২৬ নভেম্বর শ্রমিক সংগঠনগুলির ডাকা ধর্মঘটের ১২ দিনের মধ্যে দিল্লিতে আন্দোলনরত কৃষকদের সমর্থনে কৃষি আইন প্রত্যাহারের দাবিতে ৮ ডিসেম্বর ভারত বনধের ডাক দিয়েছিল কৃষক সংগঠনগুলি। বিজেপি বিরোধী সমস্ত পার্টি, গণ সংগঠনগুলি এই ধর্মঘটকে সমর্থন জানিয়েছিল। কিন্তু এত কম সময়ে ধর্মঘটকে সফল করে তোলার চ্যালেঞ্জ টা মোটেই সহজ ছিলো না। প্রচারের সময় কম ছিল! তবুও ৭ ডিসেম্বরের শিলিগুড়ি শহরে ভ্রাম্যমান প্রচার, ডাবগ্রাম ফকদইবাড়ির প্রচার সভা, জলপাইমোড়ে শক্তিগড় ব্রাঞ্চ কমিটির পক্ষ থেকে কৃষকদের সংহতিতে বিক্ষোভ কর্মসূচী, রাঙাপাণিতে এ আই কে এম সহ কৃষক সংগঠনগুলির যৌথ মিছিলের মধ্য দিয়ে মানুষের কাছে ধর্মঘট সফল করার আহ্বান, কৃষকদের সংহতিতে পাশে দাঁড়ানোর বার্তা নিয়ে যাওয়ার চেষ্টা করা হয়েছে জোরের সঙ্গে।
সাত তারিখের উত্তরকন্যা অভিযানে বিজেপি যতই সংগঠিত লুম্ফেন রাজ, পরিকল্পিত সন্ত্রাস তৈরি করার চেষ্টার মাধ্যম মানুষের নজর ঘুরিয়ে দেওয়ার জন্য উত্তরবঙ্গ বনধ ডাকলেও কৃষক সংহতিতে কৃষি আইন প্রত্যাহারের দাবিতে, কোম্পানি রাজের বিরুদ্ধে ভারত বনধে মানুষের স্বতস্ফূর্ত অংশগ্রহণেই রাঙাপাণিতে রেল অবরোধ ঘোষপুকুর টোলপ্লাজা অবরোধ, শিলিগুড়ি শহরে বনধের সমর্থনে মিছিল হয়। রাঙাপাণিতে রেল অবরোধের সময় আরপিএফ কর্মীদের সমর্থন, রেল বেসরকারীকরণে তাদের উদ্বেগ উল্লেখযোগ্য।
রাঙাপাণির রেল অবরোধে এআইকেএম জেলা সম্পাদক পবিত্র সিংহ, শরত সিংহ, পৈষানজু সিংহ, নেমু সিংহ, পঞ্চা বর্মণ, দীপক ঘোষ প্রমুখ নেতৃত্ব দেন। সিআইটিইউ-র পক্ষে উপস্থিত ছিলেন সমন পাঠক, কমরেড সুদীপ সহ এআইকেএস-র স্হানীয় নেতৃত্ব। ঘোষপুকুর টোলপ্লাজা অবরোধে ছিলেন জেলা সম্পাদক অভিজিত মজুমদার, কৃষ্ণপদ সিংহ, নেমু সিংহ, দীপক ঘোষ প্রমুখ। ছিলেন সিআইটিইউ-র সমন পাঠক, এসএফআই-এর সাগর শর্মা।
অভিজিত মজুমদার, সমন পাঠক, জীবেশ সরকার, মোজাম্মেল হক, রামজী প্রমুখর নেতৃত্বে ধর্মঘটের সমর্থনে একটি মিছিল হিলকার্ট রোড শিলিগুড়ি প্রধান রাস্তাগুলি পরিক্রমা করে। শ্লোগান ওঠে কৃষক বিরোধী সরকার, আর নেই দরকার। সবমিলিয়ে উত্তরের শিলিগুড়ি শহর সহ সন্নিহিত গ্রামাঞ্চলে বনধ চিত্র সর্বাত্বক।
৬ ডিসেম্বর একদিকে বাবরি ধ্বংসের দিনে বিভাজনে রাজনীতির বিরুদ্ধে দাঁড়িয়ে সম্প্রতি মিছিল অন্যদিকে দিল্লতে চলমান কৃষক আন্দোলনের সমর্থনে কৃষক বিরোধী কৃষি আইন প্রত্যাহারের দাবিতে ৮ ডিসেম্বর ধর্মঘটকে সফল করার প্রত্যয়। লাল পতাকা, ব্যানার, চাইনিজ হাতে বাম নেতা কর্মীরা যখন বাঘাযতীন পার্কথেকে মিছিল শুরু করছে, বহুদিন পর পথচলতি মানুষ থেকে রাস্তর পাশে দোকানদার সকলেই মিছিলের দিকে চোখ রেখেছে উত্সাহ নিয়ে ...! মুহুর্মুহু শ্লোগানে তখন ‘ খেপেছ কৃষক, জাগছে দেশ, শাসক তুমি এবার শেষ’ কৃষক মেরে দেশপ্রম, নরেন মোদী শেম শেম এর সম্মিলিত আওয়াজ। মিছিল যত এগিয়েছে, দীর্ঘ হয়েছে। ফ্যাসিস্ট সরকার, কৃষক বিরোধী, শ্রমিক বিরোধী সরকারের বিরুদ্ধে ৮ ডিসেম্বরের ভারত বনধ সফল করে তোলার সমস্ত রসদ কুড়িয়ে নিয়েছে সেদিনের মিছিল।
৮ ডিসেম্বর ধর্মঘট সফল করার আহ্বানে সাম্প্রদায়িকতা বিরোধী দিবসে যৌথ মিছিল।
৬ ডিসেম্বর একদিকে বাবরি ধ্বংসের দিনে বিভাজনের রাজনীতির বিরুদ্ধে দাঁড়িয়ে সম্প্রতি মিছিল অন্যদিকে দিল্লতে চলমান কৃষক আন্দোলনের সমর্থনে কৃষক বিরোধী কৃষি আইন প্রত্যাহারের দাবিতে ৮ ডিসেম্বর ধর্মঘটকে সফল করার প্রত্যয়। লাল পতাকা, ব্যানার, চাইনিজ হাতে বাম নেতা কর্মীরা যখন বাঘাযতীন পার্ক থেকে মিছিল শুরু করছে, বহুদিন পর পথচলতি মানুষ থেকে রাস্তর পাশে দোকানদার সকলেই মিছিলের দিকে চোখ রেখেছে উত্সাহ নিয়ে! মুহুর্মুহু শ্লোগানে তখন ‘খেপেছ কৃষক, জাগছে দেশ, শাসক তুমি এবার শেষ’ কৃষক মেরে দেশপ্রম, নরেন মোদী শেম শেম এর সম্মিলিত আওয়াজ। মিছিল যত এগিয়েছে, দীর্ঘ হয়েছে। ফ্যাসিস্ট সরকার, কৃষক বিরোধী, শ্রমিক বিরোধী সরকারের বিরুদ্ধে ৮ ডিসেম্বরের ভারত বনধ সফল করে তোলার সমস্ত রসদ কুড়িয়ে নিয়েছে সেদিনের মিছিল। নেতৃত্ব দেন অপু চতুর্বদী, মোজাম্মেল হক, মীরা চতুর্বদী, লক্ষ্মী দাস, শান্তা পাসওয়ান, ময়না সূত্রধর, রুবী সেনগুপ্ত, মধুবন্তী বসু, শাশ্বতী সেনগুপ্ত।
২ ডিসেম্বর পুর্ব বর্ধমান জেলার মন্তেশ্বর ব্লকের কুসুমগ্রাম বাজারে যৌথভাবে মিছিল করে বাস স্ট্যান্ড এ রাজ্য সড়ক অবরোধ করা হয়। বক্তব্য রাখেন আয়ারলার জেলা সম্পাদক আনসারুল আমান মন্ডল ও সিপিএমের কৃষক সংগঠনের নেতৃবৃন্দ। ৫ ডিসেম্বর বর্ধমান সদর থানার পালসীটে ২নং জাতীয় সড়ক যৌথভাবে অবরোধ করা হল। বেলা ৩টা থেকে ৪টা পর্যন্ত অবরোধ হয়। বক্তারা দিল্লির ২৬ নভেম্বর থেকে রাস্তায় অবস্থান বিক্ষোভ রত লক্ষ লক্ষ কৃষক জনগণের আন্দোলন এর সংহতি সমর্থন জানান। আন্দোলন কারীদের অভিনন্দন জানান। নয়া কৃষি আইন ও বিদ্যুত বিল ২০২০ বাতিলের দাবি জানান। কৃষি আইন বাতিল না করা পর্যন্ত আন্দোলন চালিয়ে যাওয়ার অঙ্গীকার করেন। এআইকেএসসিসি-র ডাকা ৮ ডিসেম্বর ভারত বনধ সফল করার আহ্বান রাখেন। ৬ ডিসেম্বর কালনা ২নং ব্লকের অকালপোষ অঞ্চলের আগ্রাদহতে সিপিআই(এমএল) লিবারেশনের পক্ষ থেকে মিছল করে কোম্পানির দালাল নরেন্দ্র মোদীর কুশপুতুল দাহ করা, বক্তব্য রাখা হয়। ৮ ডিসেম্বর ভারত বনধ সফল করার জন্য শ্লোগান তোলা হয়। বক্তব্য রাখেন রফিকুল ইসলাম। নয়া কৃষি আইন বাতিল ও ৮ ডিসেম্বর ভারত বনধ সফল করার আহ্বান জানান। ৬ ডিসেম্বর নাদনঘাট থানার ইসলামপুর চৌমাথায় পার্টির পক্ষ থেকে মিছিল করা হয়। ৮ ডিসেম্বর ভারত বনধ্ সফল করার জন্য শ্লোগান তুলে ফ্যাসিস্ট নরেন্দ্র মোদীর কুশপুতুল দাহ করা হয়। ৭ ডিসেম্বর পুর্বস্থলী ২নং ব্লকের মেড়তলা গ্রাম পঞ্চায়েত ও ফলেয়া বাজারে ৮ ডিসেম্বর ভারত বনধ সফল করার জন্য প্রচার ও বক্তব্য রাখা হয়। ৭ ডিসেম্বর পুর্বস্থলী ১নং ব্লকের নাদনঘাট পঞ্চায়েত এলাকায় ৮ ডিসেম্বর ভারত বনধ সফল করার জন্য যৌথ প্রচার সংগঠিত করা হল এবং বিভিন্ন জায়গায় বক্তব্য রাখা হয়। ৭ ডিসেম্বর মন্তেশ্বর ব্লকের বিভিন্ন পঞ্চায়েত এলাকার গ্রামে গ্রামে ৮ ডিসেম্বর ভারত বনধ সফল করার জন্য যৌথভাবে প্রচার করা এবং কুসুমগ্রাম বাজারে সভা করা হয়। ৮ ডিসেম্বর ভারত বনধ সফল করার জন্য পুর্ব বর্ধমান জেলার বিভিন্ন ব্লক এলাকায় পিকেটিং, রাস্তা অবরোধ ও কুশপুতুল দাহ করা হয়। পুর্বস্থলী ২নং ব্লকের কালেখাতলা সব্জি বাজারে যৌথ ভাবে রাজ্য সড়ক অবরোধ করা হয়। রাস্তায় বিভিন্ন ধরনের সব্জি ও ধান রাখা হয় ৩ শতাধিক মানুষ জমায়েত হয়েছিল। তিন ঘণ্টা অবরোধ চলার পর কৃষক বিরোধী কোম্পানির দালাল নরেন্দ্র মোদীর কুশপুতুল দাহ করা হয়। অবস্থান বিক্ষোভে বিভিন্ন বক্তা বক্তব্য রাখেন ।তারপর অবরোধ তুলে নেওয়া হল পুলিশের অনুরোধে।
পুর্বস্থলী ১নং ব্লকের নাদনঘাট নওপাড়া মোড়ে যৌথভাবে অবরোধ করা হয়। ৩০০-৪০০ জন মানুষের উপস্থিতি ছিল। তিন ঘণ্টা অবরোধ চলার পর ফ্যাসিস্ট নরেন্দ্র মোদীর কুশপুতুল দাহ করার পর অবরোধ তুলে নেওয়া হয়।পুলিশ বারবার অনুরোধ করেন অনুরোধ তুলে নেওয়ার জন্য। কিন্ত জমায়েত দেখে জোর করতে সাহস পায়নি। সমস্ত প্রাইভেট বাস বন্ধ ছিল, সরকারী বাস ও অন্যান্য যানবাহন অনেক দূর পর্যন্ত দাঁড়িয়েছিল। দোকান বাজার সমস্ত বন্ধ ছিল। অবরোধ দেখতে প্রচুর সাধারণ মানুষ জমায়েত হয়। মন্তেশ্বর ব্লকের কুসুমগ্রাম বাজারে যৌথভাবে মিছিল ও পথ অবরোধ করা হয়। দীর্ঘ সময় অবরোধের পর পুলিশের অনুরোধে অবরোধ তুলে নেওয়া হয়। কুসুমগ্রাম গ্রাম বাজার সম্পুর্ণ বন্ধ ছিল। মানুষের মধ্যে বন্ধ সম্পর্কে ভালো উৎসাহ ছিল। মেমারী ১নং ব্লকের নিমো বটতলায় যৌথভাবে জাতীয় সড়ক অবরোধ করা হয়। বারবার পুলিশ অবরোধ তুলে নেওয়ার জন্য অনুরোধ করতে থাকে, ২ ঘন্টা অবরোধ চলে। শ্লোগান ওঠে কৃষক বিরোধী নয়া কৃষি আইন বাতিল করতে হবে। জনবিরোধী বিদ্যুত বিল ২০২০ বাতিল করতে হবে। পুলিশ আসে, বাজার সম্পুর্ণ বন্ধ থাকে। কালনা বৈদ্যিপুর গ্যারেজ বাসস্ট্যান্ড যৌথভাবে রাস্তা কিছু সময় অবরোধের পর পুলিশের অনুরোধে অবরোধ তুলে নেওয়া হয়। তারপর মিছিল করে বাজার পরিক্রমা করেআবার শিরিষ তলা মোড়ে রাস্তা অবরোধ করা হয়। আবার পুলিশের হস্তক্ষেপে অবরোধ তুলে নেওয়া হয়, জামালপুর ব্লকে ঋণ মুক্তি কমিটির নেতৃত্বে ৭ ও ৮ ডিসেম্বর ভারত বনধ সফল করার প্রচার করা হয়। ৮ ডিসেম্বর ভারত বনধ সফল করার জন্য ৩টি গ্রামে শতাধিক ঋণগ্রস্ত মহিলা অর্চনা মল-এর নেতৃত্বে ঋণ মুক্তি কমিটির ব্যানার নিয়ে গ্রামে মিছিল সংগঠিত হয়। খণ্ডকোশ ব্লকের বেরুবাড়ী গ্রামে বন্ধের প্রচার করা হল ঋণ মুক্তি কমিটির নামে প্রচার করা হয়।
মুর্শিদাবাদ জেলার বহরমপুর শহরের টেক্সটাইল মোড় থেকে বাম দলগুলোর নেতৃত্বে ৮ ডিসেম্বর ভারত বনধ সফল করার জন্য শহরের বিভিন্ন এলাকায় মিছিল পরিক্রমা করে এবং গির্জার মোড়ে রাস্তা অবরোধ করা হয়। কিছু সময় অবরোধের পর কর্মসূচীর সমাপ্তি ঘোষনা করা হয়। বহরমপুর শহরের সমস্ত দোকান বন্ধ ছিল। বাস চলাচল করেনি, জেলাশাসকের অফিস মিছিল করে বন্ধ করে দেওয়া হয়। ৬ ডিসেম্বর খড়গ্রাম ব্লকের ঝিল্লী গ্রাম পঞ্চায়েতের নোনাডাঙ্গা বাসস্ট্যান্ডে সভা হয়। ৬ ডিসেম্বর পালন ও ৮ ডিসেম্বর ভারত বনধ সফল করার জন্য প্রচার হয়। ঐদিন শেরপুর মোড়ে যৌথ সভা হয় ও বন্ধের প্রচার করা হয়।
দেশজুড়ে কৃষক আন্দোলনের সমর্থনে যাদবপুর-ঢাকুরিয়া লোকাল কমিটির পক্ষ থেকে লাগাতার কর্মসূচী নেওয়া হয় এলাকাজুড়ে। ৩ ডিসেম্বর সন্ধ্যা বেলায় পালবাজার মোড়ে কৃষক আন্দোলনের সমর্থনে বিক্ষোভ সভা সংগঠিত হয়।সভায় বক্তব্য রাখেন বাসুদেব বোস, তমাল চক্রবর্তী ও আকাশ দেশমুখ। গণসঙ্গীত পরিবেশন করেন প্রণব মুখার্জি ও সন্চালনা করেন মমতা ঘোষ। সাথেই কৃষি আইন ও মোদীর কুশপুতুল পোড়ানো হয়। ৬ ডিসেম্বর সকালে কৃষক আন্দোলনকে সংহতি জানিয়ে ১০৪ নং ওয়ার্ডে বামদলগুলোর যৌথ মিছিল সংগঠিত হয়।সন্তোষপুর বাজার থেকে গড়ফা স্কুল পর্যন্ত মিছিলে নেতৃত্ব দেন লোকাল সম্পাদক বাবুন চ্যাটার্জী, প্রণব মুখার্জি প্রমুখ। ওই দিন বিকেলে লোকাল কমিটির পক্ষ থেকে ৮ ডিসেম্বর বনধের সমর্থনে যাদবপুর-ঢাকুরিয়া এলাকায় ভ্রাম্যমান প্রচার করা হয়।
কৃষক আন্দোলনের উপর পুলিশী আক্রমণের বিরুদ্ধে এবং দেশ বিরোধী কৃষি আইন প্রত্যাহারের বিরুদ্ধে গত ২ ডিসেম্বর মৌলালী মোড়ে এক বিক্ষোভ সভা হয়। সভায় বক্তব্য রাখেন এআইসিসিটিইউ এর পক্ষ থেকে বাসুদেব বসু, দিবাকর ভট্টাচার্য্য, সারা ভারত প্রগতিশীল মহিলা সমিতির সুমিতা নাথ, এআইএসএ-এর পক্ষ থেকে সৌমেন্দু। সভা শেষে মোদীর কুশপুতুল দাহ করা হয়। ৬ ডিসেম্বর বাবরি মসজিদ ধ্বংসকারীদের শাস্তির দাবিতে বিরসূল হাটে সভা হয়। ঐ সময় সাম্প্রদায়িক দাঙ্গায় নিহতদের শ্রদ্ধা জানিয়ে শহীদ বেদীতে মাল্যদান করা হয়। চলমান কৃষক আন্দোলনে সংহতি জানাতে ৮ ডিসেম্বরের ভারত বনধকে সফল করার আহ্বান জানিয়ে বক্তব্য রাখেন এআইসিসিটিইউ নেতা বাসুদেব বসু। সভায় উপস্থিত ছিলেন অশোক সেনগুপ্ত, মহঃ সামিম, মহঃ সাহবুদ্দিন, মহঃ কলিম, মহঃ মনসুর প্রমূখ নেতৃবৃন্দ। ভবানীপুর এলাকায় লিবারেশন ও এআইসিসিটিইউ উদ্যোগে চলমান কৃষক আন্দোলনের সমর্থনে ও কৃষি বিল বাতিলের দাবিতে এক পথসভায় বক্তব্য রাখেন শ্রমিক নেতা বাসুদেব বোস, প্রবীর দাস, এছাড়াও উপস্থিত ছিলেন মানস, বুলা, নির্মাণ শ্রমিক চৌধুরী ও অন্যান্যরা। এরপর মোদির কুশপুতুল পুড়িয়ে শ্লোগানের মধ্যে দিয়ে কর্মসূচী সমাপ্ত হয়। ৬ ডিসেম্বর কলকাতার যদুবাবুর বাজারে কৃষক বিরোধী কৃষি আইনের কপি পোড়ানো হয়।
কৃষক আন্দোলনের সমর্থনে ৮ ডিসেম্বর ধর্মঘটকে সফল করে তোলার আহ্বান জানানো হয়।
আইসা বেহালা জোনাল কমিটির উদ্যোগে মুচিপাড়া, ঠাকুরপুকুর, বকুলতলা, সরশুনা, শিবরামপুর, পর্ণশ্রী, রবীন্দ্রনগর, ছোটবাজার এবং বেহালা কলেজ, সরশুনা কলেজ, বড়িশা হাইস্কুল সংলগ্ন অঞ্চলে ৯ ডিসেম্বরের ছাত্র-যুব সমাবেশকে সফল করে তোলার সপক্ষে প্রচার করা হয়।
৬ ডিসেম্বর সিপিআই(এমএল) লিবারেশনের নেতৃত্বে কামারহাটিতে বাবরি মসজিদ ধ্বংসকারীদের শাস্তির দাবিতে এবং ৮ ডিসেম্বর দেশব্যাপী ধর্মঘটের সমর্থনে মিছিল ও মোদী, আম্বানি এবং আদানির কুশপুতুল দাহ করা হয়।
কৃষি আইন ২০২০ বাতিলের দাবিতে ৪ ডিসেম্বর বিক্ষোভ সভা সংগঠিত হয় বালি দুর্গাপুর অভয়নগর পঞ্চায়েতের নতুন বাজার মোড়ে। সভায় দিল্লীতে চলা কৃষক আন্দোলন-এর সংহতিতে কৃষি আইন বাতিল-এর দাবিতে বক্তব্য রাখেন বালি লোকাল কমিটির সদস্য দীপক চক্রবর্তী। পরবর্তীতে সভায় বক্তব্য রাখেন আইসা হাওড়া জেলা সম্পাদক আঙ্কিত মজুমদার। সভার শেষ বক্তা হিসেবে উপস্থিত ছিলেন সিপিআই(এমএল) লিবারেশনের হাওড়া জেলা সম্পাদক দেবব্রত ভক্ত। সমগ্র সভা পরিচালনা করেন বালি বেলুড় লোকাল কমিটির সম্পাদক মাধব মুখার্জী। এছাড়াও উপস্থিত ছিলেন অন্যান্য স্থানীয় সদস্য/সমর্থকেরা। মানুষ আগ্রহ নিয়ে পথসভাটি শোনেন। কৃষি আইনের প্রতিলিপি জ্বালানোর মধ্য দিয়ে সভা শেষ হয়। ৩০ নভেম্বর বালি বাজারে কৃষি আইন বাতিলের দাবিতে এবং দিল্লীতে চলমান কৃষক আন্দোলনের সংহতিতে বিক্ষোভ কর্মসূচী সিপিআই(এমএল) লিবারেশনের পক্ষ থেকে। বক্তব্য রাখেন কার্তিক পান্ডে এবং তপন ঘোষ। সঞ্চালনা করেন অমিতাভ ব্যানার্জী। পোড়ানো হয় কৃষি আইনের প্রতিলিপি। দিল্লিতে কৃষক র্যাললির ওপর মোদী সরকারের পুলিশি আক্রমণকে ধিক্কার জানিয়ে গত ২৮ নভেম্বর আইসার কমরেডদের প্রতিবাদ সভা হয় বালি জোড়া অশ্বত্থতলা মোড়ে। বক্তব্য রাখেন আইসার রাজ্য সভাপতি নীলাশিস বসু, সঞ্চালনা করে হাওড়া আইসা জেলা কমিটির সদস্য সৌভিক বনিক। শেষে স্লোগানের মধ্যে দিয়ে শেষ হয় কর্মসূচী। ৩ ডিসেম্বর হাওড়ার আড়ুপাড়ায় কৃষি আইন ২০২০ প্রত্যাহারের দাবিতে পথসভা অনুষ্ঠিত হয়। সভায় বক্তব্য রাখেন প্রণব মন্ডল, রাজ্য কমিটির সদস্য পার্থ ব্যানার্জি, রতন দত্ত ও দেবব্রত ভক্ত। সভায় উপস্থিত ছিলেন মহিলা ও নির্মাণ শ্রমিকেরা। সভাশেষে কৃষি আইন পোড়ানো হয়।
দেশ-কৃষি-কৃষক বিরোধী, আদানী-আম্বানীদের স্বার্থে রূপায়িত তিনটি কৃষি আইন প্রত্যাহারের দাবিতে লড়াকু অন্নদাতাদের সমর্থনে বজবজে দঃ ২৪ পরগণা জেলা অফিসের সামনে অবস্থান কর্মসূচী পালিত হল। সকাল থেকেই কমরেডরা হোর্ডিং, পোস্টার, ব্যানার, লাল ঝান্ডায় মঞ্চ সুসজ্জিত করে তোলেন, যা আকর্ষণীয় হয়ে ওঠে। মঞ্চের মাঝখানে শহীদ-ঈ-আজম ভগৎ সিং ও আম্বেদকারের মুর্তিতে মাল্যদান করার পর সভা শুরু হয়। সভার শুরুতেই বক্তব্য রাখেন আরওয়াইএ-র শুভদীপ পাল। কৃষক আন্দোলনের সমর্থনে স্বরচিত কবিতা পাঠ করেন কবি কৌনিক সেন। বক্তব্য রাখেন পার্টির জেলা সম্পাদক কিশোর সরকার। কৃষক আন্দোলনের স্পর্ধাকে স্মরণ করে কবি খাইরুল আমন নাইয়া-র কবিতা আবৃত্তি করে শোনান চলার পথে গণসাংস্কৃতিক সংস্থার সভাপতি দেবাশিস মিত্র। গণসঙ্গীত পরিবেশন করেন সেখ সাবির (রাজা) ও স্নেহাশীষ মন্ডল। বক্তব্য রাখেন এআইসিসিটিইউ জেলা-নেতা লক্ষীকান্ত অধিকারী, কৃষক নেতা দিলীপ পাল প্রমুখ।