স্বনির্ভর গোষ্ঠী ও বন্ধন ব্যাংক সহ সমস্ত মাইক্রোফিনান্স সংস্থার ঋণ মুকুব ও ২ বছর কিস্তি আদায় স্থগিত রাখার এবং এই সময়ের অতিরিক্ত সুদ মুকুব করার দাবিতে আন্দোলন চলছিল। কিন্ত মাইক্রোফিনান্স মহাজনী সংস্থার এজেন্টগুলো প্রতিনিয়ত ঋণগ্রস্ত মহিলাদের অসম্মান অপমান ও হেনস্থা করে চলেছেন তাই গত ১ অক্টোবর পুর্ব বর্ধমান জেলার পুর্বস্থলী থানায় ঋণমুক্তি কমিটির পক্ষ থেকে ডেপুটেশন দেওয়া হয়। সকাল ১১টার সময় ৪০০ মানুষের মিছিল শুরু করে বন্ধন ব্যাংক-এর সামনে জমায়েত হয়। বন্ধন অফিসে স্মারক লিপি জমা দেওয়া হয়। তারপর মিছিল থানার সামনে উপস্থিত হয়। থানার আইসি-কে ডেপুটেশন দেওয়া হয়। দাবি রাখা হয় এজেন্টদের অত্যাচারের বিরুদ্ধে পদক্ষেপ নেওয়ার জন্য। আইসি নির্দিষ্ট অভিযোগ পেলে পদক্ষেপ নেওয়ার প্রতিশ্রুতি দেয় এবং থানা এলাকার বিভিন্ন সংস্থার নাম ঠিকানা জানাতে বলেন। বিক্ষোভে বক্তব্য রাখেন অশোক চৌধুরী ও আনসারুল আমন মন্ডল। জমায়েতে বেশিরভাগই মহিলাদের উপস্থিতি থাকলেও শতাধিক পুরুষের সামিল হওয়া উল্লেখজনক। এই জমায়েত এলাকার মানুষের মধ্যে ভালো উৎসাহ সৃষ্টি করে।
৫ অক্টোবর জামালপুর থানায় ২০০ মানুষ জমায়েত হয়ে বিক্ষোভ দেখান এবং থানায় ডেপুটেশন দেওয়া হয়। প্রতিনিধিদের মধ্যে ছিলেন অর্চনা মল, রহিমা বিবি ও নিতাই ক্ষেত্রপাল। বিক্ষোভে বক্তব্য রাখেন আয়ারলার জেলা সম্পাদক আনসারুল আমন মন্ডল।
৬ অক্টোবর পুর্বস্থলী ২নং ব্লক-এর পারুলিয়া বাজারে ২০০ মানুষের অবস্থান বিক্ষোভ মিছিল সংগঠিত হয়। পারুলিয়া বাজারে অবস্থিত সবকয়টি সংস্থার অফিসে লিখিত জমা দেওয়া বিক্ষোভ দেখানো হয়। মিছিল বাজার এলাকার মানুষের মধ্যে ভাল উৎসাহ সৃষ্টি করে। তারপর পুর্বস্থলী গঞ্জের আর কয়েকটি অফিসে মিছিল করে আবেদন জমা দেওয়া হয়।
৬ অক্টোবর কালনা ২নং ব্লক অফিসে বিক্ষোভ অবস্থান সংগঠিত হয়। কয়েকশ মানুষের উপস্থিতিতে বিক্ষোভ অবস্থান থেকেই ঋণমুক্তি কমিটি ও আয়ারলার পক্ষ থেকে বিডিও অফিসে ডেপুটেশন দেওয়া হয় এবং এআইকেএম-এর পক্ষ থেকে এডিও অফিসে ডেপুটেশন দেওয়া হয়। দাবি ছিল, পঞ্চায়েত পঞ্চায়েতে ধান ক্রয় করতে হবে। ২,৩৫০ টাকা ধানের দাম ও ৬,০০০ টাকা পাটের দাম দিতে হবে। অনতিভুক্ত ভাগচাষি লিজচাষি গরিবদের শস্যবীমা ও প্রাকৃতিক দুর্যোগের ক্ষতিপূরণ দিতে হবে। ফসলের দেড়গুণ দাম দিতে হবে। কৃষক পেনশন দিতে হবে।