বিবৃতি
কমরেড বলিন্দ্র শইকিয়ার মুক্তি চাই
gad

সিপিআই(এমএল)-এর কেন্দ্রীয় কমিটির সদস্য ও সারা ভারত কিষাণ মহাসভার অসম ইউনিটের আহ্বায়ক কমরেড বলিন্দ্র শইকিয়াকে গতকাল অসম পুলিশ তার ডিব্রুগড়ের বাড়ি থেকে গ্রেপ্তার করে। সিএএ-বিরোধী আন্দোলনের একজন সামনের সারির নেতা কমরেড বলিন্দ্র রাস্তা নির্মাণ প্রকল্পে জমি হারানো কৃষকদের ক্ষতিপূরণ আদায়ের জন্য চলমান বেশ কয়েকটি লড়াইয়েরও নেতৃত্ব দিচ্ছিলেন।

গতকাল সকালে বলিন্দ্রের বাড়িতে বিজেপি-সমর্থিত একদল লোক চড়াও হয় এবং মারধরের লক্ষ্যে বলিন্দ্রকে বাইরে বেরিয়ে আসতে বলে। কমরেড বলিন্দ্রর সমর্থনে কয়েকজন স্থানীয় মানুষ ও পার্টি কর্মী সেখানে পৌঁছে যাওয়ার পরে সেই জনতা ছত্রভঙ্গ হয়ে যায়। থানায় এই চড়াওয়ের বিরুদ্ধে অভিযোগ দায়ের করা হলেও উস্কানিমূলক কথাবার্তা বলা ও হামলাকারী এই জনতা ও তাদের মদতদাতাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়ার পরিবর্তে পুলিশ বলিন্দ্রকেই গ্রেপ্তার করে।

এই প্রসঙ্গে কিছুদিন আগের আরেকটি ঘটনাও মনে রাখা দরকার। কয়েক সপ্তাহ আগে পুলিশ বিশ্বনাথ জেলার চা বাগানের শ্রমিক ও দরিদ্র মানুষের দুর্দশার খবর জানিয়ে করা একটি ফেসবুক পোস্টের জন্য সিপিআই(এমএল) নেতা কেন্দ্রীয় কমিটির আর এক সদস্য কমরেড বিবেক দাসকে গ্রেপ্তার করেছিল। তাঁর ফোনটিও পুলিশ বাজেয়াপ্ত করে নিয়েছে।

এইসব ধরপাকড়ের স্পষ্ট একটি ধারা আছে। অসমের বিজেপি সরকার অখিল গগৈ ও বিট্টু সোনোয়াল থেকে সিপিআই(এমএল) নেতা বলিন্দ্র শইকিয়া ও বিবেক দাস পর্যন্ত যাঁরাই শ্রমজীবী মানুষের অধিকার রক্ষার আন্দোলন বা গণতান্ত্রিক অধিকার রক্ষার আন্দোলনে শামিল হচ্ছেন, বেছে বেছে তাঁদেরই নিশানা করছে।

আমরা অসম সরকারের কাছে মিথ্যা মামলায় অখিল গগৈ ও বলিন্দ্র শইকিয়ার মতো কৃষক আন্দোলনের নেতাদের গ্রেপ্তারি বন্ধ করার দাবি করছি। আমরা কমরেড বলিন্দ্র শইকিয়ার অবিলম্বে নিঃশর্ত মুক্তি দাবি করছি। একই সঙ্গে বিজেপির সেই সমস্ত গুন্ডাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়ার দাবি করছি, যারা গতকাল কমরেড বলিন্দ্রের বাসভবনকে ঘিরে রেখে ভিড় হিংসায় খুনের চেষ্টা চালানো দলবলের মতো আচরণ করেছিল। কমরেড বলিন্দ্রের নিঃশর্ত মুক্তির দাবিতে ১৪ আগস্ট সিপিআই(এমএল) দেশ জুড়ে বিক্ষোভ সংগঠিত করবে।

আসুন, গণতন্ত্র ও মত প্রকাশের স্বাধীনতা রক্ষার পক্ষে লড়াই করা সব মানুষ এই স্বাধীনতা দিবসে এগিয়ে এসে সম্মিলিত ভাবে আওয়াজ তুলি – গ্রেফতার করে রাখা গণআন্দোলনর সমস্ত কর্মীকে মুক্তি দিতে হবে, তাদেরকে তন্নতন্ন করে খোঁজ ও শিকার অভিযান চলছে তা বন্ধ করতে হবে।

- কেন্দ্রীয় কমিটি, সিপিআই(এমএল)  

খণ্ড-27
সংখ্যা-28