(৯ আগষ্ট দিনটিকে দেশ জুড়ে কৃষক-মুক্তি-দিবস হিসেবে পালন করার আহ্বান রেখেছে সারা ভারত কিষান মহাসভা। এ বিষয়ক আহ্বান পত্রটি গত সংখ্যার দেশব্রতীতে আপনারা পড়েছেন। এই আহ্বানে তুলে ধরা একটি গুরুত্বপূর্ণ দাবি আদিবাসীদের জমি সংক্রান্ত প্রশ্নে। এমনকি বনসৃজনের আইনকেও হাতিয়ার করে আদিবাসীদের উৎখাত করা হয়। গত সংখ্যায় বাঁকুড়া জেলাজুড়ে এভাবে ‘বন-কমিটি’-র নামে স্থানীয় চক্রের দ্বারা আদিবাসীদের জমিতে হামলার খবর ও সে সম্পর্কে সিপিআই(এমএল) লিবারেশন জেলা সম্পাদকের আবেদন প্রকাশিত হয়েছিল।)
গত ২৮ জুলাই ছিল সিপিআই(এমএল)-এর প্রতিষ্ঠাতা সম্পাদক চারু মজুমদারের ৪৮তম শহীদ দিবস। যিনি স্বপ্ন দেখেছিলেন দেশে গরিবের রাজ প্রতিষ্ঠা হবে। ভূমিহীন গরিব মানুষ জমি পাবে। সেই চারু মজুমদারকে স্মরণ করে বাঁকুড়া ব্লক-২ বিডিও অফিসে ডেপুটেশন দেওয়া হয় ‘সারা ভারত কৃষি ও গ্রামীণ মজুর সমিতি’র নেতৃত্বে। দাবি জানানো হয়
(১) কোষ্ঠিয়া অঞ্চলের খেমুয়া গ্রামে দীর্ঘদিন ধরে আদিবাসী ও বনবাসীদের অধিকারে থাকা ও বাড়ি করে বসবাস করা বনের জমিতে বাস্তু পাট্টা দিতে হবে (২) আদিবাসী ও বনবাসীদের দখলে থাকা বনের চাষের জমিতে পাট্টা দিতে হবে। (৩) বনদপ্তরের মদতপুষ্ট উচ্চবর্ণের প্রাধাণ্যকারী বনকমিটি দ্বারা আদিবাসীদের নষ্ট করা ফসলের ন্যায্য ক্ষতিপূরণ দিতে হবে। (৪) বনের জমি থেকে আদিবাসী ও বনবাসীদের নয়, উচ্চবর্ণের মানুষদের উৎখাত করে বনসৃজন করতে হবে। (৫) লকডাউনের দরুন কাজ হারা সব মানুষকে মাসে ১০,০০০ টাকা ক্ষতিপূরণ দিতে হবে।
উপস্থিত জনতাকে সম্বোধন করে সিপিআই(এমএল) লিবারেশানের জেলা সম্পাদক বাবলু ব্যানার্জি বলেন, দাবি পূরণ না হলে আগামী ১৫ আগষ্ট স্বাধীনতা দিবসের প্রাক্কালে সবাইকে (শতাধিক পরিবার) নিয়ে বনদপ্তরের রেঞ্জার অফিস ঘেরাও করে রাখা হবে।