খবরা-খবর
কলেজ কর্মীদের অনশনস্থলে সিপিআই(এমএল) এবং এআইসিসিটিইউ
cass

জলপাইগুড়ি: সিপিআই(এমএল) লিবারেশানের জলপাইগুড়ি জেলা কমিটির পক্ষ থেকে প্রদীপ গোস্বামী, রাম ভগৎ, রমা গুহ নিয়োগী ও সম্পাদক ভাস্কর দত্ত – চার সদস্যের প্রতিনিধিদল জলপাইগুড়ি আনন্দ চন্দ্র কলেজে ১৮ দিন যাবৎ অনশনরত অস্থায়ী কমচারিদের সাথে সাক্ষাৎ করে সহমর্মিতা প্রকাশ করে আন্দোলনে যুক্ত থাকার প্রতিশ্রুতি দেন।

বর্ধমান: পশ্চিমবঙ্গের কলেজ ক্যাজুয়াল কর্মচারি সমিতির পক্ষ থেকে ২৬তম দিনের অনশন কর্মসূচী চলার মাথায় বর্ধমান জেলার শ্যামসুন্দর কলেজের সামনে ধর্না মঞ্চে এআইসিসিটিইউ এবং সিপিআই(এমএল) বর্ধমান জেলা কমিটির পক্ষ থেকে শ্রীকান্ত রাণা ও কুনাল বক্সী তাদের সঙ্গে কথা বলেন। তাদের আন্দোলনে সংহতি জানান। ভবিষ্যতে তাদের সঙ্গে যোগাযোগ রাখবেন বলে জানান।

বাঁকুড়া: কলেজের অস্থায়ী কর্মচারিরা বাঁকুড়ার সম্মিলনী কলেজের সামনে গত ৪ দিন ধরে অনশন করছেন তাদের চাকরির স্থায়ীকরন এবং সম্মানজনক বেতনের দাবিতে। সেই অনশন মঞ্চে আজকে উপস্থিত হন এআইসিসিটিইউ-র পক্ষে বাবলু ব্যানার্জী সহ রবি এবং শ্যামল। বক্তব্যে বাবলু ব্যানার্জি বলেন, আজকে বাঁকুড়ায় কেন্দ্রীয় মন্ত্রী অমিত শাহ এসেছেন। তিনি ভোটের চমকের জন্য শহর থেকে ৫ কিমি দূরে ৫০টা গাড়ির কনভয় নিয়ে ভাত খাওয়ার জন্য আদিবাসী পাড়ায় যেতে পারেন, কিন্তু এই শহরেই তিনি বা তার কোনো প্রতিনিধি আপনাদের কাছে আসতে পারবেন না, কারণ তারাই তো সংখ্যার জোরে শ্রম আইন পাশ করিয়ে স্থায়ী পদ তুলে দিয়ে অস্থায়ী করে দিচ্ছে। আর, রাজ্যের শাসকদল আপনাদের দিচ্ছে পুলিশের লাঠি এবং জেল। তাই আপনাদের কাছে আমাদের পরামর্শ শহরের একপ্রান্তে আপনাদের এই অনশন শহরের প্রানকেন্দ্র আকাশ মঞ্চে নিয়ে চলুন। আপনাদের ১৪৮ জন সপরিবারে জেলা শাসককে ঘেরাও করে রাখুন। আপনারা আন্দোলন চালিয়ে যান, আমরা আপনাদের সাথে আছি, চাইলে সামনের সারিতে থাকতে পারি।

dddd
জলপাইগুড়িতে
add

শতাধিক অনশনরত, শারীরিক সংকটাপন্ন পশ্চিম বাংলার কলেজ ক্যাজুয়াল কর্মচারিদের দাবিগুলির সুষ্ঠু মিমাংসার লক্ষ্যে মুক্ষ্যমন্ত্রীর দ্রুত হস্তক্ষেপের আবেদন জানিয়ে এআইসিসিটিইউ’র রাজ্য সম্পাদক দিবাকর ভট্টাচার্য ২ নভেম্বর একটি খোলা চিঠিতে বলেন, মহাশয়া, আপনি নিশ্চয় অবগত আছেন যে, প্রায় ৬ হাজারেরও অধিক ক্যাজুয়াল কর্মচারি পশ্চিম বাংলার বিভিন্ন কলেজে দীর্ঘ ৭/১০/১৫ বছর ধরে কাজ করে আসছেন। কলেজ ভিত্তিক গভর্নিং বডির মাধ্যমে এঁদের নিয়োগ করা হয়েছে। যাঁদের উপর নির্ভর করছে পশ্চিম বাংলার সমস্ত কলেজগুলির সচলতা। বেতনের কোন নির্দিষ্ট কাঠামো না থাকায় এঁদের ২ হাজার থেকে ৮/১০ হাজার টাকা বেতন দেওয়া হয়। লকডাউন পর্যায়ে অনেক কলেজের কর্তৃপক্ষ এঁদের বেতনও দেয়নি। এঁরা বিগত ৩/৪ বছরেরও অধিককাল যাবত তাঁদের সমস্যার কথা সরকারের কাছে জানিয়ে আসছেন। বেশ কয়েকবার “পশ্চিমবঙ্গ কলেজ ক্যাজুয়াল কর্মচারি সমিতি”র পক্ষ থেকে উচ্চ শিক্ষামন্ত্রীর সাথে দেখা করে তাঁদের দাবিগুলি জানিয়েছেন। কোনো সমাধান না হওয়ায় আপনার হস্তক্ষেপের জন্য বারংবার আবেদনও করেছেন। অত্যন্ত দুঃখজনক বিষয় যে, সরকারের পক্ষ থেকে কোনো সদর্থক ভুমিকা না নেওয়ায় আজ রাজ্যের ১২/১৩টি জেলায় শতাধিক ক্যাজুয়াল কর্মচারি দীর্ঘ ২৮/২৯ দিন যাবত অনশন কর্মসূচী চালিয়ে যাচ্ছেন। পশ্চিম বাংলার মানুষ দেখলেন শারদ উৎসবের দিনগুলিতেও তাঁরা তাঁদের পরিবার পরিজনদের সাথে না থেকে অনশন মঞ্চে দিন কাটাচ্ছেন। ইতিমধ্যে বেশ কয়েকজন কর্মচারির শারীরিক অবস্থার অবনতি ঘটেছে যার কারণে রাজ্যবাসী আশংকিত এবং উদ্বিগ্ন। আজ পর্যন্ত সরকারের পক্ষ থেকে কোন প্রতিনিধি অনশনকারীদের সাথে আলোচনায় বসে সমস্যা সমাধানের কোনো উদ্যোগ গ্রহণ করেনি। আমরা মনে করি শারীরিক অবনতির কারণে কোনো দূর্ঘটনা ঘটলে রাজ্য সরকার দায়ী থাকবে। এমতাবস্থায় আমরা এআইসিসিটিইউ’র রাজ্য কমিটি অত্যন্ত উদ্বেগের সাথে অনতিবিলম্বে আপনার হস্তক্ষেপের দাবি জানাচ্ছি।

কর্মচারিদের দাবিগুলি যথাক্রমে, অবিলম্বে (১) লকডাউন পর্যায়ে যাদের বেতন প্রদান করা হয়নি তাঁদের বেতন প্রদান করা হোক, (২) গেস্ট টিচারদের যেমন কলেজ গভর্নিং বডি নিয়োগ করলেও তাঁদের একটা বেতন কাঠামো ও চাকরির নিশ্চয়তা সরকার দিয়েছে, সেরকম এঁদের জন্যও একটা বেতন কাঠামো চালু করা ও ৬০ বছর বয়স পর্যন্ত চাকরির নিশ্চয়তা দেওয়া হোক, (৩) যতদিন না স্থায়ীকরণ করা হচ্ছে ততোদিন রাজ্য সরকারের সার্কুলার ৩৯৯৮এফ (পি-২) অনুযায়ী এঁদেরকে স্বীকৃতি ও সুবিধা প্রদান করা হোক।

খণ্ড-27
সংখ্যা-39