প্রতিবেদন
সাভারকার প্রকৃতই যা
sav

বহুকাল ধরে পশ্চিম বাংলায় বিজেপির প্রভাব বলতে তেমন কিছু না থাকলেও বিগত কয়েক বছরে এই রাজ্যে তার প্রতিপত্তি কিছুটা বেড়েছে। গত লোকসভা নির্বাচনে পশ্চিম বাংলা থেকে নয়-নয় করে ১৮ জন বিজেপি সাংসদ নির্বাচিত হওয়ায় বিজেপির কেন্দ্রীয় নেতৃত্বের মনে হয়েছে যে, ২০২২-র বিধানসভা নির্বাচনে এই রাজ্যে তাদের ক্ষমতা দখলের আকাঙ্খা একেবারে দুরাশা নয়। সেই লক্ষ্যে তাঁরা তাঁদের যাবতীয় কলাকৌশলের প্রয়োগ ঘটাতে শুরু করেছেন। কিন্তু বিজেপির কাছে মুশকিলটা হল, বাংলায় তুলে ধরার মতো ভাবমূর্তি সম্পন্ন তেমন আইকন তাদের নেই। শ্যামাপ্রসাদ মুখার্জীকে নিয়ে একটা উদ্যোগ তারা নিলেও সেই প্রচেষ্টা তেমন কলকে পায়নি। স্বাধীনতা সংগ্ৰামের সঙ্গে যোগচ্ছিন্ন নেতাকে জনমানসে প্রতিষ্ঠিত করতে চাইলেও ব্যর্থ হওয়াই অমূলক সেই প্রয়াসের নিয়তি হয়ে ওঠে। কিন্তু প্রচেষ্টাতো তাদের চালিয়ে যেতে হবে। গত ১০ অক্টোবর আনন্দবাজার পত্রিকায় বিশ্বভারতীর উপাচার্য শ্রী বিদ্যুৎ চক্রবর্তীর ‘সাভারকারের ভাবাদর্শ’ শীর্ষক উত্তর সম্পাদকীয় নিবন্ধ এই লক্ষ্যে একটি প্রয়াস বলে মনে হয়। শ্রী বিদ্যুৎ চক্রবর্তী মহাশয়ের সঙ্গে বিজেপির কোনো যোগ আছে কিনা, থাকলেও তা কোন মাত্রার তা আমাদের জানা নেই। কিন্তু বিশ্বভারতীতে আসার পর নানান কার্যকলাপের মধ্যে দিয়ে যে চিন্তাধারার পরিচয় তিনি রেখেছেন, বিভিন্ন প্রসঙ্গে যে সমস্ত মন্তব্য করেছেন, তাতে তাঁর বিজেপি অনুরাগ চাপা থাকেনি।

বিদ্যুৎ বাবুর নিবন্ধে যে সমস্ত বিষয় গুরুত্ব পেয়েছে সেগুলো হল: প্রথম জীবনে সাভারকার একটি বিপ্লবী সংস্থার সঙ্গে যুক্ত ছিলেন এবং গান্ধীজির অহিংস পথের বিপরীতে ঔপনিবেশিক রাজের নিপীড়নের পাল্টা হিংসাত্মক কর্মকাণ্ডকেই ইংরেজের হাত থেকে ভারতকে স্বাধীন করার যথার্থ পথ বলে মনে করতেন। দ্বিতীয়ত, আন্দামান সেলুলার জেলে বন্দী থাকার সময় ব্রিটিশ শাসকদের কাছে যে মুচলেকা তিনি দেন, তা আসলে ছিল তাঁর এক কৌশল। তাঁর চিন্তাধারায় ক্রমে পরিবর্তন আসে এবং ভাবাদর্শের যে রুপরেখা তাঁর মধ্যে জন্ম নেয়, তার সঙ্গে গান্ধীর রাজনীতির বিরোধ ছিল না। তৃতীয়ত, তিনিই প্রথম চিন্তাবিদ যিনি স্বাধীনতার জন্য হিন্দু ও মুসলিমদের মধ্যে ঐক্যের আহ্বান জানান।

তাঁর রাজনৈতিক জীবনের গোড়ার দিকে সাভারকার যে ‘ইণ্ডিয়া হাউস’ নামক বিপ্লবী সংস্থার সঙ্গে যুক্ত ছিলেন এবং বিপ্লবী কর্মকাণ্ডে যোগ থাকার জন্য ১৯১০ সালে গ্ৰেপ্তার হওয়ার পর তাঁকে ভারতে নিয়ে আসার সময় ফ্রান্সের মারসেইলি বন্দর থেকে পালাতে গিয়ে পুনরায় গ্ৰেপ্তার হন, তা ঐতিহাসিক তথ্য এবং কেউই তা অস্বীকার করতে পারবেন না। সাভারকারের বয়স তখন ২৮ বছর এবং তিনি ১৯৬৬ সালে মারা যান ৮৩ বছর বয়সে। তাঁর সমগ্ৰ জীবনে ইতিবাচক কর্মকাণ্ডের নিদর্শন ওই জেলে যাওয়ার আগের পর্যায়েই সীমাবদ্ধ এবং ২৮ বছর বয়সে ৫০ বছরের কারাদণ্ডে দণ্ডিত হয়ে আন্দামানের সেলুলার জেলে বন্দী হওয়ার পর থেকে বাকি জীবন যে ব্রিটিশদের সঙ্গে সহযোগিতায়, স্বাধীনতা আন্দোলনের প্রতি বিশ্বাসঘাকতায় এবং হিন্দু-মুসলিম বিভেদকে গভীরতর করায় নিয়োজিত হয়েছিল, ইতিহাস তার প্রামাণ্য নজির বহন করছে। বিদ্যুৎবাবু সাভারকারের কৌশল ভাবনায় পরিবর্তনের কথা বললেও তা কিন্তু বিশদ করেননি এবং পরিবর্তিত কৌশল স্বাধীনতা আন্দোলনে কিভাবে কাজে লেগেছিল তাও আমাদের জানার বাইরে থেকে গেছে। এবং তাঁর চিন্তাধারায়  গান্ধীর চিন্তাধারার বৈশিষ্ট্য ধরা পড়ার বিদ্যুৎবাবুর দাবি ঘটনাবলীর কষ্টিপাথরে ভিত্তিহীন বলেই প্রমাণিত হয়েছে।

বিদ্যুৎবাবু তাঁর নিবন্ধে ১৯২০ সালে লেখা সাভারকারের মার্জনা ভিক্ষার চিঠিটির কথা উল্লেখ করেছেন। কিন্তু সাভারকার তাঁর সেলুলার জেল জীবনের দশ বছরে পাঁচটা মার্জনা ভিক্ষার চিঠি দেন - ১৯১১, ১৯১৩, ১৯১৪, ১৯১৮ এবং ১৯২০ সালে (এর মধ্যে প্রথমটা সেলুলার জেলে পৌঁছানোর দু-মাসেরও কম সময়ে এবং এত অল্প সময়ে তাঁর হাবভাবে এই পরিবর্তন আমাদের বিস্মিত না করে পারে না)। দ্বিতীয় মুচলেকাটাতে তিনি বললেন, “... সাংবিধানিক পথে আমার রূপান্তরণ সেই সমস্ত বিপথগামী যুবকদের সাংবিধানিক পথে ফিরিয়ে আনবে, ভারতে এবং বিদেশে যে যুবকরা একসময়ে আমাকে তাদের পথপ্রদর্শক বলে মনে করত। সরকার যে ভূমিকায় আমাকে তাদের সেবা করতে বলবে, আমি তাতেই রাজি। … অন্যথায় যা হতে পারে, আমায় জেলে আটক রেখে তার তুলনায় কিছুই পাওয়া যাবে না। …” বিদ্যুৎবাবু ১৯২০ সালের যে মুচলেকাটির উল্লেখ করেছেন, সেটিতেও বলা হয়, “... সাংবিধানিক পথে চলার জন্য অকপটভাবে আমি আমার আন্তরিক অভিপ্রায় প্রকাশ করছি এবং ব্রিটিশ ডমিনিয়নের হস্তে ভালোবাসা এবং সম্মান ও পারস্পরিক সহায়তার বন্ধন অর্পণ করার যথাসাধ্য চেষ্টা করছি।…” দুটি মুচলেকাতেই বিপ্লবী পথ পরিত্যাগ করা, সাংবিধানিক পথকে বরণ করা এবং বিপ্লবী পথে অবিচল থাকা যুবকদের সেই পথ থেকে ফিরিয়ে আনার প্রতিশ্রুতি সুস্পষ্ট। এর মধ্যে কি সাদা, কি বাঁকা চোখে ব্রিটিশদের সঙ্গে সহযোগিতা, তাদের সেবার অঙ্গীকার ছাড়া অন্য কোনো কৌশলকে খুঁজে পাওয়া ভার।

তাদের অনুগত সেবককে বুঝতে ব্রিটিশদের ভুল হয়নি। নারকেল ভেঙ্গে তেল বার করার মতো দৈহিক পরিশ্রম থেকে রেহাই দিয়ে তাঁকে জেলে হালকা কাজ দেওয়া হয়, সেলুলার জেল থেকে তাঁকে ১৯২১ সালে মহারাষ্ট্রের রত্নগিরি জেলে স্থানান্তরিত করা হয় এবং এখান থেকে রত্নগিরি জেলার বাইরে যাওয়া যাবে না এই শর্তে ১৯২৪-র ৬ জানুয়ারী তাঁকে মুক্তি দেওয়া হয়। সেলুলার এবং অন্যান্য জেলে বন্দী স্বাধীনতা সংগ্ৰামীরা বছর-বছর ধরে জেলে পচলেও মাত্র ১৪ বছর কারাবাসের পর সাভারকারের ৫০ বছরের কারাদণ্ডের অবসান ঘটে। রত্নগিরি জেলে বসেই সাভারকার “এসেনসিয়েলস অব হিন্দুত্ব” বইটি লেখেন যাতে হিন্দুত্বর তত্ত্ব বিধৃত হয়। ‘হিন্দুত্ব’ শব্দটির উদ্ভাবনার এবং আধুনিক হিন্দুত্বর প্রথম প্রবক্তা হওয়ার কৃতিত্ব যে তাঁরই, সে কথা তো অনস্বীকার্য।

বিদ্যুৎবাবু ১৮৫৭ সালের মহাযুদ্ধ নিয়ে “ওয়ার অব ইণ্ডিপেণ্ডেন্স” বইটি লেখার জন্য সাভারকারকে হিন্দু-মুসলিম ঐক্যের প্রয়োজনীয়তাকে তুলে ধরার পথিকৃৎ রূপে অভিহিত করেছেন। একথা ঠিকই যে, ভগৎ সিং এবং সে সময়ের অন্যান্য বিপ্লবীরা বইটা পড়ে তার থেকে অনুপ্রাণিত হয়েছিলেন। কিন্তু বইটার মধ্যে সাভারকার এমন কিছু বিষয়ের অবতারণা করেছেন যা দেখায় যে, এ দেশের সমাজ-সংস্কৃতির সঙ্গে একাত্ম হয়ে ওঠা মুসলিমদের তিনি ‘বিদেশী আক্রমণকারী’ রূপে ভুলতে পারছেন না এবং বিষয়গুলো তাঁর ভবিষ্যতের ‘হিন্দুত্ব’র তাত্ত্বিক হওয়াকে আভাসিত করছে। দু-একটা নমুনা পেশ করা যাক। বইটার ভূমিকার এক জায়গায় তিনি বলছেন, “শিবাজির সময় মুসলমানদের বিরুদ্ধে ঘৃণা পোষণ যথার্থ এবং প্রয়োজনীয় ছিল, কিন্তু ওই ধরনের অনুভূতি এখন পোষণ করলে তা অনুচিত এবং মুর্খামি হবে।” আর এক স্থানে তিনি বলছেন, “যতদিন মুসলমানরা ভারতে বিদেশী শাসকের মর্যাদায় ছিল, ততদিন তাদের সঙ্গে থাকলে তাতে জাতীয় দুর্বলতাকে স্বীকার করে নেওয়াই হত।…”

বইটা প্রকাশিত হয়েছিল ১৯০৯ সালে। এর ২৮ বছর পর ১৯৩৭ সালে – মুসলিম লিগ ১৯৪০ সালে পাকিস্তানের দাবি তোলার তিন বছর আগে - হিন্দু মহাসভার ১৯তম অধিবেশনে সাভারকার বললেন, “ব্যাপারটা হল, ভারতে পারস্পরিকভাবে বৈরি দুটো জাতি বাস করছে। ... আজ ভারতকে কোনোভাবেই একতাবদ্ধ ও সমজাতীয় দেশ বলা যাবে না, বিপরীতে ভারতে প্রধানত দুটো জাতি আছে – হিন্দুরা ও মুসলমানরা।” এরপর ১৯৪৩ সালে জিন্নার দ্বিজাতি তত্ত্বকে সমর্থন করে তিনি বললেন, “মাননীয় জিন্নার দ্বি-জাতি তত্ত্বের সঙ্গে আমার কোনো বিরোধ নেই। আমরা, হিন্দুরা নিজেরাই একটা জাতি এবং হিন্দুরা ও মুসলমানরা যে দুটো স্বতন্ত্র জাতি তা ঐতিহাসিক তথ্য।” সাভারকারের মুসলিম প্রীতির যে কোন দৃঢ় ভিত্তি ছিল না, মুসলিম বিদ্বেষ তাঁর মধ্যে যে ফল্গুধারার মত বয়ে চলেছিল এবং পরবর্তীতে সেটাই যে তাঁকে ‘হিন্দুত্ব’র তাত্ত্বিক ভিত্তি প্রতিষ্ঠায় এগিয়ে নিয়ে গিয়েছিল, তা সুস্পষ্টভাবে ধরা পড়ছে।

গান্ধী হত্যা ষড়যন্ত্রেও সাভারকার অভিযুক্ত হয়েছিলেন। তৎকালীন সহ-প্রধানমন্ত্রী এবং কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী বল্লভভাই প্যাটেল ১৯৪৮ সালের ২৭ ফেব্রুয়ারী নেহরুকে লেখা একটা চিঠিতে জানান, “সাভারকারের নেতৃত্বে হিন্দু মহাসভার উগ্ৰ গোষ্ঠী এই ষড়যন্ত্র রচনা করেছে এবং আগাগোড়া এটি তদারকি করেছে।…” প্রত্যক্ষ প্রমাণের অভাবে সাভারকার অপরাধী সাব্যস্ত হওয়া থেকে রেহাই পেয়ে গেলেও গান্ধী হত্যা মামলার রাজসাক্ষী দিগম্বর ব্যাজ কিন্তু সাভারকারকে গান্ধী হত্যার অন্যতম চক্রী রূপে দেখিয়েছিলেন।                                                      

বিদ্যুৎবাবু ইতালির রাজনৈতিক নেতা মাৎসিনির ভাবাদর্শে সাভারকারের অনুপ্রাণিত হওয়ার উল্লেখ করেছেন। বিদেশী শক্তিদের নিয়ন্ত্রণে থাকা কয়েকটি স্বতন্ত্র রাজ্যকে ঐক্যবদ্ধ করে স্বাধীন সংহত ইতালিতে রূপ দেওয়ায় মাৎসিনির গুরুত্বপূর্ণ অবদান ছিল। কিন্তু এই মাৎসিনির জঙ্গী জাতীয়তাবাদী ভাবাদর্শ আবার মুসোলিনির ওপর যথেষ্ট প্রভাব ফেলে এবং এই দিক থেকে মাৎসিনি ছিলেন মুসোলিনির মতাদর্শগত গুরু। প্যারি কমিউনের সমালোচনার জন্য মার্কস মাৎসিনিকে ‘প্রতিক্রিয়াশীল’ এবং ‘চিরস্থায়ী বুড়ো গাধা’ বলে অভিহিত করেছিলেন এবং মাৎসিনির চিন্তাধারা সম্পর্কে বলেছিলেন, “কার্যত মধ্যবিত্ত-শ্রেণী ভিত্তিক প্রজাতন্ত্রের সেকেলে চিন্তাধারার মতোই।” সাভারকার নেহরুর সমালোচনা করে বলেন, “জার্মানির পক্ষে কোনটা সবচেয়ে ভালো সেটা পণ্ডিত নেহরুর চেয়ে হিটলার অবশ্যই ভালো জানেন”; নাজিবাদী ইতালি ও ফ্যাসিবাদী জার্মানির স্তুতিতে আরও বলেন, “নাজি বা ফ্যাসিবাদী জাদু দণ্ডের ছোঁয়ায় জার্মানি ও ইতালি আগের যে কোন সময়ের তুলনায় এমন বিস্ময়করভাবে নিজেদের পুনরুজ্জীবন ঘটাতে ও শক্তিশালী হয়ে উঠতে পারল, এই ঘটনাটাই এটা প্রমাণ করার পক্ষে যথেষ্ট যে, ওই রাজনৈতিক মতবাদগুলোই তাদের স্বাস্থ্যের পক্ষে সবচেয়ে প্রয়োজনীয় টনিক ছিল।” এই অভিমতগুলোর পিছনে মাৎসিনির তথা ফ্যাসিবাদের অনুপ্রেরণার ইঙ্গিত সুস্পষ্ট।

কেন্দ্রের ক্ষমতায় আজ সাভারকারের ভাবশিষ্যদের অধিষ্ঠান। অধিকাংশ রাজ্যেও আজ বিজেপি ক্ষমতায়। তাদের জমানায় সংখ্যালঘু-বিরোধী ঘৃণা ও হিংসাকে অভিযান আকারে নামানো হয়েছে। সরকার বিরোধিতাকে দেশদ্রোহের ছাপ মেরে সরকারের সমালোচকদের জেলে পোরা হচ্ছে। স্বাধীনতার পর গড়ে তোলা প্রতিষ্ঠানগুলোর ওপর, সংসদীয় গণতন্ত্রের ওপর নেমেছে প্রণালীবদ্ধ হামলা। সংবিধানের বিপর্যস্ত হওয়া নিত্যদিনের বাস্তবতা। হাথরাসে দলিত কন্যার লাশের সঙ্গে ভস্মীভূত হয়েছে ন্যায়ের ধারণা এবং সংবিধানের কয়েকটা পাতা। সাভারকারের জীবনকালের অধিকাংশ সময়টাই ছিল স্বাধীনতা আন্দোলনের যুগ। আজ নতুন এক আজাদির লড়াই জরুরি হয়ে আমাদের সামনে হাজির হয়েছে – সাভারকারের ভাবশিষ্যদের হাত থেকে দেশকে মুক্ত করার, পুনরুজ্জীবিত করে তোলা মনুবাদের মূলোৎপাটনের, বহুত্ববাদকে তার অখণ্ড গরিমায় প্রতিষ্ঠিত করা, ফ্যাসিবাদকে প্রতিরোধ করার দৃঢ়প্রতিজ্ঞ লড়াই।

- জয়দীপ মিত্র    

খণ্ড-27
সংখ্যা-38