(২৮ সেপ্টেম্বর ভগত সিংএর জন্ম দিবস উপলক্ষ্যে একটি প্রাসঙ্গিক উদ্ধৃতি)
“একথা অবশ্যই মাথায় রাখতে হবে যে সুবিধাভোগী শ্রেণীর ব্যক্তিরা নিজেদের অধিকার ভোগ করার জন্য সংগ্রাম করবে, কিন্তু নীচুতলার মানুষকে দমিয়ে রাখতে তারা সব রকম প্রচেষ্টা চালায়, সমস্ত সুযোগ-সুবিধা থেকে বঞ্চিত মানুষগুলোকে তারা পায়ের তলায় রাখতে চায়। অর্থাৎ, জোর যার মুলুক তার নীতি চালায়। সুতরাং আর সময় নষ্ট না করে নিজের পায়ে উঠে দাঁড়াতে এক হও এবং এই সমাজ কাঠামোকে চ্যালেঞ্জ করো। তারপর দেখা যাক কারা তোমাদের প্রাপ্য অধিকার অস্বীকার করার সাহস দেখায়। অন্যের অনুকম্পা প্রত্যাশী হয়ে বসে থেকোনা, ওদের প্রতি কোনো মোহ রেখো না। সজাগ থাকো যাতে আধিকারিকবর্গের ফাঁদে না পড়ো, কারণ তোমাদের পক্ষপাতি হওয়া তো দূরের কথা ওরা ওদের তালেই তোমাদের নাচাতে চাইবে। প্রকৃতপক্ষে এই পুঁজিবাদী আমলাতান্ত্রিক জোটই তোমাদের দারিদ্র্য ও নিপীড়নের জন্য দায়ী। তাই সর্বদা একে পরিহার কর। এদের কূটকৌশল সম্বন্ধে সজাগ থাকো। এটাই রাস্তা। তোমরাই প্রকৃত শ্রমিক শ্রেণী। শ্রমিকেরা এক হও – শৃঙ্খল ছাড়া তোমাদের কিছু হারানোর নাই। উঠে দাঁড়াও, এই ব্যবস্থার বিরুদ্ধে বিদ্রোহ করো। ক্রমপরিবর্তনবাদ ও সংস্কারবাদ তোমাদের কোনও কাজে আসবে না। সামাজিক আলোড়নের মাধ্যমে বিপ্লব শুরু কর এবং রাজনৈতিক অর্থনৈতিক বিপ্লবের জন্য কোমর বাঁধো। তোমরা, একমাত্র তোমরাই জাতির স্তম্ভ ও মূল শক্তি। জেগে ওঠো ওহে সুপ্ত সিংহের দল! বিদ্রোহ কর, বিপ্লবের পতাকা উর্দ্ধে তুলে ধর।”
(জুন ১৯২৮ সালে ‘কীর্তি’ পত্রিকায় প্রকাশিত ‘অচ্ছুৎ সমস্যা’ প্রবন্ধের শেষ অংশ)