ভোটের আগে আবারও সেই ২০১৫-র কায়দায় গ্রেপ্তার করা হলো কমরেড মনোজ মঞ্জিলকে। কমরেড মনোজ বিহারের অগিয়াঁও বিধানসভা কেন্দ্রের সিপিআই(এমএল) লিবারেশনের প্রার্থী। তিনি পার্টির কেন্দ্রীয় কমিটিরও সদস্য। দেশজুড়ে তোলপাড় ফেলে দেওয়া ‘সড়ক পে স্কুল’ আন্দোলনের প্রথিকৃৎ এই লড়াকু দলিত তরুণকে বরাবরই ভয় জেডিইউ-বিজেপির। গতবারও জেল থেকে লড়েই কমরেড মনোজ মাত্র ছয় হাজার ভোটে পরাজিত হয়েছিলেন। কিন্তু মনোজের লড়াই হেরে যায়নি। অগিয়াঁওয়ের আলপথ থেকে রাজপথে গরিব-দলিত মানুষের প্রতিদিনকার বেঁচে থাকার লড়াইয়ের সাথী মনোজের বিরুদ্ধে একের পর এক মিথ্যা মামলা দিয়ে রেখেছে প্রশাসন। আর এইসব মামলাগুলো কাজে লাগানো হয় ভোট এলেই। এইবারও সেটাই হলো। দীর্ঘদিন আইসা আন্দোলনে নেতৃত্ব দিয়েছেন এবং বর্তমানে বিপ্লবী যুব অ্যাসোসিয়েশনের সর্বভারতীয় সভাপতি কমরেড মনোজ মঞ্জিল লক্ষ্যে অবিচল। অন্য দলের প্রার্থীরা পাঁচ বছর মানুষের মাঝে না থেকে কেবল ভোটের সময় মানুষের কাছে এসে ভোট চায়, কমরেড মনোজের ক্ষেত্রে ঠিক তার উল্টোটা দাঁড়াল – পাঁচ বছর মানুষের সাথে থেকে ঠিক ভোটের সময়টাই তাঁকে জেলে থাকতে হয়। কিন্তু, গ্রেপ্তার করুক ওরা, লড়াই করবে ভোজপুরের লক্ষ লক্ষ মনোজ মঞ্জিলরা।
মনোজ কিন্তু গ্রেপ্তারের সময়েও হাসছেন। কারণ মনোজ জানেন এক পা জেলে আর এক পা লড়াইয়ের ময়দানে রেখেই লড়ে যেতে হবে। আর এই লড়াই জিততেই হবে।
১) পালিগঞ্জ - সন্দীপ সৌরভ
২) আরা - কায়ামউদ্দিন আনসারী
৩) আগিয়াও (স) - মনোজ মঞ্জিল
৪) তারারি - সুদামা প্রসাদ
৫) ডুমরাঁও - অজিত কুমার সিংহ
৬) কারাকাট - অরুণ সিংহ
৭) আরওয়াল - মহানন্দ প্রসাদ
৮) ঘোষি - রামবলি সিং যাদব
৯) ফুলওয়ারী (স) - গোপাল রবিদাস
১০) দিঘা - শশী যাদব
১১) দারৌলি (স) - সত্যদেব রাম
১২) জিরাদেই - অমরজিৎ কুশওয়াহা
১৩) দারোন্ডা - অমরনাথ যাদব
১৪) ভোরে (স) - জিতেন্দ্র পাসওয়ান
১৫) সিকটা - বীরেন্দ্র প্রসাদ গুপ্তা
১৬) আওরাই - আফতাব আলম
১৭) কল্যাণপুর (স) - রঞ্জিত রাম
১৮) ওয়ারিশনগর - ফুলবাবু সিংহ
১৯) বলরামপুর - মেহবুব আলম