প্যানডেমিক পরবর্তী ঋণমুক্তির প্রাসঙ্গিকতা
laoa

লকডাউনের প্রথম পর্যায়ে শুরু হয়েছিল পোলবা-দাদপুরে, ঋণ মুক্তির আন্দোলন এখন দানা বাঁধতে শুরু করল হুগলি জেলার পাণ্ডুয়া, ধনেখালি, জঙ্গীপাড়া, সিঙ্গুর, বলাগড় ইত্যাদি ব্লকগুলি ছাড়াও হুগলি সংলগ্ন বর্ধমানের জামালপুর, ঝাপানডাঙ্গা, দেবীপুর, জৌগ্রামের মতো এলাকাগুলিতে। গত ৯ ও ১০ জুলাই যথাক্রমে পাণ্ডুয়া ও ধনেখালি ব্লক দপ্তর উত্তাল হয়ে উঠল বেসরকারী ব্যাঙ্কগুলির এজেন্টদের জুলুমবাজির বিরুদ্ধে, সব ধরনের ঋণ থেকে মুক্তির দাবিতে। হাজার হাজার মানুষের সংগঠিত ও স্বতস্ফূর্ত উদ্যোগে কার্যত অবরুদ্ধ হল প্রশাসনিক ভবন।

পথে নেমেই ঋণমুক্তির আকাক্ষাকে বুঝে ওঠা; বুঝে ওঠার চেষ্টা চালিয়ে যাওয়া মাটির সোঁদা গন্ধ মেখে। নিরুপায় পরিবারগুলোকে প্রতিবাদে সংগঠিত করার তাগিদ ছিল। কিন্তু শুরুতে সংগঠকদের কাছে ছিল না রিজার্ভ ব্যাংকের গাইডলাইন, জানা ছিল না আরবিআই ও কেন্দ্রীয় সরকারের উদ্দেশ্যে সুপ্রিম কোর্টের তিরস্কার সংক্রান্ত কোনো খবর, মরাটোরিয়ামের মতো অর্থনীতির পরিভাষাও সবার ঠিকঠাক বোঝা ছিল না। আক্ষরিক অর্থে, শুরুর সেদিন ছিল একটাই চেতনা-মানুষ বড় কাঁদছে, তুমি মানুষের পাশে দাঁড়াও!

ক্রমশ আমরা বুঝতে থাকছি, বুর্জোয়া অর্থনীতির মূল মূল স্তম্ভগুলি কিভাবে প্যানডেমিকের ঝাপটায় দুলতে শুরু করেছে! সামাল, সামাল রব উঠছে; আরবিআই, সর্বোচ্চ আদালত, কোম্পানি মহল থেকে মাইক্রো ফাইন্যান্স-এর নিচুতলা পর্যন্ত!

উপরতলায় আরবিআই, সুপ্রিম কোর্ট, কর্ণাটক হাইকোর্ট, বহুজাতিক ও কোম্পানি মহলে যা চলছে

সুপ্রিম কোর্টে ঋণ মকুব সংক্রান্ত কোন মামলা চলছে না। রিজার্ভ ব্যাঙ্ক মরাটোরিয়াম সংক্রান্ত যে গাইডলাইন সমস্ত ব্যাঙ্ককে প্যানডেমিক পরিস্থিতিতে পাঠিয়েছে, তার দুটি গুরুত্বপূর্ণ ফাঁক (সব ব্যাঙ্ক মরাটোরিয়াম মানবে কিনা এবং মরাটোরিয়ামে সুদ মকুব হবে কিনা) নিয়ে সুপ্রিম কোর্ট ও কর্ণাটক হাইকোর্টে মামলা।

looo

 

কেন্দ্রীয় সরকার লকডাউন ঘোষণা করে ২৪ মার্চ। এর তিন দিনের মাথায়, ২৭ মার্চ রিজার্ভ ব্যাঙ্ক প্রকাশ করল, মরাটোরিয়াম সংক্রান্ত গাইডলাইন। কারণ সমস্ত অর্থনৈতিক কার্যকলাপ যখন বন্ধ থাকছে, সেসময় নিয়মিত কিস্তি পরিশোধ সম্ভব নয়। বহু অ্যাকাউন্ট সিজ হওয়ার প্রবল সম্ভাবনা। কেন্দ্রীয় ব্যাঙ্ক বলল, কোভিড পরিস্থিতিতে ৩১ মে পর্যন্ত টার্ম লোনের ইএমআই প্রদান স্থগিত রাখা হচ্ছে। এনপিএ (নন পারফর্মিং অ্যাসেট/ অনাদায়ী লোন) যাতে না বাড়ে, তা দেখাই সম্ভবত রিজার্ভ ব্যাঙ্কের উদ্দেশ্যে ছিল। আরবিআই সাথে এটাও বলল, গ্রাহকদের মরাটোরিয়ামের সুযোগ দেওয়াটা ব্যাঙ্কগুলির ইচ্ছাধীন। কোভিড পরিস্থিতি আরো ঘোরালো হলে আরবিআই মরাটোরিয়ামের সুযোগ বর্ধিত করে ৩১ অগাষ্ট পর্যন্ত। তবে কেন্দ্রীয় ব্যাঙ্ক বলল যে ইএমআই সংগ্রহ স্থগিত থাকলেও এই সময়ের সুদ দিতে হবে ঋণগ্রহীতাকে!

এই পরিপ্রেক্ষিতে সুপ্রিম কোর্টে জনস্বার্থ মামলা করলেন আগ্রার অপটিক্যাল শপ মালিক জনৈক গজেন্দ্র শর্মা। তিনি বেসরকারী একটি (আইসিআইসিআই) ব্যাঙ্ক থেকে ৩৭ লক্ষ টাকা লোন নিয়েছিলেন। মোরাটোরিয়ামের জন্য আবেদন করতে, ব্যাঙ্ক জানায় ইএমআই স্থগিতের ৬ মাস সময়ও সুদ দিতে হবে। গজেন্দ্রের পক্ষে সিনিয়র অ্যডভোকেট রাজীব দত্তের যুক্তি যে আরবিআই গাইডলাইনে, প্যানডেমিকের কারণে ইএমআই স্থগিত সুতরাং কোর্ট এই সময়ের সুদ মকুব করার নির্দেশ জারি করুক।

এই প্রেক্ষিতে ৪ ও ১২ জুন সর্বোচ্চ আদালতে শুনানি চলে। ৪ জুন বিচারপতি অশোকভূষণ, কাউল ও এম আর শাহ’র বেঞ্চ মরাটোরিয়ামে সুদ চাপানো নিয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করে। অভিমত ব্যক্ত করেন বিচারপতিরা যে লকডাউনে ক্ষতিগ্রস্ত ব্যক্তির পক্ষে এই সিদ্ধান্ত ‘আরো ক্ষতিকারক’।

১২ জুন কোর্ট আবার জানতে চায়, সুদের উপর সুদ চাপানো হবে কিনা। পরবর্তী শুনানি অগাস্ট মাসের গোড়ায়।

ইতিমধ্যে কর্ণাটক হাইকোর্টে, ১০ জুলাই বিচারপতি সুরাজ গোবিন্দরাজ আরবিআইকে লোন মরাটোরিয়াম সংক্রান্ত সার্কুলারের প্রয়োগ মনিটর করার নির্দেশ দেন। ব্যবসার স্বার্থে গ্রহীতাদের এটা অধিকার। কেউ মরাটোরিয়ামের সুযোগ দেবে, আর কেউ দেবে না, এটা হয় না।

সম্প্রতি বিজনেস স্ট্যান্ডার্ড সিনিয়র ব্যাঙ্কারদের অভিমত নিয়ে একটি খবরে জানিয়েছে যে মরাটোরিয়াম ডিসেম্বর পর্যন্ত আরো বাড়ানো ছাড়া রিজার্ভ ব্যাঙ্কের কাছে অন্য অপশন নেই। কারণ তা না বাড়ালে আর্থিক মন্দার এই পরিবেশে বহু অ্যাকাউন্ট সিজ হয়ে যাবে। সেক্ষেত্রে ব্যাঙ্কিং ব্যবস্থা আরো মুখ থুবড়ে পরবে।

এসবিআই সুপ্রিম কোর্টকে জানায় যে ৯০ শতাংশই মরাটোরিয়াম করেনি। এরা হলেন সেই সব সাধারণ দরিদ্র পরিবারের ঋণগ্রহীতা, মরাটোরিয়াম কি সেটাই যাদের জানা নেই। ব্যাঙ্কও আগ বাড়িয়ে এঁদের জানায়নি যে প্যানডেমিক গাইডলাইন অনুসারে এ কিস্তি প্রদান বন্ধ রাখলে, সংশ্লিষ্ট ব্যাঙ্ক কর্তৃপক্ষের কাছে আবেদন করতে হবে।

pand

সবমিলিয়ে এটাই দাঁড়ালো যে --

১) প্যানডেমিক ও লকডাউনের কারণে টার্ম লোনের কিস্তি অনেকের পক্ষে দেওয়া সম্ভব নয় বুঝে রিজার্ভ ব্যাঙ্ক প্রথমে তিন মাসের জন্য, পরে আরো তিন মাস বাড়িয়ে ৩১ অগাষ্ট পর্যন্ত মোট ৬ মাস স্থগিত করে কিস্তি প্রদান। বিশেষজ্ঞরা বলছেন এটা আরো বাড়িয়ে ডিসেম্বর পর্যন্ত করা হতে পারে।

২) রিজার্ভ ব্যাঙ্কের এই সার্কুলারে বড় গণ্ডগোল থেকে গেল — (ক) কিস্তি পরিশোধ বন্ধ রাখতে হলে, সংশ্লিষ্ট ব্যাঙ্কের কাছে (মরাটোরিয়াম) জানাতে হবে। (খ) মরাটোরিয়ামের সুযোগ ঋণগ্রহীতাদের দেবে কিনা, তা ঠিক করবে সংশ্লিষ্ট ব্যাঙ্ক। (গ) মরাটোরিয়ামের সুযোগে কিস্তি পরিশোধ ৬ মাস স্থগিত করা হলেও সেই সময়ের সুদ ছাড় হবে না!

৩) এই ৬ মাসের কিস্তি স্থগিতের সময় সুদ কেন নেওয়া হবে, এই বিচার চেয়ে সুপ্রিম কোর্টে একটি মামলা দায়ের করা হয় এবং অন্য একটি মামলা হয় কর্ণাটক হাইকোর্টে এই যুক্তিতে যে একটি ব্যাঙ্ক মরাটোরিয়ামের সুযোগ দিলে, অন্য একটি ব্যাঙ্ক কেন দেবে না। ২টি মামলাই রিজার্ভ ব্যাংকের বিরুদ্ধে যাচ্ছে।

সুপ্রিম কোর্ট প্রশ্ন তুলেছে, কেন সুদের উপর সুদ নেওয়া হবে। সুপ্রিম কোর্ট কেন্দ্রীয় সরকার ও কেন্দ্রীয় ব্যাঙ্ককে এই বলেও তিরস্কার করেছে যে এনপিএ-তে হাজার হাজার কোটি টাকা ছাড় দেওয়া হয়, অথচ সাধারণ ঋণ গ্রহিতাদের কিস্তি স্থগিতকালে কেন সুদের ছাড় দেওয়া সম্ভব হচ্ছে না! কোর্টের মন্তব্য, এই ছাড় হয় ব্যাঙ্ক দিক অথবা কেন্দ্রীয় সরকার ব্যবস্থা গ্রহণ করুক। এ নিয়ে পরবর্তী শুনানি অগাস্ট মাসের গোড়ায়।

অন্য মামলায় কর্ণাটক হাইকোর্ট রিজার্ভ ব্যাঙ্ককে নির্দেশ দেয় যে মরাটোরিয়ামের সুযোগ যাতে সকলেই দেয়, তা নিশ্চিত করতে হবে। অর্থাৎ কোর্টে যারা মামলা করেছেন, তাঁরা ব্যবসাদার, কারো ঋণ ৩৭ লক্ষ টাকা কারো ৪৭৫ কোটি টাকা। এরা মামলা করছেন ঋণ মকুবের জন্য নয়, এঁদের মামলা মরাটোরিয়ামের সুযোগ পাওয়ার জন্য এবং মরাটোরিয়াম পর্বে যেন সুদ আদায় না করা হয়, সেই লক্ষ্যে। এই সময়েই আরবিআই কোর্টকে জানিয়েছে যে কেন্দ্রীয় ব্যাঙ্ক সুদ ছাড়েরও পক্ষপাতী নয়। আবার এই পর্বেই তারা মাত্র ৫০ জন শিল্পপতির (ইচ্ছাকৃত ঋণখেলাপি) ৬৮,৬০৭ কোটি টাকার বকেয়া ‘রাইট অফ’ করেছে। এই সময়েই কেন্দ্রীয় অর্থমন্ত্রক শিল্পপতিদের ঋণ পুনর্গঠনের জন্য রিজার্ভ ব্যাঙ্ককে অনুরোধ করেছে।

মরাটোরিয়ামের সময়কাল কেন্দ্রীয় ব্যাঙ্ককে দফায় দফায় বাড়াতে হচ্ছে কারণ না হলে বহু অ্যাকাউন্ট সিজ হওয়ার আশংকা থাকছে।

বাজারের কোভিড পরবর্তী ক্রমবর্ধমান অনিশ্চয়তার হাত থেকে বহুজাতিক ঋণগ্রহিতা কোম্পানিগুলিকে বাঁচাতে, তারা যাতে ইনসলভেনসি প্রসেডিংএ না আটকায় তা দেখতে সরকার নানা পদক্ষেপ গ্রহণ করছে। কেন্দ্রীয় অর্থমন্ত্রক ১৭/৫ এ রিলিফ প্যকেজ ঘোষণার সময় এটাও বলে যে নতুন করে ইনসলভেন্সি কেস শুরু করা এখন এক বছর স্থগিত করা হচ্ছে।

loa

গরিব ঋণগ্রহিতাদের তাহলে কী দশা?

ঋণগ্রহিতাদের উপর তলায় যদি এই অবস্থা হয়, তবে দেখা যাচ্ছে, নিচের তলায় মরাটোরিয়ামের জন্য আবেদনই করেছে মুষ্টিমেয় কয়েকজন! গ্রামীণ দরিদ্র ঋণগ্রহিতারা ব্যাপারটা বোঝেনও না।

লকডাউনের প্রথম দিকে এরা কেউ কেউ জমানো যা সঞ্চয় ছিল, তা থেকে কিছু কিছু কিস্তি পরিশোধ করার চেষ্টা চালিয়েছেন। কিন্তু যত দিন অতিবাহিত হচ্ছে, ততই ঋণগ্রস্তদের সেই ক্ষমতাও হারিয়ে যাচ্ছে।

এই পরিস্থিতি থেকে বের হতে বন্ধন ব্যাঙ্ক নতুন করে ঋণ দিচ্ছে। এই ঋণে পুরানো বকেয়া শোধ করে হাতে সামান্যই অবশিষ্ট থাকছে, যা ২/১ মাসের মধ্যে সংসার খরচে ঢুকে যাওয়ার সম্ভাবনা! এমনই একজনের বন্ধনে বকেয়া ছিল ৬১ হাজার। বন্ধন নতুন করে ঋণ দিল ৮০ হাজার। এরপর ৬১ হাজার কেটে নিয়ে হাতে তুলে দিল মাত্র ১৯ হাজার! এতে ওই পরিবারের ঋণের বোঝা বাড়লো মাত্র। একারণে অনেকে আপৎকালীন কিছু নগদের প্রয়োজনে নতুন ঋণ নিলেও অনেকে ঋণ-ফাঁদ এড়াতে এই প্রস্তাব ফিরিয়ে দিচ্ছেন।

aadee

আমাদের দাবি

১) ঋণফাঁদের সামগ্রিক পরিস্থিতিতে আমাদের কেন্দ্রীয় শ্লোগান অবশ্যই সব ধরনের ঋণ থেকে মুক্তির আকাংখাকে তুলে ধরবে। যা হতে পারে (ক) দরিদ্র পরিবারের সমস্ত ধরনের সরকারী/বেসরকারী ঋণ মকুব করতে কেন্দ্রীয় ও রাজ্য সরকারকে উদ্যোগ গ্রহণ করতে হবে। দরিদ্রদের বেসরকারী ঋণ(ফাঁদ?) মকুবের অর্থনৈতিক দায়িত্ব কেন্দ্রীয় ব্যাংক ও কেন্দ্রীয় সরকারকে নিতে হবে। (খ) লকডাউন ডেকেছে সরকার, এখন সংবিধানের ২১ ধারা মোতাবেক ‘জীবনের অধিকার’ ও ‘জীবিকার অধিকার’ রক্ষার দায়িত্ব সরকারের। (গ) শিল্পপতিদের ঋণ মকুব হল, কেন্দ্রীয় সরকারকে দরিদ্র পরিবারগুলির ঋণ মকুব করতে হবে।

২) (ক) কমপক্ষে ১ বছর দরিদ্র পরিবারের লোনের কিস্তি গ্রহণ স্থগিত রাখতে হবে। (খ) ঋণ আদায়ের নামে বেসরকারী ব্যাঙ্ক এজেন্টদের জুলুমবাজি বন্ধ করো।

৩) ঋণগ্রস্ত কৃষকদের সমবায় ঋণ ও স্বনির্ভর গোষ্ঠীর ঋণ মকুব করতে রাজ্য সরকারকে উদ্যোগ নিতে হবে।

৪) উজ্জীবন, বন্ধনের মতো বেসরকারী সংস্থার থেকে দরিদ্রদের চড়া সুদে ঋণ নিতে হচ্ছে কেন? রাজ্য ও কেন্দ্রীয় সরকার জবাব দাও।

৫) দরিদ্র মানুষের জন্য নামমাত্র সুদে সরকারকে ঋণ প্রদান করতে হবে।

৬) বেসরকারী ব্যাঙ্কগুলির মহাজনী কারবারে সুদের হার সরকারকে নিয়ন্ত্রণ করতে হবে। সর্বোচ্চ ১০ শতাংশের বেশি সুদ নেওয়া চলবে না।

৭) স্বনির্ভর গোষ্ঠীগুলির স্বনির্ভরতা সৃষ্টি করতে সরকারী পরিকাঠামো নেই কেন? রাজ্য সরকার জবাব দাও।

dda

 

ধনেখালি বিডিও ডেপুটেশনের সময় পঞ্চায়েত সমিতি ভবনে আটকে পরেন মন্ত্রী অসীমা পাত্র। তাঁকে পিছনের গেট দিয়ে বের হতে হয়। ধনেখালিতে ওইদিন বিকেলে পেট্রোপণ্যের মূল্যবৃদ্ধি নিয়ে তাঁর দলের  মিছিল-সমাবেশ ছিল। আমাদের ডেপুটেশন শেষে ফেরার পথে মাইকে ভেসে আসছিল টিএমসির শ্লোগান, ওঁরাও বলছেন আমাদের শ্লোগান ‘শিল্পপতিদের ঋণ মকুব হয়, গরিব মানুষের হয় না কেন, কেন্দ্রীয় সরকার জবাব দাও।’

দিল্লির বিজেপি সরকারকে এই প্রশ্নের উত্তর দিতে হবে। পাশাপাশি আগামী বিধানসভা নির্বাচনে রাজ্য সরকারকেও নিশ্চিতভাবে এই প্রশ্নের উত্তর দিতে হবে, কেন গরিব মানুষ আজ লাখে লাখে বন্ধন, উজ্জীবনদের চড়া সুদের ঋণফাঁদে? কেনই বা তারা সরকারী ব্যবস্থায় কম সুদে প্রয়োজনীয় ঋণ পায় না! স্বনির্ভর গোষ্ঠীগুলির স্বনির্ভরতা কোথায় গেল?

caedd

 

রাষ্ট্র ও শাসকদের এই প্রশ্নের মুখোমুখি দাঁড় করাতে প্রস্তুতি বাড়াচ্ছেন প্রত্যন্ত গ্রামের দরিদ্র পরিবারগুলি। তাঁদের সাথে থাকতে হবে আমাদের; বৃহত্তর পরিধিতে-দেশজুড়ে।

আপাতত হুগলিতে প্রস্তুতি চলছে আগামী ১৭ জুলাই কার্যক্রমের। ওইদিন ডিএম ডেপুটেশন। সামিল হতে চলেছেন হাজারে, হাজারে প্যানডেমিক পরিস্থিতির জনস্বাস্থ্য সম্পর্কিত ও সামাজিক দায়-দায়িত্বকে মাথায় রেখেই।

- সজল অধিকারী 

খণ্ড-27