হাথরাসে মনীষা বাল্মিকীকে নৃশংস ধর্ষণ-হত্যা ও অতঃপর উচ্চবর্ণ ঠাকুর সম্প্রদায়ের ধর্ষকদের পক্ষ নিয়ে যোগি প্রশাসনের ঝাঁপিয়ে পড়ার বিরুদ্ধে সারা দেশের মানুষ ক্ষুব্ধ। দেশ জুড়ে যোগি আদিত্যনাথের পদত্যাগের দাবি উঠেছে। এইসব বিক্ষোভের মধ্যে সাফাই কর্মচারিদের প্রতিবাদের খবর তেমন প্রচার পায়নি। মনীষার সুবিচার প্রাপ্তির দাবিতে উত্তরপ্রদেশ সহ কয়েকটি রাজ্যে কয়েক লক্ষ সাফাই কর্মচারি অক্টোবরের প্রথম সপ্তাহে ধর্মঘট করেন। এইসব রাজ্যের বিভিন্ন সহরে আবর্জনার স্তুপ জমা হয়ে থাকার খবর আসে। আগ্রা শহরে তাজমহলে যাওয়ার রাস্তা বরাবর বিপুল আবর্জনার স্তুপ বিশেষ খবর হয়। কিছু কিছু এলাকায় ধর্মঘটি সাফাই কর্মচারিরা পৌরসভা/কর্পোরেশনের ওয়ার্কশপে পাথর ছোঁড়ে, গাড়ি ভাঙচুর করে। বলাই বাহুল্য, সাফাই কর্মচারিদের প্রায় সমগ্রটাই দলিত শ্রেণীর। বাল্মিকি নেতা হরিবাবু বাল্মিকি বলেন, “সমগ্র সম্প্রদায় অপমানিত ও ক্রুদ্ধ। আক্রান্তের পরিবারের সাথে পুলিশ ও প্রশাসন কেমন ব্যবহার করছে লক্ষ্য করুন … জঘন্য অপরাধীরাও এর থেকে অনেক বেশি সম্মান পায়”। সাফাই কর্মচারি আন্দোলনের নেতা বেজওয়াড়া উইলসন বলেন, “মুখ্যমন্ত্রী আন্তর্জাতিক ষড়যন্ত্রের কথা বলছে … মেয়েদের ধর্ষণ করার পেছনে কি আন্তর্জাতিক ষড়যন্ত্র কাজ করছে? অবিচারের বিরুদ্ধে মানুষ আওয়াজ তুললেই এদের আন্তর্জাতিক ষড়যন্ত্র মনে পড়ে? … এরা হল গণতন্ত্র বিরোধী, সংবিধান বিরোধী শক্তি”।