হাতরাসের গণধর্ষণে মৃতার পরিবারের একজনের সঙ্গে এই ঘৃণ্য অপরাধে অভিযুক্ত এক ব্যক্তির ফোনালাপের ভিত্তিতে অর্ণব গোস্বামী ঘোষণা করে দিয়েছে যে “হাতরাসে ধর্ষণের অভিযোগ মিথ্যে!” মৃত্যুর আগে জবানবন্দীতে ভিকটিম বারবার বলেছেন যে তিনি ধর্ষিতা। তবু অর্ণব গোস্বামী তাকে মিথ্যেবাদী হিসেবে চিহ্নিত করলেন! যদি আমরা ধরেও নিই যে ভিকটিম অভিযুক্তদের একজনের সাথে পরিচিত ছিল এবং তাদের মধ্যে বন্ধুত্ব ছিল – তার অর্থ কি এটা দাঁড়ায় যে তাকে গণধর্ষণের উদ্দেশ্যে ফুসলে নিয়ে যাওয়া হয়নি? এরকম ঘটনা কি এই প্রথমবার ঘটলো? মোটেও নয়। বরং বেশিরভাগ ক্ষেত্রেই পরিচিত পুরুষদের বিশ্বাস করে মহিলারা ধর্ষণ ও খুন হন।
পাশাপাশি, আমি বলতে পারি যে, গ্রাম্য ভারতে, বিভিন্ন অজুহাতে যৌন-শোষণমূলক, হিংসাত্মক পরিস্থিতি তৈরি করে উচ্চবর্ণের প্রভাবশালী পুরুষদের দ্বারা দলিত মেয়েদের ওপর জুলুম চালানোটা খুব সাধারণ বিষয়। আর এই গ্রামটিতে তো ৪০০টি ঠাকুর পরিবারের মাঝে মাত্র চারটি দলিত পরিবার বসবাস করে।
ভয়াবহ ধর্ষণ ও হত্যার শিকার একটি দলিত মেয়েকে মিথ্যেবাদী হিসেবে বর্ণনা করার মতো অপরাধ করেছে অর্ণব গোস্বামী। শুধু ক্ষমা প্রার্থনা করে পার পেয়ে যেতে চাইছে এখন। দেশের মানুষ কি এই গর্হিত অপরাধকারীকে ছেড়ে দেবে? প্রতিটি মানুষের উচিত এই লোকটাকে এই রকম নৈতিক বিকারগ্রস্ত আচরণের জন্যে সম্পূর্ণভাবে বয়কট করা, তাকে সমস্ত রকম হিসেবের বাইরে বের করে দেওয়া।
– কবিতা কৃষ্ণান