১৪ সেপ্টেম্বর থেকে শুরু হওয়া লোকসভা সত্রে বিজেপি সরকার শ্রমিকদের অর্জিত অধিকারগুলিকে সম্পূর্ণভাবে বিলুপ্ত করার লক্ষ্যে চারটি শ্রমকোডের মধ্যে বাকি তিনটি শ্রমদাসত্বের কোডকে আইনি মান্যতা দিতে বদ্ধপরিকর। এই শ্রমিক বিরোধী নীতি প্রণয়নের অপচেষ্টার বিরুদ্ধে শ্রমিক অধিকার বাঁচানোর জন্য দাসত্বের চারটি শ্রমবিরোধী শ্রম বিল বাতিলের দাবিতে এআইসিসিটিইউ-র দেশব্যাপী প্রচারাভিযান শুরু হয়েছে ১৬ সেপ্টেম্বর থেকে, চলবে ২৮ সেপ্টেম্বর পর্যন্ত।
শিলিগুড়ি শহরে হাসমি চক মোড়ে প্রতিবাদ বিক্ষোভ প্রদর্শিত হয়। এই প্রতিবাদ বিক্ষোভ প্রস্তাবিত চারটে শ্রম বিলের কপি পোড়ান এআইসিসিটিইউ-র দার্জিলিং জেলা সভাপতি অভিজিৎ মজুমদার। তার আগে বিক্ষোভ প্রদর্শনে বক্তব্য রাখেন এআইসিসিটিইউ-র রাজ্য সম্পাদক বাসুদেব বসু।
জলপাইগুড়ি শহরের কদমতলা মোড়ে প্রতিবাদ প্রদর্শিত ও বিলের কপি পোড়ানো হয়। ভাস্কর দত্ত, প্রদীপ গোস্বামী, শ্যামল ভৌমিক, সুভাষ দত্ত, মুকুল চক্রবর্তী, গোপাল রায় প্রমুখেরা অংশগ্রহণ করেন।
পশ্চিম বর্ধমানের শিল্প শহর আসানসোলের কেন্দ্রে, হটন রোডে ১৬ সেপ্টেম্বর, পশ্চিম বর্ধমানের জেলা নেতৃত্বকারী দলের সম্পাদক সুরেন্দ্র কুমার সহ বাকি অন্যান্য আঞ্চলিক নেতৃত্বও সমর্থকদের উপস্থিতিতে পোড়ানো হলো শ্রমিক বিরোধী শ্রম-কোড।
“শ্রমিক অধিকার বাঁচাও- দাসত্বের শ্রম কোড জ্বালাও” এই আহ্বানে প্রচার চলছে। এর মধ্যে ১৯ সেপ্টেম্বর পালিত হবে রেল বেসরকারীকরণের বিরুদ্ধে প্রতিবাদ দিবস, আর ২৩ সেপ্টেম্বর সমস্ত কেন্দ্রীয় ট্রেড ইউনিয়ন গুলো “রাষ্ট্রায়ত্ত ক্ষেত্র বাঁচাও” দিবস পালন করবে। কলকাতার হাজরা মোড়ে প্রতিবাদী সভা অনুষ্ঠিত হলো। শ্রম কোড ছাড়াও, রাষ্ট্রায়ত্ত সংস্থাগুলোর বেসরকারীকরণ-বিলগ্নিকরণ-কর্পোরেটকরণের বিরুদ্ধে, গণতন্ত্রের উপর নেমে আসা সার্বিক হামলার বিরুদ্ধে সভায় বক্তব্য রাখেন তরুণ সরকার, তমাল চক্রবর্তী, অতনু চক্রবর্তী। সভা পরিচালনা করেন মমতা ঘোষ। সভা শেষে শ্রম কোডের প্রতিলিপি জ্বালানো হয়।