নাম সত্যমেব জয়তে। তিনি ছিলেন পঞ্চায়েত প্রধান। কিন্তু তাঁর অপরাধ ছিল যে, উচ্চবর্ণের মাতব্বরদের কথামত না চলে নিজের বিচার বিবেচনা অনুযায়ী স্বাধীনভাবে সিদ্ধান্ত নেওয়া। আধিপত্যকারী শক্তিগুলোর পক্ষে দলিত প্রধানের আত্মঘোষণাকে সহ্য করা সম্ভব হয়নি। গত ১৪ আগস্ট আজমগড় জেলার তারওয়ান থানার বাসগাঁও গ্ৰামের বাড়ি থেকে ডেকে নিয়ে গিয়ে তাঁকে হত্যা করেই তারা তাদের প্রতিশোধ স্পৃহাকে চরিতার্থ করে। এই হত্যার প্রতিবাদে গ্ৰামবাসীরা স্থানীয় পুলিশ চৌকি ঘেরাও করলে পুলিশের সঙ্গে তাদের সংঘর্ষ বাধে। গ্ৰামবাসীদের শিক্ষা দিতে আজমগড়ের লালগঞ্জের পুলিশ অফিসার জনগণের ভিড়ে মোটরবাইক চালিয়ে দেন এবং এর পরিণামে ঘটনাস্থলে ১২ বছরের এক কিশোরের মৃত্যু হয়।
ঘটনার তদন্তে সিপিআই(এমএল)-এর তিন সদস্যের একটি দল বাসগাঁও গ্ৰাম পরিদর্শন করে। মৃত গ্ৰাম প্রধানের পরিবারের সদস্য এবং অন্যান্য গ্ৰামবাসীদের সঙ্গে আলোচনার পর সামন্ততান্ত্রিক শক্তিগুলোর উৎপীড়ন এবং পুলিশ-দুর্বৃত্ত আঁতাতের বিরুদ্ধে প্রতিবাদ জানানোর সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়।
প্রতিবাদী সভায় সিপিআই(এমএল) নেতা জয়প্রকাশ নারায়ণ বলেন, দলিত প্রধান সত্যমেব জয়তে উচ্চ বর্ণের শক্তিগুলোর কাছে নতি স্বীকার করতে অসম্মত হন বলেই তাঁকে হত্যা করা হয়। তিনি আরও বলেন, আজমগড়ে দুর্বৃত্তরা স্পর্ধিত হয়ে উঠে একের পর এক অপরাধ সংঘটিত করলেও তাদের বিরুদ্ধে কোনো ব্যবস্থাই নেওয়া হয় না। শুধু আজমগড়ই নয়, গোটা উত্তরপ্রদেশেই যোগী সরকার ও তাদের পুলিশ দুর্বৃত্তদের মদত যোগাচ্ছে। দলিত ও দরিদ্রদের কাছে তিনি আবেদন জানান এই অনাচারের বিরুদ্ধে নির্ভয়ে প্রতিবাদ জানানোর। সেদিনের প্রতিবাদ কর্মসূচীর পর রাজ্যপালের উদ্দেশ্যে একটি স্মারকলিপি প্রেরণ করা হয়। তাতে নিম্নলিখিত দাবিগুলি জানানো হয়।