বিভিন্ন সামাজিক ইস্যুতে ন্যায় বিচারের জন্য সুপ্রিম কোর্টে লড়াই করেন বলে যিনি সুবিদিত সেই আইনজীবী প্রশান্ত ভূষণের সম্প্রতি করা দুটো টুইটে স্পর্শকাতর হয়ে পড়ে সুপ্রিম কোর্টের বিচারপতি অরুণ মিশ্র, বি আর গাভাই ও কৃষ্ণ মুরারির বেঞ্চ স্বতঃপ্রণোদিত হয়ে প্রশান্ত ভূষণের কাছে নোটিস পাঠিয়ে জানতে চেয়েছিলেন--কেন তাঁকে আদালত অবমাননার দায়ে অভিযুক্ত করা হবে না। প্রশান্ত ভূষণের জবাবে সন্তুষ্ট না হয়ে গত ১৪ আগস্ট তাঁদের রায়ে তাঁরা জানিয়েছেন ভূষণ তাঁর টুইটের মধ্যে দিয়ে আদালতের অবমাননা ঘটিয়েছেন, ফলে দোষী সাব্যস্তও হয়েছেন। শাস্তি কী হবে তা আদালত ২০ আগস্ট জানাবে। আদালতের রায় নিয়ে আলোচনার আগে ভূষণের টুইটগুলোতে কি অভিমত ব্যক্ত হয়েছে তার দিকে তাকানো যাক।
প্রথম টুইটে ভূষণ এই অভিমত ব্যক্ত করেছেন যে – “গত ছ-বছরে জরুরি অবস্থার আনুষ্ঠানিক ঘোষণা ছাড়াই গণতন্ত্রকে কিভাবে ধ্বংস করা হয়েছে তার দিকে ভবিষ্যতে ঐতিহাসিকরা যখন ফিরে তাকাবেন তখন তাঁরা এই ধ্বংসকাণ্ডে বিশেষভাবে সুপ্রিম কোর্টের এবং আরও বিশেষভাবে ভারতের শেষ চার প্রধান বিচারপতির ভূমিকাকে লক্ষ্য করবেন।” আর, দ্বিতীয় টুইটে ভূষণ একটা অতীব ব্যয়বহুল ‘হারলে ডেভিডসন’ মোটরবাইকে প্রধান বিচারপতি শারদ অরবিন্দ বোবদের বসে থাকার ছবি পোস্ট করে বলেন, “বিজেপি নেতার ছেলের ৫০ লক্ষ টাকা দামের মোটরবাইকে চেপে রয়েছেন প্রধান বিচারপতি বোবদে, মুখে মাস্ক ও হেলমেট নেই, সুপ্রিম কোর্টে শুনানি বন্ধ রেখে তিনি অবকাশ যাপন করছেন আর বিনা বিচারে আটক এবং গুরুতর অভিযোগে অভিযুক্ত অন্যান্য ব্যক্তিরা সুরাহা পাওয়ার অধিকার থেকে বঞ্চিত হচ্ছেন।” মোটরবাইকটার মালিক যে কোনো এক বিজেপি নেতার ছেলে তা বাইকটার রেজিস্ট্রেশন নম্বর থেকে জানা যায়।
নাগপুরের রাজভবনে বিজেপি নেতার ছেলের হারলে ডেভিডসন মোটরবাইকে বসা প্রসঙ্গে প্রধান বিচারপতি বোবদে জানিয়েছেন যে, ওই মোটরবাইকের মালিক কে তা তিনি জানতেন না, এবং মোটরবাইকটা তাঁর কাছে নিয়ে আসে হারলে ডেভিডসন কোম্পানির কোনো এক পদস্থ কর্মচারি। তিনি যেহেতু মোটরবাইকটাতে চেপে দাঁড়িয়েছিলেন, সেটা চালাচ্ছিলেন না, তাই হেলমেট বা মাস্ক পরার কোনো প্রয়োজন ছিল না। এটি প্রধান বিচারপতির মন্তব্য আর তাই এর সত্যতা নিয়ে কেউ প্রশ্ন তুললে তা সত্যের অপলাপ হবে। ভূষণ বাইক চাপা এবং হেলমেট ও মাস্ক না পরা বিষয়টি প্রসঙ্গে মন্তব্যের জন্য দুঃখ প্রকাশ করলেও অন্যান্য বিষয়ে নিজের অবস্থানে অবিচল থাকেন।
তাঁকে পাঠানো নোটিসের পরিপ্রেক্ষিতে জমা দেওয়া হলফনামায় প্রশান্ত ভূষণ বলেছেন, দেশের গণতন্ত্রের সুরক্ষার দায়িত্ব সংবিধান সুপ্রিম কোর্টের ওপর ন্যস্ত করেছে। প্রশাসনিক শাখার বাড়াবাড়িতে রাশ টানতে রাষ্ট্রের নিয়ন্ত্রক শাখাগুলো যথাযথ ভূমিকা পালন করছে কিনা তার নজরদারির ভারও সুপ্রিম কোর্টের ওপর রয়েছে। কিন্তু গত ছ-বছরে শেষ চার প্রধান বিচারপতি যেভাবে নিজেদের ক্ষমতাকে ব্যবহার করে “স্বৈরাচার, সংখ্যাগুরুবাদের প্রসার ঘটতে দিয়েছেন, বিরোধী কন্ঠস্বরের দমন ও ব্যাপক হারে রাজনৈতিক কর্মীদের বন্দীত্ব ঘটতে দিয়েছেন”, তাঁর করা টুইটে তিনি সে সম্পর্কে উদ্বেগ প্রকাশই করেছেন। এটা প্রধান বিচারপতিদের ভূমিকা সম্পর্কে তাঁর আন্তরিক অভিমত। এটা অতএব কখনই আদালত অবমাননার শামিল হতে পারে না। তাঁর হলফনামায় আরও উল্লেখ করা হয়েছে, “প্রশাসন এবং আইনসভা বুনিয়াদি অধিকারগুলির শ্বাসরোধ করে এবং নির্ধারিত ক্ষমতার সীমা লঙ্ঘনের মধ্যে দিয়ে ও আমাদের প্রতিষ্ঠানগুলোকে ধ্বংস করার মধ্যে দিয়ে এই দেশে গণতন্ত্রের মর্মবস্তুকে যখন নির্বাপিত করা হচ্ছিল তখন এই সমস্ত কিছুকে রক্ষা করার দায়িত্ব পালন করতে সুপ্রিম কোর্ট প্রধানত অসমর্থ হয়েছে এবং এইভাবে আমাদের গণতন্ত্রের ধ্বংসকে প্রতিহত করতেও ব্যর্থ হয়েছে।…”
শেষ চার প্রধান বিচারপতির ভূমিকা প্রসঙ্গে তাঁদের জমানায় দেওয়া কিছু রায়, নির্দেশ ও পদক্ষেপকেই যে বোঝানো হয়েছে তা সহজেই অনুমেয়। এগুলোর মধ্যে দিয়ে প্রধানমন্ত্রী মোদী সহ শাসকদের স্বস্তি ও সুরক্ষাই শুধু জোগানো হয়নি, ভবিষ্যৎ ভারতের গণতন্ত্রের পথকেও কন্টকাকীর্ণ করা হয়েছে। উঠেছে সাহারা-বিড়লা মামলায় রায়ের কথা। আয়কর দপ্তরের বাজেয়াপ্ত করা নথিতে গুজরাটের তৎকালীন মুখ্যমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী ও বিজেপি নেতাদের কোটি-কোটি টাকা দেওয়ার উল্লেখ থাকলেও বিচাপতি অরুণ মিশ্র ও অমিতাভ রায়ের বেঞ্চ রায় দেয় ওই সমস্ত নথি “এমন কোনো অপরাধকে নির্দেশিত করে না যার ভিত্তিতে এফআইআর দায়ের করার নির্দেশ দেওয়া যায়।” আরও উঠেছে ভীমা কোরেগাঁও মামলার কথা যাতে হিংসার প্রকৃত সংগঠকদের অপরাধকে আড়াল করে মানবাধিকার কর্মীদের কারান্তরীণ করা হয়, এবং মানবাধিকার কর্মীদের সুরাহা করতে সুপ্রিম কোর্টের অনীহা প্রকট হয়ে ওঠে। চর্চায় এসেছে রাফাল যুদ্ধবিমান ক্রয়ে দুর্নীতির অভিযোগের মামলায় তদন্তের নির্দেশ দিতে সুপ্রিম কোর্টের অস্বীকার করার কথা যার ফলে মোদী সরকার স্বস্তি পায়, আর আধার মামলায় ব্যক্তিগত পরিসরের গোপনীয়তাকে গুরত্ব না দেওয়ার ব্যাপারটাও আলোচনার বিষয় হয়ে ওঠে। বিমুদ্রাকরণ, ইলেক্টোরাল বণ্ড-এর মতো ইস্যুতে শুনানিকে ক্রমেই পিছিয়ে নিয়ে গিয়ে সিদ্ধান্ত গ্ৰহণকে এড়িয়ে যাওয়ায় সরকার সুবিধা পেয়েছে, কাশ্মীরে ৩৭০ ধারা বাতিলকে আইনসম্মত বলা যায় কিনা তার ফয়সালা এখনও না করায় সরকারের স্বৈরাচারী পদক্ষেপই বৈধতা পেয়ে চলেছে। আর সর্বোপরি তো রয়েছে অযোধ্যার বিতর্কিত জমি মামলার রায়, যে রায়ে বিচার বিভাগের হাতে বাবরি মসজিদের আরও একবার ধ্বংসসাধনই শুধু হয়নি, ধর্মনিরপেক্ষ সংবিধানের কাঠামোর মধ্যেও হিন্দু রাষ্ট্রের উত্থানে উৎসাহ জোগানো হয়েছে।
নরেন্দ্র মোদী যেমন সিবিআই, আরবিআই, নির্বাচন কমিশন, ক্যাগ থেকে রাষ্ট্রের সমস্ত প্রতিষ্ঠানের নিরপেক্ষতার বিপর্যয় ঘটিয়ে সেগুলোকে নিজেদের সংকীর্ণ স্বার্থে ব্যবহার করেছেন, তাঁর সেই অভিযান থেকে বিচার বিভাগও রেহাই পায়নি। আদালতগুলোকে এনডিএ সরকারের প্রতি নমনীয় করে তুলতে, যে কোনো বিষয়েই বিচারপতিরা যাতে সরকারী ভাষ্যের প্রতি আনুগত্য প্রকাশ করেন তার জন্য তিনি প্রথম থেকেই কসরত চালাতে তৎপর হয়েছেন। একেবারে শুরুতেই, সেই ২০১৪ সালেই বিচারপতি গোপাল সুব্রমনিয়মের সুপ্রিম কোর্টে যাওয়া আটকাতে মোদী মরিয়া হয়ে ওঠেন এবং সেই পরিস্থিতিতে সুব্রমনিয়ম সুপ্রিম কোর্টের বিচারপতি হওয়ার জন্য নিজের প্রার্থীপদ প্রত্যাহার করে নিতে বাধ্য হন। কলেজিয়ামের মধ্যে দিয়ে বিচারপতি নিয়োগের ওপর সুপ্রিম কোর্টের অধিকারকে খর্ব করতে চাপ সৃষ্টি করেছেন, সুপ্রিম কোর্টের সুপারিশে অনুমোদন দিতে ইচ্ছাকৃত বিলম্ব ঘটিয়েছেন। মোদী মন্ত্রীসভার প্রাক্তন মন্ত্রী প্রয়াত অরুণ জেটলি বিচারপতি নিয়োগে সুপ্রিম কোর্টের অধিকারকে, কলেজিয়াম প্রথাকে “অনির্বাচিতদের স্বৈরাচার” বলে অভিহিত করেছিলেন। আর আজ গোটা দেশ “নির্বাচিতদের স্বৈরাচারে” হাঁসফাঁস করছে। জনৈক ভাষ্যকারের মতে মোদী শাসনের বছরগুলোতে সুপ্রিম কোর্ট “ত্রস্ত, দ্বিধান্বিত, খণ্ডিত ও দুর্বল” রূপে দেখা দিয়েছে।
বিচারপতি অরুণ মিশ্রর বেঞ্চ প্রশান্ত ভূষণের টুইটগুলোকে “বিদ্বেষপ্রসূত”, “কদর্য” এবং সুপ্রিম কোর্টের মর্যাদা হানিকর বলে মনে করেছেন। বিচারপতিরা এই অভিমতই ব্যক্ত করেছেন যে, আদালত হল গণতন্ত্রের রক্ষক এবং তার ও বিচারপতিদের সমালোচনা প্রকৃত অর্থে গণতন্ত্রের ওপরই আক্রমণ। আর তাই “একেবারে কঠোর হস্তে” এই আক্রমণের মোকাবিলা করতে হবে। সুপ্রিম কোর্ট ও তার প্রধান বিচারপতিদের সমালোচনা করায় যে অরুণ মিশ্র এমন খড়্গহস্ত হলেন, সেই তিনিই মাত্র অল্প কয়েকদিন আগেই গত ২৩ জুলাই এক মামলায় বিরোধী মত প্রকাশের অধিকারকে গণতন্ত্রের প্রাণশক্তি বলেছিলেন। রাজস্থানে সচিন পাইলটের নেতৃত্বে কংগ্ৰেস বিধায়কদের একাংশের মুখ্যমন্ত্রী গহলৌতের বিরুদ্ধে বিদ্রোহের পরিপ্রেক্ষিতে হাইকোর্টের রায়ের বিরুদ্ধে রাজস্থান বিধানসভার স্পিকার সুপ্রিম কোর্টের শরণাপন্ন হলে এই অরুণ মিশ্রই মন্তব্য করেছিলেন — “গণতন্ত্রে নির্বাচিত কোনো ব্যক্তি কি তাঁর ভিন্ন মত প্রকাশ করতে পারবেন না? ভিন্ন মত প্রকাশকে দমন করা উচিত নয়। গণতন্ত্রে কারুর ভিন্ন মত প্রকাশের কণ্ঠকে কি এইভাবে রোধ করা যায়?” তিনি সেদিন আরও বলেছিলেন, “বৃহত্তর প্রশ্ন হল গণতন্ত্র এবং সেটা কী করে বাঁচবে, তা নিয়ে।” আর এখন ৭৪তম স্বাধীনতা দিবসের ঠিক আগের দিন অরুণ মিশ্রর অভিমত হল, সুপ্রিম কোর্ট ও তার বিচারপতিদের ক্রিয়াকলাপের বিরুদ্ধে মতপ্রকাশকে “কঠোর হস্তে” দমন করেই, মত প্রকাশের স্বাধীনতার বুনিয়াদি অধিকারকে নস্যাৎ করেই, গণতন্ত্রকে রক্ষা করতে হবে! ভিন্ন মত প্রকাশের প্রতি, বিরোধিতা জানানোর অধিকারের প্রতি অরুণ মিশ্রদের স্বীকৃতি যে সর্বাঙ্গীণ নয়, তা যে বৈষম্যমূলক এবং বেছে নেওয়া কিছু ক্ষেত্রেই অনুমোদনযোগ্য, তা অতএব প্রতীয়মান হচ্ছে। প্রসঙ্গত, অরুণ মিশ্র হলেন সেই বিচারপতি যাঁর অবস্থান “নিরপেক্ষ” হলেও যিনি নরেন্দ্র মোদীর প্রশংসায় পঞ্চমুখ হতে কোনো কুন্ঠা দেখাননি। অরুণ মিশ্র হলেন সেই বিচারপতি যাঁর বেঞ্চে বিচারপতি লোয়ার অস্বাভাবিক মৃত্যুর তদন্তের দাবির মামলা তৎকালীন প্রধান বিচারপতি দীপক মিশ্র ফেলায় সুপ্রিম কোর্টের চার বিচারপতি ২০১৮ সালের ১২ জানুয়ারী ঐতিহাসিক সাংবাদিক সম্মেলন করেছিলেন। রাজনৈতিকভাবে সংবেদনশীল মামলাগুলো নির্দিষ্ট কিছু বেঞ্চেই ন্যস্ত করা হচ্ছে কেন তার বিরুদ্ধে প্রতিবাদ জানাতেই, প্রধান বিচারপতির বিরুদ্ধে অনাস্থা জ্ঞাপন করতেই হয়েছিল ওই চার বিচারপতির সাংবাদিক সম্মেলন। সেই ট্র্যাডিশন কি এখনও চলছে? ভারতে মোদী জমানায় সুপ্রিম কোর্টের হাতে গণতন্ত্র ধ্বংসের অভিযোগের মতো রাজনৈতিকভাবে সংবেদনশীল মামলাও গেল অরুণ মিশ্রর মতো বিতর্কিত বিচারপতির বেঞ্চে। ভূষণের হয়ে সওয়াল করতে উঠে আইনজীবী দুষ্মন্ত দাভেও প্রশ্ন তুললেন — “উদাহরণস্বরূপ, নির্দিষ্ট কয়েকজন বিচারপতির কাছে কেন রাজনৈতিকভাবে সংবেদনশীল মামলাগুলো যায়? দৃষ্টান্তস্বরূপ বিচারপতি নরিম্যানের কথা বলা যায় – এই ধরনের কোনো মামলা তাঁকে দেওয়া হয় না।” তবে কি ভূষণের কাছে নোটিস পাঠানোর সঙ্গে সঙ্গেই রায়ও নির্দিষ্ট হয়ে গিয়েছিল? আর তা হয়েছিল বলেই কি গ্ৰাহ্য করা গেল না সেই সমস্ত মানবাধিকার কর্মী, আইনজীবী, সুপ্রিম কোর্টেরই বেশ কিছু প্রাক্তন বিচারপতির অভিমত ও যুক্তিকে, যাঁরা ভূষণের সমর্থনে আদালত অবমাননার মামলা প্রত্যাহারের আবেদন জানিয়েছিলেন সুপ্রিম কোর্টের কাছে? আমাদের মনে এই প্রশ্ন জাগলেও এ বিষয়ে নির্দিষ্ট ভাবে কিছু বলা আমাদের পক্ষে সম্ভব নয়। তবে, একটা বিষয় নিয়ে প্রশ্নের কোনো অবকাশ থাকতে পারে না। ভূষণের টুইটের আয়নায় নিজেদের অনাচারের উন্মোচনে ক্ষিপ্ত হয়ে ওই টুইটগুলোর প্রতি দেখানো সুপ্রিম কোর্টের অতি-সংবেদী প্রতিক্রিয়া সুপ্রিম কোর্টের নৈতিক কর্তৃত্বকেই কলঙ্কিতই করেছে। সুপ্রিম কোর্টের এই গ্লানিময় অস্তিত্বের কাছে ভারতীয় সংবিধান কতটা সুরক্ষিত থাকবে তা প্রশ্নের ঊর্ধ্বে নয়। সংবিধান রক্ষার লড়াইটা, সুপ্রিম কোর্টকে যথার্থ ন্যায়ালয়ে পরিণত করার লড়াইটা ভারতের জনগণকেই চালাতে হবে, প্রধানত আদালতের বাইরে, মাঠেঘাটে, রাজপথে ও অলিত-গলিতে।
-- জয়দীপ মিত্র