করোনা মহামারীর সুযোগ নিয়ে কেন্দ্রের সরকার ও রাজ্য সরকারগুলো গ্রামীণ জনগণের জীবন-জীবিকার প্রশ্নে দায়িত্ব থেকে নিজেদের হাত গুটিয়ে নিচ্ছেন। উল্টো দিকে প্রতিনিয়তই জনগণের উপর নামিয়ে আনা হচ্ছে নতুন নতুন দমনমূলক আইন ও অর্ডিন্যান্স। দেশের জনগণের রক্ত ঘামে তৈরি জাতীয় সম্পত্তির বিলগ্নীকরন করছে। কয়লা, রেল, বিমান, ব্যাংক, কৃষি-বাণিজ্য ও জীবন বীমার মতো গুরুত্বপুর্ণ লাভজনক সংস্থাকে বহুজাতিক কোম্পানির হাতে তুলে দেওয়া দেশদ্রোহিতা ছাড়া আর কী! গ্রামীণ গরিবরা ঋণ ফাঁদে জর্জরিত, কাজ নেই, মনেরেগা প্রকল্পের কাজ অপ্রতুল, অনেক জায়গাতেই দেওয়া হচ্ছে না, জবকার্ড নেই, তার উপর দলবাজি দুর্নীতি। প্রধানমন্ত্রী আবাস যোজনার ঘর ও শৌচাগার নিয়ে দুর্নীতি-দলবাজি, গ্রামোন্নয়ন স্তব্ধ, দ্রব্যমূল্য বেড়ে চলেছে। কিন্ত বিপর্যয় মোকাবিলা আইনের নামে মানুষের মতামত ও প্রতিবাদ জানানোর অধিকারকে দমন করছে। আর শাসকরা সংবাদ মাধ্যমগুলোকে কাজে লাগিয়ে সরকারী খরচে নিজেদের ঢোল বাজিয়ে চলেছেন। তাই মানুষের ঘরে ঘরে গিয়ে গ্রামে বৈঠক করে কঠিন পরিস্থিতির মধ্যেও মানুষের মধ্যে প্রচার চালিয়ে যেতে হবে। শাসকদের জনবিরোধী নীতির বিরুদ্ধে জনমত তৈরির কাজ চালাতে হবে।
তাই সারা দেশের সাথে সাথেই পশ্চিমবঙ্গের বিভিন্ন জেলার গ্রামের মানুষের মধ্যে প্রচার চলছে। ঘরে ঘরে যাওয়ার পদ্ধতি হিসেবেই নেওয়া হয়েছে প্রধান মন্ত্রী ও মুখ্যমন্ত্রীর উদ্দেশ্যে গণ স্বাক্ষর সংগ্রহ করে স্মারক পত্র বিডিও মারফত মন্ত্রীর কাছে পাঠানোর ব্যবস্থা করা। গ্রামের মানুষকে নিয়ে বৈঠক। ইতিমধ্যেই পুর্ব বর্ধমান জেলার বিভিন্ন ব্লক, পুর্বস্থলী ২নং ব্লক, মন্তেশ্বর, মেমারী ১নং ব্লক, সদর ১নং ব্লক ও কালনার আটটি গ্রামে বৈঠক হয়েছে। বাঁকুড়ার আদিবাসীদের বনের জমির দাবিতে প্রচার বৈঠক চলছে। নদীয়ার নাকাশিপাডার কর্মীদের নিয়ে বৈঠক হয়েছে। উত্তর ২৪ পরগনার বসিরহাটের গ্রামে ঋণ মুক্তির দাবির প্রচার হচ্ছে। ব্লক ডেপুটেশনের প্রস্তুতি নিচ্ছেন। জলপাইগুড়ি জেলার ময়নাগুড়ি ব্লকের গ্রামে কর্মীদের নিয়ে বৈঠক হয়েছে। মালদহের কালিয়াচকে বৈঠক করে প্রচার পরিকল্পনা নেওয়া হয়েছে। হাওড়া, দক্ষিণ ২৪ পরগণা, দার্জিলিং ও হুগলী জেলার গ্রামাঞ্চলে স্বাক্ষর সংগ্রহ অভিযান ও বৈঠক শুরু হয়েছে। মুর্শিদাবাদের খড়গ্রাম ব্লকের ঝিল্লী গ্রাম পঞ্চায়েত এলাকায় ৩০০ লোকের জমায়েত করে সভা অনুষ্ঠিত হল। নতুন নতুন গ্রামের মানুষের অংশগ্রহণের মাধ্যমে উৎসাহপূর্ণ সভা হয়। ব্লক ডেপুটেশনের প্রস্তুতি চলছে। এই প্রচার অভিযানকে সফল করার জন্য আয়ারলার জেলা কমিটির সদস্য ও রাজ্য কমিটির সদস্যদের সর্বাত্মক উদ্যোগ নিতে হবে।