উত্তরাখণ্ডের চাম্পাওয়াত জেলার সিএমও (চিফ মেডিক্যাল অফিসার) ২৬৪ জন আশা কর্মীকে পুনরায় নিয়োগ করতে বাধ্য হলেন। প্রসঙ্গত, তাঁরা যা কাজ করেন তার জন্য ন্যায্য বেতন দাবি করার কারণেই এই ২৬৪ জন আশা কর্মীকে বরখাস্ত করা হয়েছিল। এর বিরুদ্ধে প্রতিবাদে এআইসিসিটিইউ অনুমোদিত উত্তরাখণ্ড আশা স্বাস্থ্যকর্মী ইউনিয়ন রাজ্যব্যাপী আন্দোলন শুরু করে।
ওই ইউনিয়নের রাজ্য সাধারণ সম্পাদক ডঃ কৈলাশ পাণ্ডে ৮ জুলাইয়ের বিবৃতিতে জানিয়েছেন, আশা কর্মীদের আন্দোলনের চাপেই জেলা স্বাস্থ্য প্রশাসনকে পুনর্নিয়োগের সরকারি নির্দেশিকা বার করতে হয়েছে। আশা কর্মীরা দৃঢ় ঐক্যের স্বাক্ষর রেখে যে জোরালো আন্দোলন গড়ে তোলেন তার জন্য তাদের আন্তরিক অভিনন্দন জানাতে হবে। তিনি বিবৃতিতে আরও দাবি করেছেন, করোনা মোকাবিলায় আশা কর্মীরা সামনের সারিতে থাকায় সরকারকে তাদের জন্য অবিলম্বে ১০,০০০ টাকা করে লকডাউন ভাতা ঘোষণা করতে হবে, এবং যে আশা কর্মীরা বেতন ব্যবস্থার বাইরে তাদের জন্য বেতনের ব্যবস্থা করতে হবে।
স্বাভাবিক সময়েই হোক বা মহামারী চলাকালীনই হোক, আশা কর্মীদের যে কাজ দেওয়া হয়েছে তা করতে তাঁরা কখনই অস্বীকার করেননি। তাঁদের কাজের জন্য তাঁরা ন্যায্য বেতনই দাবি করছেন, আর সরকার সেটাই দিতে চাইছে না। ডঃ পাণ্ডে তাঁর বিবৃতিতে প্রশ্ন তুলেছেন, আশা কর্মীরা বেতন ছাড়া কতদিন আর বাঁধা মজুরের মতো কাজ করবেন? সরকারকে এই প্রশ্নের উত্তর দিতে হবে। আশা কর্মীদের দাবি – তাঁদের মাসিক বেতন দিতে হবে, অন্যান্য প্রকল্প কর্মীদের মতো প্রতি মাসে সাম্মানিক ভাতা দিতে হবে। আগামী ১৫ দিনের মধ্যে সমস্ত আশা কর্মীর ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্টে ১০,০০০ টাকা করে লকডাউন ভাতা পাঠাতে হবে, অন্যথায় তাঁরা তীব্র আন্দোলনের পথে যেতে বাধ্য হবেন।