যোগী আদিত্যনাথ শাসিত উত্তরপ্রদেশে সমাজের দুর্বল অংশের জনগণের বিরুদ্ধে নিপীড়ন বেড়েই চলেছে। এর বিরুদ্ধে প্রতিবাদ জানাতে সিপিআই(এমএল)-এর উত্তরপ্রদেশ শাখা ১৪ থেকে ২০ জুলাই প্রতিবাদ সপ্তাহ পালন করে। যে সমস্ত ইস্যুকে ধরে প্রতিবাদ চালানো ও দাবি তোলা হয় তা হল, দলিত ও আদিবাসীদের ওপর ক্রমবর্ধমান নির্যাতন বন্ধ করতে হবে, আন্দোলনের কর্মীদের বিরুদ্ধে বেড়ে চলা রাষ্ট্রীয় নিপীড়নকে থামাতে হবে, অপরাধের যে পরিঘটনা ক্রমবর্ধমান তাতে লাগাম টানতে হবে, গণতন্ত্র ও ন্যায়বিচারকে সুরক্ষিত করতে হবে। এছাড়াও, রেশনের লভ্যতা, জীবিকার সংস্থান করা এবং আয়করের আওতার বাইরে থাকা সমস্ত পরিবারকে মাসে ১০,০০০ টাকা লকডাউন ভাতা প্রদানের দাবিও ওঠে। এই প্রচার চলাকালীন মথুরা জেলে জাতীয় নিরাপত্তা আইনে বন্দী ডঃ কাফিল খানের মুক্তি দিবস হিসাবে ১৯ জুলাইকে পালন করা হয়।
কানপুরে আট পুলিশ কর্মীর হত্যার ঘটনা রাজ্যের আইন ও শৃঙ্খলার ভেঙ্গে পড়াকে যেমন প্রকট করেছে, সেরকমই যোগীর শাসনাধীনে দুর্বৃত্ত-পুলিশ গাঁটছড়ার ব্যাপকতা ও জোরালো হয়ে ওঠাকেও সামনে নিয়ে এসেছে। আদিবাসী, দলিত, নারী ও সমাজের দুর্বল অংশের মানুষরা দুর্বৃত্তদের হাতে আক্রান্ত ও নিহত হচ্ছে। এই সমস্ত হামলার ক্ষেত্রে হয় এফআইআর দায়ের হচ্ছে না, আর হলেও দুর্বৃত্তদের বিরুদ্ধে কোন ব্যবস্থা নেওয়া হচ্ছে না। সিপিআই(এমএল)-এর দলিত নেত্রী জীরা ভারতির ওপর মির্জাপুরে যৌন হামলা এটাই প্রমাণ করছে।
সরকার দুর্বৃত্তদের মদত দিচ্ছে, আর আন্দোলনের কর্মী, বিশেষভাবে সিএএ-বিরোধী প্রতিবাদকারী ও সিপিআই(এমএল) নেতাদের তার হামলার নিশানা বানাচ্ছে। বালিয়া, মহারাজগঞ্জ, গোরক্ষপুর, এলাহাবাদ, লক্ষ্ণৌ, মথুরা, লখিমপুর খেরি, পিলভিট প্রভৃতি জেলার কয়েকশ গ্ৰামে এই প্রচার চলে। আজমগড়ে আধিপত্যকারী শক্তিগুলো সর্বসাধারণের ব্যবহারের জন্য এক রাস্তা দখল করায় তার বিরুদ্ধে প্রতিবাদ সংগঠিত হয়।। গাজীপুরে তুলসি সাগর লঙ্কা এবং শহীদ ভগৎ সিং পার্কে ধর্ণা সংগঠিত হয়। মৌ ও তাডিঘাটের মধ্যে রেল প্রকল্পের জন্য জোরজবরদস্তি জমি দখলের বিরুদ্ধে কৃষকরা মিছিল সংগঠিত করেন। চান্দৌলি জেলার চাকিয়া ব্লকের গয়াঘাটে মহিলাদের ওপর অত্যাচারে জড়িত থাকার কারণে পঞ্চায়েত সদস্য মহেন্দ্র রাও-এর নামে এফআইআর দায়ের করার দাবিতে প্রতিবাদ সংগঠিত হয়।