মার্চ মাসের শেষ দিক থেকে টানা লকডাউন ঘোষিত হওয়ার পর দীর্ঘ দু’মাস সিইএসসি-র কর্মীরা সরাসরি মিটার রিডিং নিতে পারেনি। এই সুযোগে এই সংস্থাটি কয়েকমাস অস্বাভাবিক হারে বিদ্যুত বিল গ্রাহকদের কাছে পাঠিয়েছে। আম্ফান ঘূর্ণিঝড়ে বিদ্যুৎ পরিষেবা গুরুতরভাবে বিপর্যস্ত হয়। বেশ কিছুদিন যাবত বিস্তীর্ণ অঞ্চল বিদ্যুৎ বিহীন থাকায় অশেষ দুর্ভোগের শিকার হয়েছেন সাধারণ মানুষ। তার উপর এই চড়া বিদ্যুৎ বিল ব্যাপক মানুষকে সিইএসসি-র বিরুদ্ধে ক্ষুব্ধ করে তোলে।
পার্টির কলকাতা জেলা কমিটির তরফ থেকে এই বিষয়টা নিয়ে পথে নামার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়। এলাকার সিইএসসি-র ক্যাশ কাউন্টারগুলোতে বিক্ষোভ, স্বাক্ষর সংগ্রহ প্রভৃতি পদক্ষেপ নেওয়া হয়।
আইসা-র তরফ থেকে ২ এবং ৪ জুলাই যথাক্রমে কলেজ স্ট্রিট ও শ্যামবাজারে, যাদবপুরে ৪ জুলাই এবং তারাতলায় ৮ জুলাই সিইএসি-র কাউন্টারগুলোতে পার্টি, আইপোয়া, এআইসিসিটিইউ ও আইসা-র পক্ষ থেকে বিক্ষোভগুলো চলে। এরপর ৬ জুলাই, দঃ কলকাতাস্থিত ম্যান্ডেভিলা গার্ডেনে সিইএসসি-র আঞ্চলিক দপ্তরে জেলা কমিটির তরফ থেকে বিক্ষোভ দেখানো হয়। বিক্ষোভ চলাকালীন তিন সদস্যের এক প্রতিনিধি দল কমার্শিয়াল ম্যানেজারের সাথে দেখা করে স্মারকপত্র ও গণস্বাক্ষর জমা দেন। প্রতিনিধি দলে ছিলেন, চন্দ্রাস্মিতা, এবি চৌধুরী ও অতনু চক্রবর্তী। স্মারকপত্রে দাবি জানানো হয় :
১) লকডাউনের সময়কার ৩ মাসের বিল মুকুব করতে হবে।
২) প্রথম ২০০ ইউনিট মুকুব করতে হবে। ২০১ ইউনিট থেকে ৪০০ ইউনিট পর্যন্ত ৫০ শতাংশ ছাড় দিতে হবে -- দিল্লি সরকার যা করেছে।
৩) ধোঁয়াশাভরা স্ল্যাব পুনর্বিন্যাস করতে হবে।
৪) এপ্রিল থেকে জুন পর্যন্ত বিল বাতিল করে নতুন বিল পাঠাতে হবে।
৫) ঠিকা শ্রমিকদের স্থায়ীকরণ করতে হবে।
এ ছাড়া প্রচার চালানোর সময় কেন্দ্রীয় সরকার যে “নতুন বিদ্যুৎ বিল, ২০২০” আনতে চলেছে, তা বাতিল এবং রাজ্য সরকার কর্তৃক সিইএসসি-র অধিগ্রহণের দাবিও করা হয়। পরবর্তীতে রাসবিহারী এভেনুয়ের অফিস সহ কলকাতার আরও কয়েকটি এলাকায় সিইএসসি দপ্তরের সামনে বিক্ষোভ দেখানো হয়।