আরও একজন শিক্ষাবিদকে কারাগারে নিক্ষেপ করা হল। দিল্লি বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষাবিদ প্রফেসর হানি বাবু, জাতবর্ণের নিপীড়ন ও জাতবৈষম্যের বিরুদ্ধে এক নিরন্তর জোরালো কন্ঠস্বর, এবারে গ্রেপ্তার হলেন ভীমা কোরেগাঁও এলগার পরিষদ মামলার সূত্রে। আনন্দ তেলতুম্বড়ে ও গৌতম নভলাখা গ্রেপ্তার হওয়ায় ভীমা-৯ বেড়ে ভীমা-১১ আগেই হয়েছে, এখন হানি বাবুর গ্রেপ্তারির মাধ্যমে তা ভীমা-১২ হল।
ভীমা কোরেগাঁও মামলা ও দিল্লী দাঙ্গা মামলা – এই দুই ক্ষেত্রেই সহিংস হামলা চালিয়েছে যারা তাদের বেমালুম মুক্ত রাখা হয়েছে, আর মামলাগুলিকে সম্পূর্ণ উল্টে দেওয়া হয়েছে প্রখ্যাত শিক্ষাবিদ, লেখক ও আন্দোলন-কর্মীদের অপরাধী হিসেবে অভিযুক্ত করে ফাঁসাতে। সুবিচারের ওপর এ এক জঘন্য হানাদারি। সামাজিক ন্যায় ও মানবাধিকারের লড়াকু কর্মীদের বিরুদ্ধে এক কদর্য ষড়যন্ত্র হয়ে উঠেছে ভীমা কোরেগাঁও মামলা, আর দিল্লী দাঙ্গার মামলাটিকে বানানো হয়েছে সিএএ-বিরোধী আলোড়ক তথা সংবিধান রক্ষার আন্দোলনকারীদের বিরুদ্ধে ব্যবহার করার হাতিয়ার।
মোদি সরকার ভাবছে লকডাউনের ফলে কেউ প্রতিবাদ করতে পারবে না, ন্যায় বিচারের বিরুদ্ধে যা খুশি আক্রমণ চালিয়ে পার পেয়ে যাবে। ওদের হিসেব অবশ্যই উল্টে দিতে হবে আমাদের।
- দীপঙ্কর ভট্টাচার্য