খবরা-খবর
২৬ নভেম্বর ধর্মঘট জেলায় জেলায় : সফল গ্রামীণ ধর্মঘট প্রমাণ করলো দেশের কৃষকরা নয়া কৃষি আইন বাতিলের দাবিতে লড়াই করতে প্রস্তুত
bbv

সারা ভারত কৃষক সংগ্রাম সমন্বয় কমিটির বিবৃতি এআইকেএসসিসি পশ্চিমবঙ্গ শাখার অন্তর্ভুক্ত ২১টি কৃষক সংগঠনের পক্ষে, অমল হালদার (আহ্বায়ক) ও কার্তিক পাল (সাংগঠনিক সম্পাদক) বিবৃতিতে জানান,

মোদী সরকার গতকাল থেকে রাজধানী দিল্লি কৃষকদের জন্য অবরুদ্ধ করে রেখেছে। নয়া কৃষি আইন বাতিলের দাবিতে গ্রামীণ ধর্মঘটের পাশাপাশি পাঞ্জাব, হরিয়ানা, উত্তরপ্রদেশ থেকে লক্ষ লক্ষ কৃষক দিল্লি অভিমুখে রওনা দিয়েছে। এআইকেএসসিসি আয়োজিত এই কর্মসূচী ছিলো দিল্লীর যন্তরমন্তর বা রামলীলা পার্কে ধর্ণা, তথা সরকারের দৃষ্টি আকর্ষণ করা। কিন্তু দিল্লিতে প্রবেশের আগেই তাদের রাজ্য সীমান্তে আটকে দেওয়া হয়েছে। নয়া কৃষি আইনে মোদি সরকার কৃষকের ‘স্বাধীনতা’র কথা তুলে ধরছে। অথচ এ কেমন স্বাধীনতা! যেখানে দেশের নাগরিকদের নিজের দেশের রাজধানীতে প্রবেশ করতে দেওয়া হচ্ছে না! দেখা গেলো এই প্রথম দিল্লি শহরের মেট্রো স্টেশনের ২৫টি গেট বন্ধ রাখা হয়েছে।

ধর্মঘটের মধ্য দিয়ে প্রমাণিত হলো, কৃষকের এ লড়াই কেবলমাত্র পাঞ্জাব, হরিয়ানার কৃষকদের লড়াই নয়, দেশের সমস্ত রাজ্যের কৃষকরাই আজ গ্রামীণ ধর্মঘটকে ব্যাপক মাত্রায় সমর্থন দিয়েছে, অংশগ্রহণ করেছে। চরম কৃষি সংকটের মধ্যে থাকা কৃষকরা আজ উপলব্ধি করছেন সরকার কৃষির উপর থেকে নিজের নিয়ন্ত্রণ তুলে নিচ্ছে। কোম্পানিদের হাতে সেই নিয়ন্ত্রণ তুলে দিচ্ছে। সরকার বলছে মধ্যস্বত্ব দালালদের নাকি হঠিয়ে দেবে। কিন্তু এটা সম্পূর্ণ মিথ্যা কথা। বাস্তবে চুক্তি চাষের প্রক্রিয়ায় তৈরি হবে অনেক ধরনের দালাল। একদল দালাল থাকবে যারা কোম্পানিকে জমি চুক্তিতে দেওয়ার মধ্যস্থতা করবে। কেউ কেউ ফসলের উৎপাদন বা গুণমান বিচার করবে। কেউবা ফসলের অনলাইন ব্যবসা দেখভাল করবে। অর্থাৎ তিন চার রকম দালাল কাজ করবে। বলা হচ্ছে, চুক্তিচাষে কৃষকের জমির মালিকানা চলে যাবে না। কিন্তু চুক্তিতে পরিস্কার বলা আছে কৃষককে প্রাতিষ্ঠানিক ভাবে ঋণ নিতে হবে। আর ঋণ পরিশোধ করতে না পারলে জমি তো হাতছাড়া হবেই। তাই আদৌ কৃষকের মুক্তি হবে না, তাঁদের পরিণত করা হবে কোম্পানির বাঁধা মজুরে!

ইতিমধ্যেই অত্যাবশ্যকীয় পণ্য আইন পরিবর্তনের কুফল মানুষ বুঝতে পারছেন। আলু-পেঁয়াজ সহ নিত্যপণ্যের অস্বাভাবিক মূল্যবৃদ্ধি ঘটেছে। সমগ্র দেশে ও রাজ্যের কৃষক জনগণের সক্রিয় অংশ গ্রহণের মধ্য দিয়ে আজকের সফল গ্রামীণ ধর্মঘট সেটাই প্রমাণ করলো। প্রায় সমস্ত জেলায় প্রায় ৩৫০ জায়গায় রাস্তা অবরোধ হয়। আগামীকাল ২৭ নভেম্বর রাজ্যে বিভিন্ন জেলার সদরে দিল্লীর সাথে সাথে বিক্ষোভ সংগঠিত হবে। যতদিন না তিনটি কালা কৃষি আইন বাতিল করা হচ্ছে ততদিন এআইকেএসসিসি-র নেতৃত্বে কৃষকরা লড়াই চলিয়ে যাবে। বাংলার কৃষক সহ সমস্ত জনগণকে আমরা অভিনন্দন জানাই আজকের গ্রামীণ ধর্মঘটকে সফল করে তোলার জন্য।

si

দার্জিলিং

শিলিগুড়ির প্রাণকেন্দ্র হিলকার্ট রোড, বিধান মার্কেট, সেবক রোড সহ শহরের এবং শহরতলির বিভিন্ন দোকান, বাজার, ব্যাঙ্ক সম্পূর্ণ বন্ধ ছিলো। অভিজিৎ মজুমদার, সমন পাঠক, অলোক চক্রবর্তী, তাপস গোস্বামী, বিকাশ সেন রায়-দের নেতৃত্বে ধর্মঘটের সমর্থনে একটি মিছিল মাল্লাগুড়ি ক্ষুদিরাম মূর্তির সামনে থেকে শুরু হয়ে জংশন, এযারভিউ মোড়, হিলকার্ট রোড ঘুরে আবার মাল্লাগুড়িতে গিয়ে শেষ হয়। এআইসিসিটিইউ-র মোজাম্মেল হক, পার্টির পক্ষ থেকে গৌতম চক্রবর্তী, অপু চতুর্বদী, দীনবন্ধু দাস, সূর্যদৃপ্ত দে সরকার সিপিআই(এম)-এর অশোক ভট্টাচার্য, জীবেশ সরকার প্রমুখরা মিছিলে পা মিলিয়েছেন। এছাড়াও পিকেটিং হয়। ফাঁসিদেওয়া, খড়িবাড়ি, নকশালবাড়ি, মাটিগাড়া, বাগডোগরা  সহ বিভিন্ন গ্রামাঞ্চলের ছবিটাও ছিলো একই। ধর্মঘটী  ট্রেড ইউনিয়ন, কৃষক সংগঠন সহ বিভিন্ন গণ সংগঠনের নেতৃত্ব রাস্তায় নেমেছিলেন । কয়েক দফায় মিছিল হয়। চা বাগান গুলোর গড় পরিসংখ্যান বলছে প্রায় ৮০% চা বাগান সম্পূর্ণ বন্ধ ছিল। কোনো কোনো চা বাগানে শ্রমিকেরা গেট আটকে বাগান খোলার বিরুদ্ধে বিক্ষোভ দেখাতে থাকে। কোথাও আবার রেল লাইনের ওপরে পতাকা হাতে বসে পড়তে দেখা যায় ধর্মঘটীদের।

ko

কলকাতা

এআইসিসিটিইউ, সিপিআই(এমএল) লিবারশন এবং এআইএস-র মৌলালী থেকে ধর্মঘটের সমর্থনে স্কোয়াড মিছিল শুরু হয়। ধর্মঘট হয় মধ্য কলকাতার বিরসূল হাট, উত্তর কলকাতার হোসিয়ারি কারখানায়, ধর্মঘটে সামিল হন গ্যাস কর্মীরা। এন্টালী থেকে এনআরএস মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল পরিক্রমা চলতে থাকে। মৌলালী সিআইটি রোড এবং মৌলালী এস এন ব্যানার্জী রোড সংযোগ স্থলে অবরোধ হয়। মিছিলে ছিলেন প্রবীর দাস, মহঃ রুস্তম, মহঃ কলিম, নাথু সাউ, আকাশ ভট্টাচার্য, অনন্যা। এন্টালী থেকে এআইসিসিটিইউ সহ সমস্ত কেন্দ্রীয় ট্রেড ইউনিয়ন এবং বামপন্থী পার্টির যৌথ মিছিল শুরু হয়ে মল্লিক বাজারে গিয়ে শেষ হয়। মিছিলে ছিলেন বাসুদেব বসু, অতনু চক্রবর্তী, দিবাকর ভট্টাচার্য, অমিত দাশগুপ্ত, স্বর্ণেন্দু মিত্র, বাবলু দাস, শুভাশিস এবং সিপিআই(এমএল) লিবারেশনের সাধারণ সম্পাদক দীপঙ্কর ভট্টাচার্য, রাজ্য সম্পাদক পার্থ ঘোষ, কেন্দ্রীয় কমিটির সদস্য কার্তিক পাল। বেহালায় এআইসিসিটিইউ, এআইএসএ সহ সিপিআই(এমএল) এবং সিপিআই(এম)-এর যৌথ মিছিল হয় চৌরাস্তা থেকে তারাতলা। ট্রামডিপোর কাছে চলে দীর্ঘক্ষণ পথ অবরোধ। ছিলেন সৈকত ভট্টাচার্য, মিথিলেশ সিং, অভিজিৎ, অতনু,  সোম ও অন্যানরা। যাদবপুর-ঢাকুরিয়া এলাকার কমরেডরা পালবাজারে পথ অবরোধ করেন। রুটের বাস চলাচল বন্ধ হয়ে যায়।

jgg

 

বামপন্থী দলগুলো যৌথ ভাবে পালবাজার থেকে গড়ফা বাজার পর্যন্ত মিছিল করে। সন্তোষপুর বাজার চত্বরেও পথ অবরোধ করা হয়। বাম কর্মীবৃন্দ যৌথভাবে যাদবপুরে রেল লাইন অবরোধ করেন। অন্যদিকে যাদবপুর ৮বি চত্বর থেকে যৌথ মিছিল হয় থানার মোড় পর্যন্ত। কুশপুতুল পোড়ানো হয় মোদীর। বাবুন চ্যাটার্জী, অমলেন্দু চৌধুরী, সুশান্ত দেবনাথ নেতৃত্ব দেন। বাঘাযতীন এলাকার কমরেডরা যাদবপুরের কর্মসূচীতে অংশগ্রহণ করেন। আরএসপি নেতা দেবাশীষ মুখার্জি, বিধায়ক সুজন চক্রবর্তী উপস্থিত ছিলেন। যৌথ উদ্যোগে অবরোধ হয় রাসবিহারী মোড়, হাজরা ক্রসিং। অবরোধ করার পর মিছিল আবার রাসবিহারী মোড় হয়ে যায় লেক মার্কেটে। বড়বাজার, মেছুয়া সহ কলকাতার সমস্ত বাজার বন্ধ ছিল। প্রশাসনের পক্ষ থেকে জোর করে কিছু বাস-ট্রাম চালালেও কলকাতার মানুষ ধর্মঘটকে সর্বাত্মক সফল করে তুলেছেন।

nnb

নদীয়া

নদীয়া জেলায় সাধারণ ধর্মঘট ও গ্রামীণ ধর্মঘট সফল হয়। এ দিন সকাল থেকেই ধুবুলিয়া, বেথুয়াডহরী, গাছা বাজার, দেবগ্রাম, তাহেরপুর, চাকদা সহ বিভিন্ন স্থানে জাতীয় সড়ক অবরোধ হয়। দীর্ঘ সময় ধরে অবরোধ চলে। কোথাও কোথাও বেশ কয়েক দফায় অবরোধ করা হয়। ধুবুলিয়াতে ব্লক অফিসে পিকেটিং করা হয়। কৃষ্ণনগর শহরে দীর্ঘ সময় ধরে মিছিল শহরের বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ স্থান পরিক্রমা করে। এতে ধর্মঘট সর্বাত্মক হয়ে ওঠে, জেলা আদালত, পোঃ অফিস, ব্যাংক সম্পূর্ণ বন্ধ হয়ে যায়। নবদ্বীপ শহরেও মিছিল দীর্ঘ সময় ধরে ধর্মঘটের প্রচার করে। এই সমস্ত কর্মসূচীতে জেলার পার্টি,ট্রেড ইউনিয়ন, কিষাণ মহাসভা ও কৃষিমজুর সংগঠনের নেতৃবৃন্দ ও কর্মীরা পথে  ছিলেন।

পূর্ব বর্ধমান

পুর্ব বর্ধমান জেলার জামালপুর ব্লকে ঋণমুক্তি কমিটির নেতৃত্বে জাতীয় সড়ক অবরোধ করা হয়। ৫০ জনের মতো ঋণগ্রস্ত মহিলাদের অংশগ্রহণের মধ্যে দিয়ে গরিবদের ২ লক্ষ টাকা পর্যন্ত ঋণ মুকুবের দাবিতে অবরোধ সংগঠিত হয়। দাবি ওঠে ঋণগ্রস্ত মহিলাদের উপর জুলুম বন্ধ করতে হবে। মাইক্রোফিনান্স সংস্থার অস্বাভাবিক সুদ আদায়ের বিরুদ্ধে সরকারের নিয়ন্ত্রণ কার্যকরী করতে হবে। কিছু সময় অবরোধের পর পুলিশ অবরোধ তুলে দেয়।

lll

 

কালনা ২নং ব্লক-এর বৈদ্যিপুর বাসস্ট্যান্ডে যৌথভাবে অবরোধ সংগঠিত করা হল। দীর্ঘ সময় অবরোধ শেষে মিছিল করে কর্মসূচির সমাপ্তি হয়।

মেমারী ১নং ব্লকের নিমো বটতলায় যৌথভাবে জাতীয় সড়ক অবরোধ করা হয়। আধঘন্টা অবরোধের পর পুলিশ এসে অবরোধ তুলে দেয়।

পুর্বস্থলী ১নং ব্লকের সমুদ্রগড় রেল স্টেশনে যৌথভাবে রেল অবরোধ করা হয়। আধঘন্টা অবরোধের পর পুলিশ এসে অবরোধ তুলে দিলে মিছিল করে গিয়ে রাজ্য সড়ক অবরোধ করা হয়। দীর্ঘ সময় অবরোধের পর পুলিশের চাপে মিছিল করে সমুদ্রগড় বাজার পরিক্রমা করে কর্মসূচির সমাপ্তি ঘোষণা করা হয়।

পুর্বস্থলী ২নং ব্লকের পারুলিয়া বাজারে যৌথভাবে সকাল ৭টার সময় মিছিল করে প্রথমে বাজার বন্ধ করা হয়। তারপর রাজ্য সড়ক অবরোধ শুরু হয়। রাস্তার উপর প্রচুর টায়ার পোড়ানো শুরু হয়। নেতাদের বক্তব্য ও শ্লোগান চলতে থাকে। পুলিশ বারবার অবরোধ তুলে নেওয়ার অনুরোধ করতে থাকে। ব্যাপক জমায়েত বিক্ষোভ দেখে পুলিশ অবরোধ তুলতে সাহস পায়না। পোড়ানো হয় নরেন্দ্র মোদী, অমিত শাহের কুশপুতুল। পোড়ানো হয় মুখ্যমন্ত্রীর ও শিক্ষামন্ত্রীর কুশপুতুল। ১০টার সময় মিছিল করে কর্মসূচির সমাপ্তি ঘোষণা করা হয়। সাধারণত পারুলিয়া বাজারে যেকোন বন্ধে দোকান খোলা রাখার চেষ্টা করে। বিশেষ করে বিজেপির প্রভাবিত দোকানদাররা। এবার জোরদার প্রচারে সবাই বন্ধ রেখেছেন। দোকান-বাজার বন্ধ ছিল কাটোয়াতেও।

দক্ষিণ ২৪ পরগণা

এআইসিসিটিইউ সহ কেদ্রীয় ট্রেড ইউনিয়ন ও ফেডারেশনসমূহের ডাকা সারাভারত সাধারণ ধর্মঘট ও এআইকেএসসিসি-র ডাকা সারা ভারত গ্রামীণ ধর্মঘটের সমর্থনে দক্ষিণ ২৪ পরগণার বাখরাহাট, বজবজ, উস্থিতে যৌথ এবং এককভাবে পথ অবরোধ,অবস্থান,মিছিল চলে ধর্মঘটের দিন‌।

fff

 

ধর্মঘটের দিন সকালে বাখরাহাট বাজারে সিপিআই(এমএল) লিবারেশন, সিপিআই(এম), কংগ্রেসের কর্মীরা পথ অবরোধ করে।বাখরাহাট বাজার থেকে রায়পুর মোড অবধি যৌথ মিছিল এলাকা পরিক্রম করে। উপস্থিত ছিলেন পার্টির জেলা নেতা ও এআইকেএম জেলা সম্পাদক দিলীপ পাল, বিষ্ণুপুর-সাতগাছিয়া লোকাল কমিটির সম্পাদক নিখিলেশ পাল, লোকাল কমিটির সদস্য সন্দীপ ধাড়া, নিজাম সেখ সহ আরো অনেকে। বজবজে জেলা সম্পাদক কিশোর সরকারের নেতৃত্বে জেলা অফিসের সামনে অবস্থান বিক্ষোভ চলে। উস্থিতে স্টেট গ্যারাজের সামনে সংগঠনগুলোর যৌথ পিকেটিং চলে। উপস্থিত ছিলেন জেলা নেতা নবকুমার বিশ্বাস সহ আরো অনেকে।

উত্তর ২৪ পরগনা

জুটমিল, ইঞ্জিনিয়ারিং শিল্প, ইটভাটা, নির্মাণ শ্রমিক সহ অন্যান্য সরকারী, বেসরকারী, সংগঠিত, অসংগঠিত ক্ষেত্রে ২৬ নভেম্বরের ধর্মঘট পূর্ণাঙ্গ চেহারা নেয়। গ্রামাঞ্চলে স্থানীয় মানুষ স্বতস্ফূর্তভাবে ধর্মঘটে অংশ নেয়। সকাল থেকে কেন্দ্রীয় ট্রেড ইউনিয়ন এআইসিসিটিইউ, সিটু, এআইটিইউসি, টিইউসিসি, এআইইউটিইউসি, ইউটিইউসি ও আইএনটিইউসি ও কৃষক ক্ষেতমজুর সংগঠন, ছাত্র, যুব, সহ অসংখ্য গণসংগঠন এবং সিপিআই(এমএল) লিবারেশন, সিপিআই(এম) সহ বামফ্রন্টের দলসমূহ ও কংগ্রেস কর্মীরা স্বতস্ফূর্তভাবে বনধ সফল করতে রাস্তায় নামে। জেলার সর্বত্র মিছিল, পিকেটিং রাস্তা ও রেল অবরোধ হয়; নৈহাটি, শ্যামনগর, বেলঘরিয়া, মধ্যমগ্রাম, বসিরহাট, বারাসাত, অশোকনগর, চাঁদপাড়া, গাইঘাটায় রাস্তা ও রেল অবরোধ হয়। সর্বত্র বড় বড় মিছিল, পিকেটিং চলতে থাকে। বেলঘরিয়ায় ও বারাসাতে পুলিশ বিনা প্ররোচনায় নির্বিচারে লাঠি চার্জ করে। পুলিশের লাঠি থেকে ছাত্র ও মহিলারাও রেহাই পাননি। অনেকের মাথা ফেটেছে, হাতে, পায়ে আঘাত লেগেছে। অনেককেই স্থানীয় সরকারী ও বেসরকারী হাপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়েছে। ধর্মঘটে সাধারণ মানুষের ব্যাপক সমর্থন ছিল। এআইসিসিটিইউ উত্তর ২৪ পরগণা জেলা কমিটি ধর্মঘট সফল করার জন্য সর্বস্তরের শ্রমিক, কৃষক, ছাত্র-যুব মহিলা সহ ১০টি কেন্দ্রীয় ট্রেড ইউনিয়নের কর্মী সমর্থকদের লাল সেলাম, অভিনন্দন জানায়।

খণ্ড-27
সংখ্যা-42