এআইপিএফ-এর পক্ষ থেকে চুঁচুড়া ঘড়ির মোড়ে প্রতিবাদী কর্মসূচী পালিত হলো ২৪ আগস্ট। এই কর্মসূচীতে ‘সেভ ডেমোক্রেসি’ সংগঠন যোগদান করে। কবি সাধন বসু কবিতা পাঠ করেন, আইনজীবী প্রশান্ত ভূষণকে আদালত অবমাননার দায়ে অভিযুক্ত করা ও শাস্তিদানের এই দ্রুত ও অনভিপ্রেত প্রক্রিয়ার বিরুদ্ধে বক্তব্য রাখেন আইনের ছাত্র পার্থ বসু, ‘সেভ ডেমক্রেসি’র জ্ঞানেন্দ্রলাল চক্রবর্তী, এপিডিআর-এর সনৎ রায়চৌধুরী, ও এআইপিএফের পক্ষ থেকে কল্যাণ সেন, সুদর্শন বসু প্রমুখ। উপস্থিত সকলের বুকে ঝুলছিল, ‘Critisism is not contempt, #WeStandWithPrasantaBhushan’ লেখা পোস্টার!
২৫ আগস্ট কলকাতায় বউবাজারে ব্যাংক অফ ইন্ডিয়ার মোড়ে বিভিন্ন সামাজিক ও রাজনৈতিক সংগঠন বিক্ষোভ প্রদর্শন করে। এই বিক্ষোভ সভা থেকে দাবি করা হয় প্রশান্ত ভূষণের উপর থেকে মামলা অবিলম্বে প্রত্যাহার করতে হবে। এর পাশাপাশি দাবি করা হয়, ডাঃ কাফিল খান, ভারভারা রাও, আনন্দ তেলতুম্বড়ে, সোমা সেন, সুধা ভরদ্বাজসহ সমস্ত রাজনৈতিক বন্দীদের অবিলম্বে মুক্তি দিতে হবে এবং ইউএপিএ সহ বিভিন্ন পীড়নমূলক ‘বিনা বিচারে আটক’ আইন প্রত্যাহার করতে হবে৷ সভায় বক্তব্য রাখেন বন্দীমুক্তি কমিটির পক্ষ থেকে বাসুদেব বোস, আইসার পক্ষ থেকে সৌমেন্দু মিত্র, মানবাধিকার কর্মী সুজাত ভদ্র, সিআরপিপির পক্ষ থেকে সোমা মুখার্জী, ভীম আর্মির পক্ষ থেকে রবিরাম। সভায় বক্তারা তাঁদের জ্বালাময়ী বক্তব্যের মাধ্যমে বারংবার দেশের ফ্যাসিস্ট শাসকগোষ্ঠীকে জানিয়ে দেয়, যতবার মানুষের গণতান্ত্রিক অধিকারের ওপর হামলা নামাবে, দেশের নাগরিকদের সমালোচনা ও মতপ্রকাশের মতো মৌলিক অধিকারকে খর্ব করা হবে, ততবার সাধারণ মানুষ এইসমস্ত অন্যায়ের প্রতিবাদে একজোট হয়ে রাজপথের দখল নেবে।
২৫ আগস্ট বারাসাত জেলা আদালত চত্তরে এআইপিএফ এবং এপিডিআর বিক্ষোভ প্রদর্শন করে। ব্যস্ত সময়ে এই বিক্ষোভ সভা থেকে দাবি করা হয় প্রশান্ত ভূষণের উপর থেকে মামলা প্রত্যাহার কর। ঔপনিবেশিক ধারায় তৈরি করা আদালত অবমাননা আইন বাতিল কর।সংবিধান এবং বাক স্বাধীনতা রক্ষায় সমস্ত মানুষ এক হোন। বারাসাত আদালতের আইনজীবী মল্লিনাথ গাঙ্গুলি সভায় বক্তব্য রাখেন। এআইপিএফ-এর পক্ষ থেকে বক্তব্য রাখেন জেলার আহ্বায়ক নির্মল ঘোষ।