বিবৃতি
নীতীশ কুমার ও সুশীল মোদীকে সৃজন দুর্নীতির তদন্তের আওতায় আনতে হবে
gtee

সিপিআই(এমএল)-এর বিহার রাজ্য সম্পাদক কুনাল ২৯ জুনের এক বিবৃতিতে দাবি করেছেন, বিজেপি-জেডিইউ জমানায় সিবিআই সৃজন দুর্নীতি নিয়ে যে চার্জশিট দাখিল করেছে তা একেবারেই সন্তোষজনক নয়। কেননা, এর মধ্যে দুর্নীতিতে জড়িত রাঘববোয়ালদের আড়াল করার চেষ্টা দেখা যাচ্ছে। সুনির্দিষ্ট তথ্যপ্রমাণ মুখ্যমন্ত্রী নীতীশ কুমার এবং উপ-মুখ্যমন্ত্রী সুশীল মোদীর জড়িত থাকার দিকেই নির্দেশ করছে এবং তাঁদেরও তদন্তের আওতায় আনতে হবে।

অতিকায় এই দুর্নীতি সম্ভবত আজ পর্যন্ত বিহারে হওয়া সবচেয়ে বড় দুর্নীতি এবং ক্ষমতাসীন ব্যক্তিদের নাকের ডগাতেই এই দুর্নীতি ঘটেছে। অতএব, দুর্নীতিতে যোগানো রাজনৈতিক সুরক্ষার বিষয়টা নিয়ে তদন্ত না হলে সত্য কখনই প্রকাশ পেতে পারে না।

সুশীল মোদী নাকি এমন মানুষ যিনি ‘দুর্নীতি ফাঁস করে থাকেন’। সেই তিনিই দীর্ঘদিন ধরে অর্থমন্ত্রী হয়ে রয়েছেন। তাঁর অনেক ঘনিষ্ঠ আত্মীয়ই এই দুর্নীতিতে জড়িয়ে রয়েছেন। মনোরমা দেবীর সঙ্গে ওঠাবসা করা অনেক বিজেপি নেতার ছবিই ভাইরাল হয়েছে। এই ব্যাপারে নীতীশ কুমার ও সুশীল মোদী তাঁদের দায় এড়িয়ে যেতে পারেন না। সুশীল মোদীকে এই প্রশ্নের উত্তর দিতেই হবে: এত দীর্ঘ সময় ধরে সরকারের তহবিল যখন লুট হয়ে চলেছিল তখন তিনি কি করছিলেন?

লালু প্রসাদ সে সময় অর্থমন্ত্রী ছিলেন বলে পশু খাদ্য কেলেঙ্কারিতে তাঁকে দোষী সাব্যস্ত করা হয়। সৃজন দুর্নীতির আকার পশু খাদ্য কেলেঙ্কারির দ্বিগুণ এবং এটা এক সংগঠিত লুট। কাজেই, মুখ্যমন্ত্রী এবং উপ-মুখ্যমন্ত্রীর বিরুদ্ধে অভিযোগ দায়ের হবে না কেন? অতিকায় এই দুর্নীতিতে জড়িত রাঘববোয়ালদের উদ্দেশ্যমূলকভাবে আড়াল করা হচ্ছে। নির্লজ্জতার সমস্ত সীমা ছাড়িয়ে গিয়ে সুশীল মোদী বলেছেন যে, তদন্ত যে দিশায় এগোচ্ছে তাতে তিনি সন্তুষ্ট। সম্ভবত এই জন্যই তিনি এই কথা বলছেন যে, তদন্তের দিশা তাঁর থেকে ক্রমশই দূরে সরে যাচ্ছে এবং তাঁকে আড়াল করতে সিবিআই চেষ্টার কোন কসুর করছে না।

 

খণ্ড-27