পূর্ব বর্ধমান জেলার মন্তেশ্বর ব্লকের কুসুমগ্রাম বাজারে ৬ নভেম্বর যৌথ গণ কনভেনশন সংগঠিত হয়। এই কনভেনশনে ৩০০-র বেশি লোক উপস্থিত ছিলেন। কনভেনশনে সারা ভারত কৃষি ও গ্রামীণ মজুর সমিতির পক্ষ থেকে জেলা সম্পাদক কমরেড আনসারুল আমন মন্ডল বক্তব্য রাখেন।
৭ নভেম্বর ভাতার ব্লকের কামারপাড়া গঞ্জে গণ কনভেনশন সংগঠিত হয়। বক্তব্য রাখেন সিপিআই(এম-এল) লিবারেশনের গণসংগঠনের পক্ষে কমরেড কুনাল বক্সী। কয়েক শত মানুষের উপস্থিতি ছিল।
৯ নভেম্বর পুর্বস্থলী-১ ব্লকের নিমতলা বাজারে ও কাটোয়া থানার কুরচি গ্রামে গন কনভেনশন সংগঠিত হয়। জমায়েতে উপস্থিতি যথাক্রমে শতাধিক ও চার শতাধিক। বক্তব্য রাখেন যথাক্রমে কুনাল বক্সী ও অশোক চৌধুরী। ১১ নভেম্বর পুর্বস্থলী-২ ব্লকের পুর্বস্থলী বাজারে ও ভাতার ব্লকের ভাতার বাজারে গণ কনভেনশন সংগঠিত করা হল। জমায়েতে হাজির ছিলেন পুর্বস্থলীতে শতাধিক ও ভাতারে দুই শতাধিক। বক্তব্য রাখেন যথাক্রমে কুনাল বক্সী ও অশোক চৌধুরী।
সমস্ত জায়গায় সিপিআই(এম) ও কংগ্রেসের গণসংগঠনের নেতারাও বক্তব্য রাখেন। নেতারা মুলত ২৬ নভেম্বর সাধারণ ধর্মঘট ও গ্রামীণ ধর্মঘটের তাৎপর্য ও প্রয়োজনীয়তা নিয়ে ব্যাখ্যা করেন। শ্রমিক বিরোধী শ্রম কোড ও জন-বিরোধী কৃষক বিরোধী কৃষি আইন বাতিলের গুরুত্ব এবং আইনের ভবিষ্যত কুফল সম্পর্কে বিস্তারিত আলোচনা করেন এবং দেশজুড়ে আন্দোলনের অভিজ্ঞতা তুলে ধরার মাধ্যমে ধর্মঘট সফল করার গুরুত্বপূর্ণ দিকগুলো তুলে ধরেন। দেশজুড়ে শ্রমিক কৃষক ও গ্রামীণ গরিবদের ঐক্যবদ্ধ আন্দোলন গড়ে তোলার উপর জোর দেন।
- সজল পাল