আদমশুমারি ২০১১ অনুযায়ী প্রায় ৬৫.১% মহিলা শ্রমিক কৃষিকাজের উপর নির্ভরশীল। চাষি বা কৃষিশ্রমিক তারা। সেটা পুরুষ শ্রমিকদের ৪৯.৮% উপস্থিতির বিপরীতে। এনএসএসওর ৬৮তম রাউন্ড ২০১১-১২ : সমস্ত মহিলা শ্রমিকের ৬৩% এবং গ্রামীণ মহিলা কর্মীদের ৭৫% কৃষিতে রয়েছেন।
আইএলও ২০১৯ অনুযায়ী কৃষিতে ৮১% এরও বেশি মহিলা দলিত এবং আদিবাসী সম্প্রদায়ের। আইএইচডিএস ২০১১-১২ ডেটা : গ্রামীণ পরিবারের জমিতে মহিলাদের মালিকানা ৬-১১% এর মধ্যে।
কৃষি আদমশুমারি ২০১৫-২০১৬ : ভারতে নারী-পরিচালিত জমির মালিকানার মোট ১৩.৮৭%, মোট পরিচালিত ক্ষেত্রের প্রায় ১১.৫৭%। এই আদমশুমারিতে কৃষিতে নিযুক্ত হিসাবে প্রায় ৩৬ মিলিয়ন মহিলা কৃষক কৃষি কাজে নিযুক্ত আছে।
নারী কৃষকদের মজুরি, পুরুষদের মজুরির তুলনায় কম। চাষের জমির মালিকানার দিকে নজর দিলেও বৈষম্যটা চোখে পড়ে। আজও ক্ষেতে কাজ করা মহিলারা চাষির মর্যাদা পান না। ফলে নানা রকম সরকারি সুযোগ সুবিধা থেকে বঞ্চিত থাকেন। বীজ, সার, সেচের ব্যবস্থা করতে গিয়ে এবং ফসল বিক্রি করার জন্য বাজারের সংস্থান করতে, ঋণ পেতে গিয়ে মহিলারা নানা বৈষম্যমূলক আচরণের সম্মুখীন হন এবং বর্তমানে পশ্চিমবাংলায় আম্ফান ঝড়ের ব্যাপক প্রভাবের পরে লকডাউনে বিক্রি বন্ধ হয়ে যাওয়ায় ব্যপক ক্ষতির সম্মুখীন মহিলা চাষিরা। তারপরে আছে ঋণের বোঝা। ঋণের দায়ে আত্মহত্যা করা কৃষকের(পুরুষ) ঋণ পরিশোধ করার দায়িত্ব মহিলা কৃষকদেরই বহন করতে হয়।
#যদিনাআমরাগর্জেউঠি প্রতিবাদ কর্মসূচী মহিলা কৃষকদের সমকাজে সমবেতন, ঋণ মুক্তি এবং মহিলা কৃষকদের চাষি হিসেবে স্বীকৃতির দাবিকে সমর্থন জানায়।