তৃণমূলের অপদার্থতা, দুর্নীতি, দলবাজি, সন্ত্রাস ও স্বৈরাচারকে হাতিয়ার করে বিজেপি সাধারণ মানুষের জীবন বাজি রেখে পশ্চিমবঙ্গের মসনদ দখলের স্বপ্ন দেখছে। তাই রাজ্যে খুন-সন্ত্রাস বেড়ে চলেছে। মানুষের জীবন জীবিকার সংগ্রামকে পিছনে ফেলে দিতে চাইছেন। সারা ভারত কৃষি ও গ্রামীণ মজুর সমিতি, সারা ভারত কৃষক মহাসভা, আদিবাসী অধিকার ও বিকাশ মঞ্চ ও ঋণ মুক্তি কমিটির নেতৃত্বে লকডাউনের কঠিন পরিস্থিতির মধ্যেও মানুষের দাবি আদায়ের জন্য আন্দোলন চালিয়ে যাচ্ছে। চলছে ঋণ মুক্তির আন্দোলন, পরিযায়ী শ্রমিকদের আন্দোলন। আদিবাসীদের জমির অধিকারের লড়াই, আমফান ঝড়ের ক্ষতিগ্রস্তদের দাবিতে সংগ্রাম, ১০০ দিনের কাজের লড়াই। লকডাউনের ক্ষতিপূরণ পাওয়ার জন্য আন্দোলন। এই আন্দোলনগুলোর বিস্তার ও অগ্রগতির জন্যই একমাস ব্যাপি গ্রামে গ্রামে ঘরে ঘরে প্রচার অভিযান। রাজ্যের জেলাগুলোতে বিভিন্ন ধরনের প্রচার চলছে। গ্রাম বৈঠকের সাথে সাথে গণস্বাক্ষর সংগ্রহ করা হচ্ছে।
ইতিমধ্যেই পূর্ব বর্ধমান জেলার বিভিন্ন ব্লকে ৭০টি, হুগলী জেলায় ৫০টি, দার্জিলিং জেলার ১৫টি, জলপাইগুড়ি জেলার ১০টি গ্রাম ও মালদহ জেলার কালিয়াচক, বাঁকুড়ার বিষ্ণুপুর, হাওড়া, উত্তর ২৪ পরগণার বসিরহাট, দক্ষিণ ২৪ পরগণা ও নদীয়ার গ্রামাঞ্চলে স্বাক্ষর সংগ্রহ অভিযান চলছে। মুর্শিদাবাদ জেলার জেলাশাসক দপ্তরে ডেপুটেশনের প্রস্তুতি চলছে। জেলা, মহকুমা ও ব্লক ডেপুটেশনের প্রস্তুতি চলছে। অনেক জেলায় লিফলেট প্রচার হচ্ছে। কিন্তু কিছু কিছু জায়গার প্রচারের দুর্বলতা নজরে আসছে। দ্রুতই প্রচার অভিযান জোরদার করতে হবে। প্রচারে বিজেপির মুখোশ উন্মোচন করতে হবে। কেন পশ্চিমবঙ্গের পরিযায়ী শ্রমিকদের প্রধানমন্ত্রী গরিব কল্যাণ যোজনা থেকে বঞ্চিত রাখা হচ্ছে সে জবাব বিজেপিকেই দিতে হবে, ১০০ দিনের কাজের বরাদ্দ কেন বাড়ানো হচ্ছে না, গরিব মানুষের জন্য লকডাউন ভাতা কেন দেওয়া হচ্ছে না, ঋণ মুক্তির প্রশ্নে কেন্দ্রীয় সরকার নীরব কেন, কৃষক সম্মান যোজনা থেকে পশ্চিমবঙ্গের কৃষককে বঞ্চিত করা হচ্ছে কেন, সার্বজনীন রেশন ব্যবস্থা তুলে দেওয়ার চক্রান্ত করা হচ্ছে কেন, সরকারী সম্পত্তির বিলগ্নীকরণ ও বেসরকারীকরণ কেন, কৃষি বাণিজ্য অর্ডিন্যান্স, অত্যাবশ্যকীয় পণ্য-আইনের সংশোধন কেন, বিভাজনের রাজনীতি কার স্বার্থে – এইসব বিজেপিকেই জবাব দিতে হবে। আসুন গ্রামে গ্রামে প্রচার অভিযান জোরদার করার জন্য সর্বাত্মক উদ্যোগ গ্রহণ করি।