দিল্লির বসন্তবিহার এলাকার একটি সরকারী রাস্তা দিয়ে দলিত ও শ্রমজীবী মানুষের প্রবেশ নিয়ন্ত্রণ করার উদ্দেশ্যে দেওয়াল তুলে দেওয়া হয়েছে গত ২৮ জুন। একটি ফাটক বানানো হয়েছে। বলাই বাহুল্য এ কাজ সম্পূর্ণ বেআইনি, অবৈধ। এর বিরুদ্ধে আওয়াজ তুলছেন এলাকার দলিত ও শ্রমজীবী বাসিন্দারা।
সিপিআই(এমএল) লিবারেশন দিল্লি রাজ্য কমিটির এক সংবাদ বিবৃতিতে এই ঘটনাকে “দলিত বস্তিবাসীদের বিরুদ্ধে বর্ণবাদী লাঞ্ছনার সুস্পষ্ট নিদর্শন” হিসেবে উল্লেখ করে বলা হয়, সমস্ত রকম কর্তৃপক্ষের কাছে দেওয়াল নির্মাণের বিরুদ্ধে বস্তিবাসীরা অভিযোগ জানানো সত্ত্বেও এখনও কোনও পদক্ষেপ নেওয়া হয়নি। দলিত এবং দরিদ্র মানুষের প্রতি কি সরকারের কোনো দায়িত্ব নেই? দুটি বসতির বাসিন্দারা অভিযোগ জানায় বসন্ত বিহার থানায়, দিল্লি সরকারের এসসি/এসটি/ওবিসি কল্যাণ দপ্তরে এবং জাতীয় এসসি কমিশনে। অথচ কোনো জায়গা থেকেই কোনো ব্যবস্থা এখনও অবধি নেওয়া হয়নি। বসন্তবিহার পুলিশের চোখের সামনেই এই অবৈধ নির্মাণ কাজটি চলতে থাকে, কিন্তু তারা কোনও পদক্ষেপ নেয় না। এবং, বাসিন্দারা যে অভিযোগ জানিয়েছিলেন সেকথাই এখন অস্বীকার করছে তারা! সিপিআই(এমএল) সদস্যরা বর্তমান স্থিতি সম্পর্কে জতীয় এসসি কমিশনে জিজ্ঞাসাবাদ করতে গেলে কমিশন থেকে জানানো হয় যে কমিশনের চেয়ারপার্সন পদটি এখন শূন্য থাকায় কোনও অভিযোগকে মান্যতা দেওয়া যাচ্ছে না! চেয়ারপার্সন পদ শূন্য বলে কোনোরকম আইনি ব্যবস্থা গ্রহন করতেই অস্বীকার করে দেয় জাতীয় তফসিলি কমিশন।
সারা দেশ জুড়ে মহামারী এবং লকডাউন চলাকালীন আমরা দলিতদের ওপর নৃশংসতার বহু ঘটনা দেখেছি এবং খুব স্পষ্টভাবেই অভিযোগ অস্বীকার করার মধ্য দিয়ে অত্যাচারীর প্রতি প্রশাসনিক পক্ষপাতিত্ব লক্ষ্য করা যাচ্ছে।
আমরা দাবি জানাই,
পুলিশ, জাতীয় এসসি কমিশন এবং দিল্লি রাজ্য কল্যাণ দপ্তরকে এই অবৈধ ও জাতবাদী দেওয়াল ও ফাটক নির্মাণের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিতে হবে। কোনও অজুহাতে বর্ণবাদ চলবে না!
মহামারীকে বাহানা বানিয়ে ন্যায়বিচার জলাঞ্জলি দেওয়া চলবে না।
জাতবর্ণবাদের দেওয়াল ভেঙ্গে ফেল।
- সুমন ঘোষ