লাদাখে প্রকৃত নিয়ন্ত্রণরেখায় চীনের অনুপ্রবেশ ও ভারত-নিয়ন্ত্রিত গালওয়ান উপত্যকায় ঢুকে পড়ার খবরাখবর সামনে আসায় মোদি সরকার চীন ও ভারতের মাঝে বার্তালাপের ঝাঁঝ মৃদু করার কথা বলেছে। কিন্তু তারই মাঝে, ১৯৭৫ সাল থেকে চলা ভারত-চীন সীমান্ত সমস্যায়, এই প্রথম সশস্ত্র সংঘাতে তিন জন ভারতীয় সেনার মৃত্যুর খবর এল। আরও ভারতীয় সেনা চীনের হাতে বন্দি হওয়ার এবং চীনের কয়েকজন সেনা জওয়ানের মৃত্যুর খবরও এসেছে। মোদি সরকার যে তার চীন-নীতিতে ক্রমাগত জমি হারাচ্ছে তা স্পষ্ট এবং তা চাপা দিতে দেশের আভ্যন্তরীন রাজনীতিতে তীব্র চীন-বিরোধী বুলির আশ্রয় নিচ্ছে। সেই সাথে আবার, স্বচ্ছতা ও দায়বদ্ধতা জলাঞ্জলি দিয়ে মোদি সরকার, প্রকৃত নিয়ন্ত্রণরেখার ঘটনাবলী ও পরিস্থিতি সম্পর্কে ভারতীয় জনতাকে সম্পূর্ণ অন্ধকারে রাখছে।
কোভিড-১৯ মহামারীর বর্তমান পরিস্থিতিতে যখন চীন ও ভারত উভয়েরই জনস্বাস্থ্য ও অর্থনীতির বিশেষ গুরুত্বপূর্ণ বিষয়গুলিতে গভীর বোঝাপড়া ও সহযোগিতা গড়ে তোলার প্রক্রিয়া জরুরি তখন সীমান্ত সমস্যাকে প্রাণহানিকর সংঘাতের পথে যেতে দেওয়া ভারত ও চীন দুই দেশের পক্ষেই অবিবেচক ও ধিক্কারজনক কাজ হবে। দুই দেশের সরকারের কাছেই আমাদের দাবি, দ্রুত কূটনৈতিক পথে সমাধান খোঁজার, সীমান্ত বরাবর সেনা নিয়োগ দ্রুত কমিয়ে আনার এবং কোনও তৃতীয় পক্ষের হস্তক্ষেপ নাকচ করে দ্বিপাক্ষিক বোঝাপড়ার মধ্যে দিয়ে সমস্ত সমস্যা সমাধানের।
দীপঙ্কর ভট্টাচার্য
সাধারণ সম্পাদক, সিপিআই(এমএল) লিবারেশন
নয়া দিল্লি
১৬/০৬/২০২০