কৃষক বিরোধী অধ্যাদেশ প্রত্যাহার করার দাবিতে বিক্ষোভে লক্ষ লক্ষ কৃষক
kri

অখিল ভারতীয় কিষাণ সংঘর্ষ সমন্বয় সমিতি-র নেতৃত্বে বাংলার তথা সারা দেশে দশ লক্ষ কৃষক গর্জে ওঠে গত ১৪ সেপ্টেম্বর। কোনোমতেই কৃষক বিরোধী ৪টি আইন পাস করা চলবে না।

কেন্দ্রীয় সরকারের জারি করা ও ১৪ সেপ্টেম্বর সংসদে পেশ করা

(১) অত্যাবশ্যকীয় পণ্য আইন সংশোধনী অধ্যাদেশ/বিল, ২০২০

(২) কৃষি পণ্যের ব্যবসা বাণিজ্য অধ্যাদেশ/বিল, ২০২০

(৩) কৃষি কাজের চুক্তি অধ্যাদেশ/বিল, ২০২০ এবং

(৪) বিদ্যুৎ (সংশোধনী) বিল, ২০২০ অবিলম্বে বাতিল করার দাবিতে সারা দেশের ২৫০-র ও বেশি কৃষক ও খেতমজুর সংগঠনের যুক্ত মঞ্চ – অখিল ভারতীয় কিষাণ সংঘর্ষ সমন্বয় সমিতি-র নেতৃত্বে বাংলার তথা সারা দেশে দশ লক্ষ কৃষক প্রায় সাত হাজার জায়গায় আজ গর্জে উঠেছে। কৃষকদের মতো স্পষ্ট – কোনোমতেই কৃষক-বিরোধী এই ৪টি আইন পাস করা চলবে না। কৃষকদের আরো দাবি — ডিজেলের ৫০% মুল্য হ্রাস করতে হবে, ফসলের ন্যায্য মুল্য পাওয়া নিশ্চিত করতে হবে ও কৃষকের সব ঋণ মকুব করতে হবে।

কৃষক বিরোধী চারটি অধ্যাদেশ/বিল ও দেশের কৃষিক্ষেত্রকে কর্পোরেটের হাতে তুলে দেওয়ার জন্য কেন্দ্রীয় সরকারের বিভিন্ন পদক্ষেপের বিরোধিতা করে বিক্ষোভ কর্মসূচী পালন করা হয়। দিল্লীতে সংসদ ভবনের সামনে বিক্ষোভ প্রদর্শিত হয়। সারা দেশ জুড়ে জেলা, মহকুমা এবং ব্লক আধিকারিকদের সামনে লক্ষ লক্ষ কৃষক বিক্ষোভ দেখান।

অখিল ভারতীয় কৃষক সংঘর্ষ সমন্বয় সমিতির পশ্চিমবঙ্গ রাজ্য শাখার পক্ষ থেকে মৌলালীর কাছে বিক্ষোভ প্রদর্শনের ডাক দেওয়া হয়েছিল। কৃষক নেতারা এই বিক্ষোভ সমাবেশে যোগ দেন। এআইকেএসসিসি-র সর্বভারতীয় সম্পাদক অভীক সাহা, রাজ্য সম্পাদক কার্তিক পাল, মদন ঘোষ, বেচু দলুই, প্রভাত মজুমদার, মিহির পাল, হরিপদ বিশ্বাস, পরেশ পাল প্রমুখ কৃষক নেতৃবৃন্দ সমাবেশে বক্তব্য রাখেন। তাঁরা বলেন, এই কেন্দ্রীয় সরকার সর্বতোভাবে কৃষক বিরোধী। ক্ষমতায় আসার পর থেকেই কর্পোরেট স্বার্থকে রক্ষা করার জন্য কৃষি ও কৃষকের স্বার্থকে বিসর্জন দেওয়া হচ্ছে। কোভিড-১৯ অতিমারীর সময়কে কাজে লাগিয়ে সরকার দ্রুত বিভিন্ন অধ্যাদেশ ও বিল এনে দেশের কৃষি ব্যবস্থাকে কর্পোরেট জগতের হাতে তুলে দিতে চাইছে। মজুতদার ও কালোবাজারি ব্যবসায়ীদের স্বার্থে আইন প্রণয়ন করছে। কৃষক বিরোধী এই আইনগুলি অবিলম্বে বাতিল করতে হবে। বলা হয়, দাবিগুলি না মানা হলে দেশজুড়ে লাগাতার আন্দোলন চালিয়ে যাওয়া হবে।

খণ্ড-27
সংখ্যা-33