শীতের কনকনে সকালে গরম কফি সহ হালকা টিফিন!! কিংবা রাতের হাড় কাঁপানো ঠান্ডায় লেপের ভিতরে আধশোয়া হয়ে এক কাপ গরম চা সাথে সিগারেট! আহা! এই নাহলে শীতকাল। উপভোগ্য শীতকাল!!
কিন্তু এই গোটা কনসেপ্ট-টাই গুলিয়ে গেল যখন আইসার আপাত ‘মধ্যবিত্ত’-ঘরের ছেলে-মেয়েরা প্রতক্ষ্য করলো শীতের রাতে দুঃস্থ সহনাগরিকদের অবস্থা। না কোনও গ্রামে যেতে হয়নি তারজন্যে। বালি বেলুড়ের বিভিন্ন বস্তি ও অস্থায়ী বসতিগুলোই সেই মানুষদের অসহায়তার সাক্ষ্য বহন করছিল। সরকারের উন্নয়নের সাক্ষ্য বহন করছিল ঘরগুলোর ছেঁড়া ত্রিপল আর ‘প্রধান বিরোধী’-‘হিন্দু ঠিকাদার’-দের হিন্দুত্বের পরশে মাখা গেড়ুয়া পতাকাগুলো যেন বিদ্রুপের ঢঙে উড়ছিল মহল্লার এদিক সেদিকে।
আইসার ছাত্রছাত্রীরা গত ২০ ডিসেম্বর থেকে টানা তিনদিন ধরে বালি বেলুড়ের বিভিন্ন অস্থায়ী বসতি ও স্টেশনবাসীদের হাতে তুলে দিল গরম জামাকাপড় ও নতুন কম্বল।
মোট ১৩৫টা পরিবারকে তুলে দেওয়া হল শীতের সম্বল। এই সাহায্য কোনও সমাধান নয়! সমাধানের জন্য আইসার সংগ্রাম এবং সমস্ত মেহনতি মানুষের সংগ্রাম একসাথেই চলবে। আগামীদিনে এই অকল্পনীয় বঞ্চনা ও অসহায়তার হিসাব ইঞ্চিতে ইঞ্চিতে বুঝে নেওয়া হবে।
- অঙ্কিত মজুমদার