২৬ নভেম্বর সাধারণ ধর্মঘটে হুগলী জেলার গ্রাম-গঞ্জ, শহর সর্বত্রই জনতার সাড়া ছিল নজরকাড়া। জেলা সদর চুঁচুড়ায় বাস স্ট্যান্ডে সকাল ৬টা থেকেই পিকেটিং শুরু করেন এআইসিসিটিইউ-র নেতৃত্বে চুঁচুড়া সংগ্রামী বাস শ্রমিক মঞ্চের সাথীরা। পার্টিতে যুক্ত হওয়া এই বাস কর্মচারী বন্ধুরা এ’দিন কোনো রুটের বাস চালাননি। বেলা বাড়ার সাথে সাথে অন্যান্য বামপন্থী সংগঠনের সাথে সিপিআই(এমএল) ও এআইসিসিটিইউ-র জেলা সম্পাদকের নেতৃত্বে ধর্মঘটীরা চুঁচুড়া কোর্ট, বাজার সহ বড় এলাকা জুড়ে মিছিল সংগঠিত করেন। গ্রামাঞ্চলে ধনিয়াখালির মল্লিকপুর, কনুইবাঁকা, বেলমুড়ি সহ বিভিন্ন এলাকা পরিক্রমা করে আয়ারলা, আদিবাসী অধিকার ও বিকাশ মঞ্চ এবং পার্টির নেতৃত্বে দীর্ঘ মিছিল। পোলবা-দাদপুর ব্লকের মধ্যে দিয়ে যাওয়া দিল্লি রোডের সুগন্ধ্যা মোড়ে অবরোধ করেন সিপিআই(এমএল) ও সিপিআই(এম) কর্মীরা। বলাগড়ে ধর্মঘটের ব্যপক সাড়া পড়ে গুপ্তিপাড়া স্টেশন বাজার, সোমড়া, জিরাট, খামারগাছি, ইনছুড়া, একতারপুর বাজার সহ সমগ্র মহীপালপুরে। ইটাগড় মোড়ে বিকালে মিছিল ও বিক্ষোভ প্রদর্শন করেন সিপিআই(এমএল) ও আয়ারলার সদস্যরা।
পান্ডুয়া ব্লকের বৈঁচি বাজার এলাকা জুড়ে সকালে সিপিআই(এমএল) ও সিপিআই(এম) যৌথভাবে মিছিল সংগঠিত করে। এরপর জিটিরোড অবরোধ করা হয়। এই কর্মসূচীতে এসইউসিআই(সি)-ও সামিল হয়। অবরোধ চলাকালীন কেন্দ্রের কৃষি আইনের প্রতিলিপি পোড়ানো হয়। প্রায় এক ঘণ্টা অবরোধের পর পুনরায় মিছিল করে বৈঁচি রেল স্টেশনে যাওয়া হয়। বেশ কিছুক্ষণ রেল অবরোধ রাখা হয়। এরপর মিছিল নিয়ে স্টেট ব্যাঙ্কের স্থানীয় শাখা ও এফএসসিএস সমবায় দপ্তরে পিকেটিং করা হয়। ধর্মঘটের সমর্থনে শহরাঞ্চলের উত্তরপাড়া বিধানসভা এলাকায় কোন্নগরের পার্টি অফিস থেকে সকালে মিছিল বেরোয়।
কোন্নগরের ধাড়সা জিটিরোড, ডি-ওয়াল্ড-ডি, দক্ষিণ পাড়া, ২৪ পল্লী, বেঙ্গল ফাইন মোড়, জোড়পুকুর হয়ে হিন্দমোটরের নন্দনকানন এলাকা ঘুরে ২নং কলোনি বাজারের মধ্য দিয়ে এসে পুনরায় পার্টি অফিসে এসে শেষ হয়। এলাকার প্রায় সবকটি বিল্ডিং কনস্ট্রাকশন সাইটের কাজ বন্ধ করে বড় সংখ্যায় মিছিলে যোগ দেন নির্মাণ শ্রমিক সাথীরা, এই দীর্ঘ পথ হাঁটায় সাথে ছিলেন সমস্ত শারীরিক ক্লান্তি ও সমস্যাকে তুচ্ছ করে কয়েকজন প্রবীণ কমরেড এবং একঝাঁক মহিলা ও ছাত্র-যুব কর্মী। এআইসিসিটিইউ ও সিপিআই(এমএল)-এর আহ্বানে সাড়া দিয়ে বন্ধ থাকে বিদ্যাসাগর বাজার ও হিন্দমোটর স্টেশন বাজার। রিষড়ায় স্টেট ব্যাঙ্কের কর্মচারিরা পার্টির পতাকা চেয়ে নিয়ে ব্রাঞ্চের গেটে লাগিয়ে সকাল থেকে পিকেটিং শুরু করেন। পরে আইসা, এআইসিসিটিইউ ও আরওয়াইএ-র সদস্যরা তাঁদের সাথে সংগঠিতভাবে যোগ দেন এবং ব্যাঙ্কের যাবতীয় কার্যক্রম বন্ধ থাকে।