোলনের ধারাবাহিকতায় ওইদিন প্রশান্ত পাল সহ গণতান্ত্রিক ও বামপন্থী ছাত্ররা কংগ্রেসী গুন্ডাদের বিরুদ্ধে শিয়ালদার রফি আহমেদ ডেন্টাল কলেজের গেটের সামনে জড়ো হয়ে বিক্ষোভ দেখাতে শুরু করেন। অতর্কিতে কংগ্রেসী গুন্ডারা হামলা চালায়। তাদের ছোঁড়া বোমায় সেদিন শহিদের মৃত্যু বরণ করেন প্রশান্ত ও নিমাই দাস।
প্রতি বছরের মতো এ বারও আইসা এই দিনটা যথাযোগ্য মর্যাদার সাথে পালন করে। ডেন্টাল কলেজের সামনে শহিদ বেদিতে পুষ্পার্ঘ্য অর্পণ করে। ১৯৮১-র সেদিনের আন্দোলনের সাথে প্রত্যক্ষভাবে যুক্ত দিবাকর ভট্টাচার্য ও অতনু চক্রবর্তী উপস্থিত ছিলেন। অতনু তার বক্তব্যে সেদিনের ঘটনা ব্যাখ্যা করে বর্তমানে ফ্যাসিবাদের বিরুদ্ধে সর্বাত্মক লড়াইয়ের কর্তব্য তুলে ধরেন। অতনু চক্রবর্তী, বাসুদেব বসু, দিবাকর, প্রবীর দাস, স্বপন রায়চৌধুরী, অশোক সেনগুপ্ত, আইসার রাজ্য সম্পাদক স্বর্ণেন্দু ও জেলা সম্পাদক সৌমেন্দু সহ অন্যান্য আইসা কমরেডগণ উপস্থিত ছিলেন। পরিচালনা করেন অন্বেষা।