৭-৮-৯ আগষ্ট প্রকল্প কর্মীদের সর্বভারতীয় ধর্মঘটের দাবি সনদ
dedd

আশা, অঙ্গনওয়ারী, মিড-ডে-মিল কর্মীদের সর্বভারতীয় “ফোরাম অব স্কীম ওয়ার্কার্স” গঠন হয়েছে। ১০টি কেন্দ্রীয় ট্রেড ইউনিয়ন-এর নেতৃত্বে, যার অন্যতম এআইসিসিটিইউ।

গত ১৪ ও ১৬ই জুলাই এই ফোরামের মিটিংয়ে সিন্ধান্ত হয় আগস্ট ৭, ৮, ৯ প্রকল্প কর্মীদের দেশব্যাপী ধর্মঘট পালিত হবে।

জাতীয় দাবি সনদ

  • ১) স্বাস্থ্য, শিশু পুষ্টি প্রকল্প, মিড-ডে-মিল বেসরকারীকরণ বন্ধ কর।
  • ২) আইসিডিএস, জনস্বাস্থ্য, মিড-ডে-মিল প্রকল্প শক্তিশালী কর ও বরাদ্দ বৃদ্ধি কর।
  • ৩) ৪৫ ও ৪৬তম শ্রম সম্মেলনের সুপারিশ লাগু কর। প্রকল্প কর্মীদের স্থায়ী কর্মীর স্বীকৃতি দাও। মাসে ২১,০০০ টাকা মজুরি ও ১০,০০০ টাকা পেনশন দাও।
  • ৪) শিক্ষা ও খাদ্যের অধিকারের মতোই “সকলের জন্য স্বাস্থ্য অধিকার” আইন চাই।
  • ৫) করোনা সংকটের নামে মালিকদের স্বার্থে বর্তমান শ্রম-আইন বদল, মজুরি হ্রাস,কাজের ঘন্টা বৃদ্ধি চলবে না।
  • ৬) কর দেননা এমন সমস্ত দরিদ্র পরিবারদের আগামী ৬ মাস বিনামূল্যে রেশন ও মাসিক ৭,৫০০ টাকা নগদ দিতে হবে।
  • ৭) করোনার সাথে সম্মুখ সমরে নিযুক্ত আশা ও অঙ্গনওয়ারী কর্মী সহ বিশেষত স্বাস্থ্যক্ষেত্রে যুক্ত কর্মীদের নিরাপত্তা, পিপিই কিট দিতে হবে। নিয়মিত স্বাস্থ্য ও কোভিড পরীক্ষা করতে হবে।
  • ৮) করোনার সাথে যুক্ত সমস্ত কর্মীর মৃত্যুতে ৫০ লাখ টাকা ক্ষতিপূরণ, নির্ভরশীল পরিবারের পেনশন ও কোভিড চিকিৎসার দায়িত্ব নিতে হবে।
  • ৯) কোভিড-১৯ চিকিৎসার সাথে যুক্ত কর্মীদের ১০,০০০ টাকা অতিরিক্ত ঝুঁকি ভাতা দিতে হবে। প্রকল্প কর্মীদের সমস্ত বকেয়া ভাতা/মজুরি অবিলম্বে পরিশোধ করতে হবে।
  • ১০) করোনার সাথে যুক্ত প্রকল্প কর্মীদের সংক্রমণে ১০ লাখ টাকা ক্ষতিপূরণ দিতে হবে।
  • ১১) বর্তমান বিমাপ্রকল্প (ক) প্রধানমন্ত্রী জীবন জ্যোতি বীমা যোজনা (খ) প্রধানমন্ত্রী সুরক্ষা বীমা যোজনা
  • (গ) অঙ্গনওয়ারী কার্যকর্তী বীমা যোজনা, নির্দিষ্ট ক্ষেত্র অনুযায়ী সকলের জন্য কার্যকর করতে হবে।
  • ১২) স্কুল বন্ধ থাকাকালীন সমস্ত মিড-ডে-মিল কর্মীদের মাসিক ১০,০০০ টাকা দিতে হবে। এই প্রকল্প কেন্দ্রীভূত/বেসরকারীকরণ করা চলবে না।
  • ১৩) অঙ্গনওয়ারী ও মিড-ডে-মিলে বরাদ্দ বাড়িয়ে অতিরিক্ত ভালো মানের খাদ্য দাও। এই প্রকল্পে পরিযায়ী শ্রমিক পরিবারের শিশুদের যুক্ত কর।
  • ১৪) আয়করদাতা বিহীন সমস্ত পরিবারদের বিনামূল্যে কোভিড পরীক্ষা ও চিকিৎসা করতে হবে। হাসপাতাল ও কোয়ারেন্টাইন-এর পর্যাপ্ত সুবিধা দিতে হবে। সরকারী চিকিৎসা ব্যবস্থা শক্তিশালী কর। চিকিৎসা ও চিকিৎসা পরিকাঠামো উন্নয়নে জিডিপির ৬ শতাংশ ব্যয় কর।
  • ১৫) তহবিল সংগ্রহের নামে “সেন্ট্রাল ভিস্তা প্রজেক্ট” তৈরি বন্ধ কর। অতি ধনীদের উপর কর চাপাও। ব্যংক ঋণ খেলাপী ধনীদের বকেয়া আদায় করে তহবিল সঞ্চয় কর।
খণ্ড-27
সংখ্যা-26