২২ সেপ্টেম্বর রন্ধনকর্মী ইউনিয়নের হুগলি জেলা শাখার পক্ষ থেকে মিড ডে মিল প্রকল্পের জেলা আধিকারিকের কাছে একটি ডেপুটেশন দেওয়া হয়। মূল দাবিগুলো ছিল :
১। বর্তমান সঙ্কটের পরিস্থিতিতে পূজোর ছুটিতেও অক্টোবর মাসের ভাতা দিতে হবে,
২। বিশেষ লকডাউন ভাতা,
৩। স্বাস্থ্যসাথী কার্ড,
৪। উৎসবে বোনাস/অনুদান,
৫। রন্ধন কর্মীদের পরিচয়পত্র দিতে হবে, যাতে শাসক পাল্টালে নিজেদের লোক ঢোকানোর অপচেষ্টা বন্ধ করা যায়।
আধিকারিক দাবিগুলোর সাথে সহমত হয়ে অনেকক্ষণ আলোচনা করেন। স্বাস্থ্যসাথী কার্ড দ্রুত দেওয়ার প্রতিশ্রুতি দেন। পরিচয়পত্র প্রসঙ্গে তিনি বলেন, বিডিওদের নির্দেশ দেবেন যাতে কর্মরত কর্মীদের কোনোভাবেই ছাঁটাই করা না হয়।
আমাদের অভিযোগ ছিল — বর্তমানে ছাত্রদের সঙ্গে রন্ধনকর্মীদেরও খাদ্যসামগ্রী দেওয়া হয়, কিন্তু কোনো কোনো স্কুলে রন্ধনকর্মীদের তা দেওয়া হয় না। আধিকারিক এই সমস্যা সমাধানের আশ্বাস দিয়েছেন।
একই দিনে স্বনির্ভর গোষ্ঠীর মূল দাবি গুলো নিয়ে মহিলা সমিতির পক্ষ থেকে এডিএম-র কাছে একটি ডেপুটেশন দেওয়া হয়। ঋণগ্রহিতাদের নিজের মুখে সমস্যাগুলোর কথা তিনি মন দিয়ে শোনেন।
তিনি বলেন, দিন কয়েক আগে ব্যাঙ্কগুলোর সাথে চাপ সৃষ্টির ব্যাপারে বৈঠক হয়েছে, তবু আমি আবারও কথা বলব এবং আপনাদের তার কপি দেব। আমরা বলি রাজ্য সরকার এপ্রিল মাসে ঘোষণা করেছিল সমবায় ব্যাঙ্কগুলো ঋণ গ্রহিতাদের তিন মাসের কিস্তি মকুব করবে, কিন্তু তা হচ্ছে না। এডিএম বলেন বিষয়টা দেখবেন। গোষ্ঠীগুলো যাতে প্রকৃত স্বনির্ভর হয়ে উঠতে পারে, তার জন্য তিনি বেশ কিছু পরামর্শ ও সহযোগিতার কথা বলেন। শেষে এডিএম বলেন আপনাদের দাবিগুলোর সাথে সহমত হয়েই দ্রুত ওপরে পাঠিয়ে দেব, তার ডকুমেন্ট ২৯ সেপ্টেম্বর এই অফিস থেকে নিয়ে নেবেন।
আর একটা কথা :
গোষ্ঠীদের নিয়ে আন্দোলন করতে গিয়ে একটি ভালো জিনিস লক্ষ্য করা যাচ্ছে। বিভিন্ন অঞ্চলের কয়েক জন নতুন এগিয়ে এসে মহিলা সমিতির সদস্য সংগ্রহের কাজটিও শুরু করেছেন। তার চাঁদাও জমা দিয়েছেন।