বিবৃতি
দিল্লীতে জমায়েত করতে যাওয়া হাজার-হাজার কৃষকদের উপর পুলিশের বর্বরোচিত হামলার বিরুদ্ধে তীব্র প্রতিবাদ
pro

নয়া কৃষি আইন বাতিলের দাবিতে গ্রামীণ ধর্মঘটের পাশাপাশি গতকাল পাঞ্জাব, হরিয়ানা, উত্তরপ্রদেশ থেকে হাজার-হাজার কৃষক ট্টাক্টর সহ দিল্লি অভিমুখে রওনা দিয়েছিল। এআইকেএসসিসি আয়োজিত এই কর্মসূচী ছিলো দিল্লীর যন্তরমন্তর বা রামলীলা পার্কে ধর্ণা, তথা সরকারের দৃষ্টি আকর্ষণ করা। কিন্তু দিল্লিতে প্রবেশের আগেই তাদের রাজ্য সীমান্তে আটকে দেওয়ার চেষ্টা করা হয়েছে। মোদী সরকার গত পরশু থেকে রাজধানী দিল্লি কৃষকদের জন্য অবরুদ্ধ করে রেখেছে। দিল্লীতে ঢোকার সমস্ত রাস্তা এমনকি হাইওয়েগুলোকেও ব্যারিকেড করে, কাঁটাতার দিয়ে বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে। কোথাও কোথাও রাস্তা কেটে দেওয়া হয়েছে যাতে কোনো যানবাহন নিয়ে কৃষকরা দিল্লীতে ঢুকতে না পারে। দেখা গেলো এই প্রথম দিল্লি শহরের মেট্রো স্টেশনের ২৫টি গেট বন্ধ রাখা হয়েছে। কেন্দ্রীয় সরকার কৃষকদের আটকাতে দিল্লীর চারিদিক যেন যুদ্ধক্ষেত্রে পরিণত করেছে।

তা সত্বেও কৃষকদের উপর নেমে আসা নানা ধরনের দমন-পীড়ন আন্দোলনরত কৃষকদের দমাতে পারেনি। বরং তারা যেন আরও উদ্দীপনার সাথে দিল্লীতে প্রবেশের জন্য অঙ্গীকারবদ্ধ। তাদের দৃঢ়তার কাছে সরকার পিছু হঠতে বাধ্য হয়েছে। আগামীকাল কৃষকদের দিল্লীতে প্রবেশ করতে দেওয়ার কথা ঘোষণা করেছে কেন্দ্রীয় সরকার।

নয়া কৃষি আইনে মোদি সরকার কৃষকের "স্বাধীনতা"র কথা তুলে ধরছে। অথচ এ কেমন স্বাধীনতা! যেখানে দেশের নাগরিকদের নিজের দেশের রাজধানীতে প্রবেশ করতে দেওয়া হচ্ছে না! আমরা কৃষকদের উপর চাপিয়ে দেওয়া সমস্ত ধরনের দমন-পীড়নের বিরুদ্ধে তীব্র ধিকার জানাচ্ছি। আজ পশ্চিমবাংলার বিভিন্ন জেলার সদরে কৃষকরা এর প্রতিবাদে বিক্ষোভ সংগঠিত করেন। লড়াকু কৃষকদের অনমনীয়ভাবে লড়াই চালিয়ে যাওয়াকে আমরা রক্তিম অভিবাদন জানাচ্ছি। কৃষকরা জোট বেঁধে রাস্তায় নেমেছে এবং রাস্তাতেই তাদের প্রতিবাদ চালিয়ে যাওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছে যতক্ষণ না মোদি সরকার নয়া কালা কৃষি আইন বাতিল করছে।

খণ্ড-27
সংখ্যা-42