৬টি বামপন্থী মহিলা সংগঠনের আহ্বানে গত ২৮ আগস্ট সারা দেশ জুড়ে মহিলারা জীবন-জীবিকা, স্বাস্থ্য ও গণতান্ত্রিক অধিকার রক্ষার দাবিতে সোচ্চার হন এবং বিভিন্ন কর্মসূচী পালন করেন। পশ্চিমবঙ্গেও বিভিন্ন জেলায় সারা ভারত প্রগতিশীল মহিলা সমিতি (এআইপিডব্লিউএ), এআইডিডব্লিউএ, এনএআইডব্লিউ, এনবিএমএস, এআইএএমএস এবং এআইএমএসএস – এই ছ’টি বামপন্থী মহিলা সংগঠনের পক্ষ থেকে যুক্তভাবে প্রতিবাদ সভা, মিছিল, বিক্ষোভ ইত্যাদি কর্মসূচী রূপায়ণ করা হয়।
কলকাতায় হাজরা মোড়ে যৌথ উদ্যোগে পথসভা, হাওড়া জেলার বিভিন্ন অঞ্চলে আইপোয়া স্বাধীন ভাবে সভা, উত্তর ২৪ পরগণা জেলা সদর বারাসাতে যৌথ মিছিল ও আশোকনগর মোড়ে আইপোয়া-র নিজস্ব উদ্যোগে প্রতিবাদ কর্মসূচী, দক্ষিণ ২৪ পরগণা আইপোয়ার উদ্যোগে বজবজে চড়িয়াল ও কালীপুর মোড়ে সভা, হুগলি জেলায় চুঁচুড়া পিপুালপাতির মোড়ে যৌথ সভা, পশ্চিম বর্ধমান জেলার বার্নপুর বাজার সংলগ্ন বাসস্ট্যান্ডে আইপয়া ও আইডোয়া’র যৌথ কর্মসূচী, কুচবিহারের ঘাসবাজারে সংগঠনগুলির উদ্যোগে যৌথ মিছিল ও সভা, শিলিগুড়ি হাসমিচকে আইপোয়া সহ ছয়টি বামপন্থী মহিলা সংগঠন মিলে বিক্ষোভ কর্মসূচী সংগঠিত হয়।
করোনা বিপর্যয়ের এই বিশেষ পরিস্থিতিতেও রাজ্য জুড়ে হাজার হাজার মহিলা স্বতস্ফূর্তভাবে এই যৌথ প্রতিবাদ কর্মসূচীতে অংশ নেন। এই কর্মসূচী থেকে খাদ্য সুরক্ষা সহ সমস্ত মহিলাদের কর্মসংস্থান, সকলের জন্য স্বাস্থ্য পরিষেবা, প্রতিটি পঞ্চায়েতে ও পৌরসভায় সুব্যবস্থাসম্পন্ন সরকারী হাসপাতাল, স্বনির্ভর গোষ্ঠীর মহিলাদের ঋণ মকুব, নারীর উপর হিংসা বন্ধ করা এবং রাজনৈতিক বন্দী ও নারী আন্দোলনের কর্মীদের মুক্তির দাবিতে রাজ্য জুড়েই নারী-কণ্ঠ সোচ্চার হয়ে ওঠে। আশা, অঙ্গনওয়াড়ি, পরিচারিকা প্রভৃতি স্কিম ওয়ার্কারদের সরকারী কর্মচারি ও শ্রমিক হিসেবে স্বীকৃতি প্রদান ও নিয়মিত ভাতা প্রদান, নূন্যতম ১০ হাজার টাকা বেতন/ভাতা ও ঋণমুক্তি সহ মহিলাদের বিভিন্ন দাবি দাওয়া নিয়ে এই বিক্ষোভ কর্মসূচী চলে। এই জমায়েতগুলিতে আইপোয়া’র রাজ্য জেলা ও স্থানীয় নেত্রী ও কর্মীদের উপস্থিতি যথেষ্ট ভালো মাত্রায় ছিল।
– ইন্দ্রানী দত্ত