১৮ আগস্ট, বিষ্ণুপুর, বাঁকুড়া : বিষ্ণুপুর মিউনিসিপালিটির সাফাইকর্মী ও জল বিভাগের কর্মীরা গত তিন-চার মাস কোনো বেতন পাননি। কিন্তু করোনা ও লকডাউন পরিস্থিতিতে তাঁরা অবিরত তাঁদের কাজ চালিয়ে গেছেন। গত ৭ আগস্ট তাঁরা নিজেদের কাজ বন্ধ রাখেন এবং এআইসিসিটিইউ’র নেতৃত্বে আন্দোলন গড়ে তোলেন। মিউনিসিপালিটির কর্মীরা ওইদিন তাঁদের বকেয়া মজুরি মেটানোর দাবিতে প্রথমে মহকুমাশাসককে ডেপুটেশন দেন। মহকুমাশাসক তাঁদের সঙ্গে কথা বলে পরদিন অর্থাৎ ৮ তারিখ থেকেই কাজে যোগ দেওয়ার কথা বলেন এবং কর্মীদের অসুবিধার প্রসঙ্গে তিনি জেলাশাসকের সঙ্গে কথা বলবেন বলে আশ্বাস দেন। এসডিও ডেপুটেশনের পর মিউনিসিপালিটির স্থায়ী ও অস্থায়ী কর্মীরা মিলিতভাবে এসডিও অফিস থেকে মিছিল করে আইসবাজার, চকবাজারের মোড় হয়ে মিউনিসিপালিটিতে গিয়ে শ্লোগানের মধ্যে দিয়ে মিছিল শেষ করে। পরের দিন সকালে তাঁরা কাজে যোগ দিতে গিয়ে দেখে জরুরি-বিভাগগুলি বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে। ফলে কর্মীরা সেখানেই ধর্ণায় বসে পড়েন। এর ফলে পৌর কর্তৃপক্ষ তাঁদের সঙ্গে কথা বলতে আসেন। মিউনিসিপালিটির কর্মীরা বকেয়া মজুরি মেটানোর প্রশ্ন তুললেই উল্টো দিক থেকে কাজ থেকে বসিয়ে দেওয়ার হুমকি আসে এবং কিছু বিদায়ী কাউন্সিলার কর্মীদের দিকে আক্রমণাত্মক ভঙ্গিতে এগিয়ে যায়, ফলত সুষ্ঠভাবে চলতে থাকা আলোচনা ব্যাহত হয়।
এই ঘটনার পর মহকুমাশাসককে ফোন করে সমস্ত ঘটনা জানানো হয়। এসডিও পৌর কর্তৃপক্ষের সঙ্গে কথা বলবেন এবং তাঁদের যাতে কাউকেই কাজ থেকে বসিয়ে দেওয়া না হয়, আগামী দুসপ্তাহের মধ্যে তাঁদের বকেয়া মজুরি মিটিয়ে দেওয়া হবে এরকম আশ্বাসও দেন। এইসকল আশ্বাস পাওয়ার পর ৯ তারিখ থেকে কর্মীরা কাজে যোগ দেন।
ইতিমধ্যেই মিউনিসিপালিটির কর্মীরা এক মাসের বেতন পেয়েছেন এবং আগামী ১৮-১৯ তারিখের মধ্যে বাকি দু-তিন মাসের বেতন মিটিয়ে দেবার আশ্বাস দেন পৌর কর্তৃপক্ষ।
এছাড়া মাসের বেতন মাসে মিটিয়ে দেওয়া, মজুরি বৃদ্ধি করা ও অস্থায়ী কর্মীদের কাজের স্থায়ীকরণ, এবং সমস্ত কর্মীদের পিএফ চালু করা ও পেনশন সংক্রান্ত অন্যান্য সুবিধাগুলি পাওয়ার লক্ষ্যে আগামীতে এআইসিসিটিইউ’র নেতৃত্বে সাফাইকর্মীরা বৃহত্তর লড়াই আন্দোলন সংগঠিত করবে বলে মত প্রকাশ করেছেন।
– তিতাস গুপ্ত