গভীর সংকটের আবর্তে নিমজ্জিত দেশের অর্থনীতি। শাসক ও তাদের পোষমানা খাঁচাবন্দী নীতিকারেরা এই নির্মম বাস্তবকে যতই এড়ানোর চেষ্টা করুক না কেন, এবার দেশের শীর্ষ ব্যাঙ্ক এমন বার্তা বহন করে আনলো যা মোটেই সুখকর নয়। ২৫ আগস্ট, রিজার্ভ ব্যাঙ্ক প্রকাশ করলো ২০১৯-২০’র বার্ষিক রিপোর্ট। বেশ কিছু অপ্রিয় সত্যের পাশাপাশি কেন্দ্রীয় সরকারের কাছে তারা দিয়েছে কিছু প্রস্তাব, এরআগে, বহুবার যা অনেক প্রথিতযশা অর্থশাস্ত্রী দিয়ে এসেছেন, আর প্রতিবারই যা চরম ঔদ্ধত্যের সাথে নাকচ করেছে মোদী সরকার।
রিজার্ভ ব্যাঙ্ক যে ইঙ্গিত দিয়েছে তা হলো ভারত এবার ঢলে পড়তে চলেছে গভীর মন্দার কোলে। পরপর দুটি ত্রৈমাসিকে বৃদ্ধির হার নেমে গেছে শূন্যের নীচে। ২০০৮ সালে বিশ্বব্যাপী যে ফাইনান্সিয়াল মেল্টডাউন ভারতকে হানা দেয় তা ছিল মূলত ফাইনান্সিয়াল সেক্টরের মধ্যে সীমায়িত। কিন্তু এবারের কোভিড-১৯’র থাবা আরও অনেক ব্যাপ্ত, সর্বগ্রাসী, গভীর। যা চাহিদা ও জোগান, এই দুটো ক্ষেত্রকেই লন্ডভন্ড করে দিয়েছে। শুধু আমাদের দেশেই নয়, বিশ্বজুড়ে। ছিন্ন ভিন্ন করে দিয়েছে বিশ্বায়িত গ্লোবাল সাপ্লাই চেন বা শৃঙ্খলকে। তুলনামূলক মজবুত ভিতের উপর দাঁড়িয়ে থাকা ভারতের রাষ্ট্রায়ত্ব ব্যাঙ্ক ২০০৮’র ফিনান্সিয়াল সংকটকে বেশ কিছুটা ঠেকাতে পেরেছিল। কিন্তু এবারের সংকট অভূতপূর্ব। তাই তাকে মোকাবিলার ক্ষেত্রেও ব্যতিক্রমী নজীরবিহীন পদক্ষেপের জন্য সমস্ত প্রতিষ্ঠান আবেদন জানায়। চাহিদা বাড়াও, লক্ষ-কোটি কাজ হারা কর্মক্ষম মানুষের হাতে এই মুহূর্তে তুলে দাও নগদ টাকা, সবাইকে দাও অন্তত ৬ মাস নিখরচায় রেশন। অত্যন্ত রক্ষণশীল শাসকগোষ্ঠী আবার তাদের নিজ নিজ দেশে অস্তাচলে পাঠানো রাষ্ট্রায়ত্ত সংস্থাগুলোকে মজবুত করার পথে হাঁটার সিদ্ধান্ত নিয়েছে। রেটিং সংস্থার তরফ থেকে অবমূল্যায়নের আশঙ্কায় না ভুগে, ক্রমবর্ধমান রাজকোষ ঘাটতি বা বেড়ে যাওয়া মূল্যস্ফীতির দিকে না তাকিয়ে সরকারকে দু’হাতে ঢালাও খরচ করতে হবে। পরিকাঠামোর মতো ক্ষেত্রগুলোতে বিপুল পরিমাণে বিনিয়োগ করলে তৈরি হবে স্থায়ী সম্পদ আর তারই হাত ধরে চাঙ্গা হবে পণ্য পরিষেবার চাহিদা। কাজ হারা অনেক মানুষ কাজ পাবেন, বাড়বে বেতন আর তা খরচ করলে বৃদ্ধি পাবে চাহিদা। অবশেষে, গভীর খাদের কিনারে দাঁড়িয়ে থাকা অর্থনীতিকে পুনরুজ্জীবিত করতে এমন সব প্রস্তাব দিল রিজার্ভ ব্যাঙ্ক, তার সদ্য প্রকাশিত বার্ষিক রিপোর্টে।
রিজার্ভ ব্যাঙ্ক জানিয়েছে, লকডাউন তুলে নেওয়ার পর মে-জুন মাসে যেটুকু চাঙ্গাভাব লক্ষ্য করা গেছিল তা শক্তি হারায় জুলাই-আগস্টে এসে। শহরাঞ্চলে চাহিদার বিপুল ঘাটতি অর্থনীতিকে চাঙ্গা করার ক্ষেত্রে বিরাট এক বাধা। তুলনামূলকভাবে বহুদিন পর ভালো বর্ষার কারণে গ্রামাঞ্চলে চাহিদা বৃদ্ধি বাড়লেও নিজ নিজ গ্রামে ফিরে আসা পরিযায়ী শ্রমিকদের পরিঘটনা, কর্মচ্যুতি ও নিম্নগামী মজুরি চাহিদা বৃদ্ধির পথে অন্তরায় হয়ে থাকছে। শহরাঞ্চলে স্বনিযুক্ত ও ক্যাজুয়াল শ্রমিকদের মিলিত সংখ্যার হার ৫১.৩%। আর, অতিমারী এই বিপুল জনসংখ্যার কর্মসংস্থান কেড়ে নেওয়ায় তা শহুরে অর্থনীতির উপর জোরালো আঘাত হেনেছে। গ্রামাঞ্চলেও প্রায় ৪০ শতাংশ ক্যাজুয়াল শ্রমিক নির্মাণ শিল্পের সাথে যুক্ত। লকডাউন সব কিছু স্তব্ধ করে দেওয়ায় এই ক্ষেত্রটিও মুখ থুবড়ে পড়েছে। লকডাউনের ফলে নিদারুণ এই কর্মচ্যুতি আর্থিক কর্মকান্ডে এতটাই প্রভাব ফেলেছে যে রিজার্ভ ব্যাঙ্কের মতে ২০২১’র অর্থবর্ষের দ্বিতীয় ত্রৈমাসিক পর্যন্ত তা গড়াবে।
সম্প্রতি অর্থমন্ত্রী জিএসটি’র ক্ষতিপূরণ রাজ্যগুলোকে না দেওয়ার ক্ষেত্রে কোভিড-১৯’র ‘দৈবদুর্বিপাক’-এর দিকে আঙ্গুল তুলেছেন। কিন্তু আমরা সকলেই জানি যে এ দেশে কোভিড-১৯ হানা দেওয়ার আগে দেশের অর্থনীতি মোটেই এক সাজানো বাগান ছিল না। বিগত চার দশকে সর্বাধিক বেকারত্বের পাশাপাশি আর্থিক বৃদ্ধি ঠেকেছিল তলানিতে। নাভিশ্বাস উঠেছিল গ্রামীণ অর্থনীতির। তার সাথে যুক্ত হয় ব্যাঙ্কের বিপুল বহরের অনাদায়ী ঋণ, ইয়েস ব্যাঙ্কের পতন প্রভৃতি নানা সংকটের ফাঁদ। রিজার্ভ ব্যাঙ্কের রিপোর্ট জানাচ্ছে, পূর্বের অর্থবর্ষে ব্যাঙ্ক জালিয়াতির সংখ্যা লাফ দিয়ে বেড়েছে দ্বিগুণ, ২০১৮’র অর্থবর্ষে ব্যাঙ্ক জালিয়াতির ঘটনা ৫,৯০০ থেকে ২০১৯’র অর্থবর্ষে বেড়ে হয়েছে ৬,৮০০ যা মোট মূল্যের ৭৪ শতাংশ। যথারীতি, সরকারি ভাষ্যের সাথে গলা মেলানো রিজার্ভ ব্যাঙ্ক প্রাক প্যান্ডেমিক আর্থিক পরিস্থিতিতে যে নাছোড় স্লোডাউন চলছিল তা স্বীকার করেনি। সে তার রিপোর্টে প্রাক কোভিড অবস্থায় ফিরে যেতেই সরকারকে বিনিয়োগের দাওয়াই দিয়েছে, পরামর্শ দিয়েছে চাহিদা বৃদ্ধির জন্য সরকারি হস্তক্ষেপের। মনে রাখা দরকার, রিজার্ভ ব্যাঙ্ক কোনো উচ্চাকাঙ্খী লক্ষ্যমাত্রা না বেঁধে এক রক্ষণাত্বক অবস্থান থেকে প্রাক-প্যান্ডেমিক স্লোডাউনের অবস্থায় ফিরে যেতে কিছু সুপারিশ করেছে, আর, একই নিঃশ্বাসে অবিলম্বে অন্তত চারটি লাভজনক সুবৃহৎ রাষ্ট্রায়ত্ত সংস্থা বিপিসিএল, কন্টেনার কর্পোরেশন, শিপিং কর্পোরেশন ও আইডিবিআই’র বিলগ্নিকরণের প্রস্তাব দিয়েছে, যার মাধ্যমে সরকারী কোষাগারে আসবে বিপুল রাজস্ব। আর, মোদীর ‘আত্মনির্ভর’ ভারতের আড়ালেই রয়েছে রাষ্ট্রায়ত্ত ক্ষেত্রগুলোর ঢালাও বেসরকারীকরণ, বিলগ্নিকরণের দেশ বিক্রির দাওয়াই।
যে আইএমএফ, বিশ্বব্যাঙ্কের নির্দেশিত ‘উন্নয়নী’ মডেল ধরেই ভারতের মতো উন্নয়নশীল দেশগুলো তাদের আর্থিক গতিপথ তৈরি করেছিল, সেই আইএমএফ প্যান্ডেমিক পরবর্তী দুনিয়ায় আর্থিক কর্মকান্ড বিকাশের জন্য সরকারকে বিপুল পরিমাণে টাকা খরচ করার নিদান দিয়েছে। আইএমএফ’র প্রস্তাব, অর্থনীতিকে পুনরুজ্জীবিত করতে সরকার লগ্নি করুক স্বাস্থ্য-শিক্ষা-গবেষণা-পরিবেশবান্ধব প্রযুক্তি-পরিকাঠামো প্রভৃতি ক্ষেত্রে, আর প্রগতিশীল কর-এর প্রবর্তন করুক। যার যত বেশি আয়, সরকার তার থেকে তত বেশি কর নিক। কাজ হারা মানুষদের আর্থিক সাহায্য করুক। আর, সবচেয়ে বড় যে কথাটা বলেছে, অর্থনীতিকে সচল করতে এই সময়ে অনেক বেশি বেড়েছে রাষ্ট্রায়ত্ত সংস্থাগুলোর গুরুত্ব। ৩ এপ্রিল লন্ডনের ফিনান্সিয়াল টাইমস তার সম্পাদকীয় নিবন্ধে লিখেছে, বিগত চার দশক ধরে পলিসির যে গতিমুখ ছিল, তার আমূল বদল ঘটিয়ে নতুন নীতি সামনে আনতে হবে। অর্থনীতির ক্ষেত্রে আরো সক্রিয় ভূমিকায় অবতীর্ণ হতে হবে সরকারকে। রাষ্ট্রীয় উদ্যোগকে বোঝা হিসাবে না দেখে বিনিয়োগের উপর জোর দেওয়াটা জরুরি। যে শ্রম বাজার হয়ে উঠেছে মারাত্বক ঝুঁকিপূর্ণ, সেটাকে সুরক্ষিত করতে হবে। সম্পদের পুনর্বন্টনকে আবার ফিরিয়ে আনতে হবে এক অ্যাজেন্ডা হিসাবে। যে নীতিগুলোকে এতদিন পাগলামো বলে গণ্য করা হতো, যেমন, বুনিয়াদী বা বেসিক আয়, সম্পত্তি কর, তার একটা মিশেল চালু করা দরকার। বাম অর্থশাস্ত্রীরা এতদিন যে সমস্ত কথা বলে আসছিলেন, আজ বিদেশের সবচেয়ে প্রতিষ্ঠিত মুখপত্র ফিনান্সিয়াল টাইমস স্বীকার করে নিচ্ছে যে বিগত চার দশক ধরে চলা আর্থিক নীতিমালা আজ অচল হয়ে গেছে। পরিহাস এটাই, গতবছর ব্রিটেনে নির্বাচনের সময়ে ব্রিটিশ লেবার পার্টির নেতা জেরেমি করবিন সম্পদের পুনর্বিন্যাসের অ্যাজেন্ডা সামনে নিয়ে আসায় এই ফিনান্সিয়াল টাইমস তীব্র সমালোচনা করে সম্পাদকীয় নিবন্ধ লেখে। তারা বলে এটা হচ্ছে ব্যবসার উপর আঘাত, আর ব্যবসার উপর আঘাতের অর্থ সম্পদ সৃষ্টির উপর আঘাত, যা শেষ বিচারে গণতন্ত্রের উপর হামলার সামিল। আজ তারাই সম্পূর্ণ বিপরীত কথা বলছে।
তবে রিজার্ভ ব্যাঙ্ক স্বীকার করেছে যে অর্থনীতিকে গতি দিতে গত বছর সেপ্টেম্বর মাসে অর্থমন্ত্রী বিনিয়োগ বাড়াতে কর্পোরেট সংস্থাকে যে বিপুল করছাড় ও অন্যান্য আর্থিক সুযোগ সুবিধা দিয়েছিলেন তা পুরোপুরি জলে গেছে। দেশীয় সংস্থাগুলোর জন্য ২২ শতাংশ ও নতুন দেশজ উৎপাদনভিত্তিক সংস্থাগুলোর জন্য ১৫ শতাংশ করছাড় সহ নানান ছাড় বাবদ রাজকোষ থেকে বাৎসরিক যে ১.৪৫ লক্ষ কোটি টাকা ভর্তুকি দেওয়া হয়েছিল, সেই সুবিধা নিয়ে কর্পোরেট সংস্থাগুলো নিজেদের বকেয়া ধার দেনা মিটিয়েছে, বা নগদ সঞ্চয় করেছে, কিন্তু নতুন বিনিয়োগ করেনি। এমনকি মার্চে লকডাউন ঘোষিত হওয়ার পর বৃদ্ধিকে গতি দিতে এবং ফাইনান্সিয়াল ব্যবস্থাকে সবল করতে রিজার্ভ ব্যাঙ্ক যে বিভিন্ন খাতে ১০ লক্ষ কোটি টাকা (নানা খাতে ঋণ বাবদ) সঞ্চালিত করে, তাও কোনো কাজে এলো না। রাষ্ট্রীয় বিনিয়োগের পথ ধরে চাহিদা বাড়ানোর বদলে মোদী সরকার মে মাসে কুড়ি লক্ষ কোটি টাকার যে আর্থিক প্যাকেজ ঘোষণা করেছিল তা বাস্তবে চার লক্ষ কোটি টাকার গন্ডি টপকাতে পারেনি। কিন্তু অর্থশাস্ত্রীরা বার বার বলেছিলেন অন্তত দশ লক্ষ কোটি টাকা, যা জিডিপির দশ শতাংশ অতিরিক্ত খরচ না করলে আর্থিক বৃদ্ধির রাস্তা সুগম হবে না। কিন্তু কেন্দ্রীয় সরকার নগদের বদলে গোড়া থেকেই ঋণ প্রদানের মাধ্যমে পরিস্থিতিকে মোকাবিলা করতে চেয়েছিল। অর্থনীতির নির্মম বাস্তব প্রমাণ করলো রিজার্ভ ব্যাঙ্ক যে বিরাট বহরের ঋণ স্টিমুলাস দিয়েছিল তাতে চিড়ে ভিজলো না।
রিজার্ভ ব্যাঙ্ক জানিয়েছে, ক্রেতাদের আত্মবিশ্বাস একেবারে তলানিতে ঠেকেছে, আজ পর্যন্ত এতো নীচে তা কখনো নামেনি। কাজ হারানো, মূল্যস্ফীতি, আয়ের ক্ষেত্রে বিরাট মাত্রায় সংকোচন চরম হতাশার জন্ম দিয়েছে, যা বাজারকে গতি দিতে দুস্তর এক বাধা। আবার এই অতিমারী নগ্নভাবে উন্মোচিত করেছে বৈষম্য। এক শ্রেণির কর্মীরা যেমন পেয়েছেন বাড়ি থেকে কাজ করার সুবিধা, অপরদিকে বহু কর্মী, যেমন সাফাইকর্মী, পরিবহনকর্মী, স্বাস্থ্য ব্যবস্থার সাথে যুক্ত কর্মী, সমাজের দরিদ্রতম অংশকে এই অতিমারীর সমূহ বিপদ মাথায় নিয়ে পুরোভাগে দাঁড়িয়ে কাজ করে যেতে হয়েছে, যার সর্বোচ্চ মাশুলও দিতে হয়েছে এই অংশটিকে।
গভীর উদ্বেগ সৃষ্টি করে ৩১ আগস্ট কেন্দ্রীয় সরকারের দু’টি সংশ্লিষ্ট মন্ত্রক প্রকাশ করলো অর্থনীতির দু’টো বিবর্ণ ছবি। এক, গত বছরের সাপেক্ষে, এবছর এপ্রিল-জুন-এর ত্রৈমাসিকে দেশের জিডিপি ২৩.৯ শতাংশ নীচে নেমে গেছে আর দ্বিতীয় তথ্যটি হলো, পরিকাঠামোর সঙ্গে সম্পর্কযুক্ত আটটি মূল বা কোর ক্ষেত্রের উৎপাদন পর পর পাঁচ মাস যাবৎ হ্রাস পেতে পেতে এই জুলাই মাসে কমেছে ৯.৬ শতাংশ। সার বাদে, কয়লা-অপরিশোধিত তেল-প্রাকৃতিক গ্যাস-রিফাইনারি-ইস্পাত-সিমেন্ট-বিদ্যুত ক্ষেত্রে জুলাই মাস পর্যন্ত বৃদ্ধির হার ঋণাত্বক।
৩০ আগস্ট ভারতে একদিনে করোনায় সংক্রামিত হলেন ৭৮ হাজার ৭৬১ জন। এরআগে বিশ্বে কোভিডে আর কোনো দেশে একদিনে এত বিপুল সংখ্যক মানুষ আক্রান্ত হননি। বিশেষজ্ঞদের মতে ভারতে সংক্রমণের গতি পৃথিবীতে সবচেয়ে বেশি। আর এই ভয়ংকর বিপন্ন সময়ে ভাবলেশহীন চরম অসংবেদী প্রধানমন্ত্রী মজে আছেন ময়ূরের কেকা রবে, পেখমের সৌন্দর্যে। অর্থনীতি যখন জাহান্নামে তখন তার আগুণে বসে ভারতকে আন্তর্জাতিক খেলনার হাবে পরিণত করতে, সেরা জাতের দেশীয় সারমেয় প্রজননের পরামর্শ দিচ্ছেন দেশবাসীকে।
এই গভীর দুর্দিনে মানুষকেই এগিয়ে আসতে হবে নির্দয় রাষ্ট্রনায়কদের বিরুদ্ধে প্রতিরোধের পতাকাকে ঊর্ধ্বে তুলে ধরে।
- অতনু চক্রবর্তী