বর্ষীয়ান সংগ্রামী বামপন্থী বুদ্ধিজীবী ত্রিদিব ঘোষ গত ১৫ ডিসেম্বর প্রয়াত হয়েছেন রাঁচীতে। তিনি কোভিডে আক্রান্ত হয়েছিলেন। তাঁর জীবনসাথী মালঞ্চ ঘোষও কোভিডে আক্রাম্ত হয়ে রাঁচীর হাসপাতালে চিকিৎসাধীন। কমরেড ত্রিদিব ঘোষ তাঁর ঝাড়খন্ড-বিহার-বাংলার বিস্তৃত পরিসরে সকলের কাছে বিশেষ পরিচিত ছিলেন “ঘোষদা” নামে। রাঁচীতে তাঁর বসবাস কয়েক দশকের। ঝাড়খন্ডে আদিবাসী সম্প্রদায় থেকে শুরু করে নারী সমাজের অধিকার প্রতিষ্ঠার জন্য কাজে-কর্মে-সংগ্রামে-সংগঠনে তিনি নিজেকে জীবনভর উৎসর্গ করে এসেছেন। তাঁর বাড়ি ছিল বঞ্চিত-নিপীড়িত জনতার জন্য হাটখোলা। তিনি ছিলেন সাধারণত শান্ত প্রকৃতির, সদালাপী, মিষ্টভাষী, নিরহঙ্কারী ও পরার্থে নিবেদিত মানবিক দৃষ্টান্ত; কিন্তু প্রয়োজনে শাসকের চোখে চোখ রেখে সামাজিক-রাজনৈতিক-অর্থনৈতিক ন্যায়ের পক্ষে দাঁড়াতেন।
কমরেড ত্রিদিব ঘোষ ঝাড়খন্ডের বুকে সিপিআই(এমএল) দিশায় গণ রাজনৈতিক সংগঠন গড়ে তোলার উদ্যোগে অন্যতম অগ্রণী ভূমিকা নিতে শুরু করেন ১৯৮০-র দশকের গোড়া থেকেই। আইপিএফ গঠনে তিনি অন্যতম আহ্বায়কের ভূমিকা পালন করেছিলেন। ঝাড়খন্ডে সংগ্রামে ঝড় তোলা নেতৃত্বদায়ী শহীদ কমরেড মহেন্দ্র সিং-এর সঙ্গে কমরেড ঘোষদা’র এক গভীর পারস্পরিক বোঝাবুঝির সম্পর্ক গড়ে উঠেছিল। তাঁর প্রয়াণ এক অপূরণীয় ক্ষতি। অন্তিম বিদায় কমরেড ত্রিদিব ঘোষ, লাল সেলাম।