করোনার বিরুদ্ধে লড়াইয়ে, দরিদ্র ও ক্ষুধার বিরুদ্ধে লড়াইয়ে, হাওড়া ডুমুরজলা মাঠের লাগোয়া একটি ছোট মাঠ, যেখানে অতিতে হাওড়া জেলা ফুটবল খেলা ও কলকাতা মাঠে বিভিন্ন ক্লাবের হয়ে আইএফএ লিগ খেলা এবং বর্তমান চারটি ফুটবল কোচিং লাইসেন্স অধিকারী এবং এক সময়ে সারা ভারত সিজিএইচএস কর্মচারি ইউনিয়নের কলকাতা শাখার নেতা/সংগঠক ও সর্বোপরি সিপিআই(এমএল) লিবারেশনের কর্মী দিলীপ ঘোষ ওখানকার ফুটবল অনুশীলন কেন্দ্রের (বর্তমান কোচ) দিন আনা দিন খাওয়া মানুষগুলোর পাশে দাঁড়িয়ে ১ এপ্রিল থেকে ১১টা পরিবারকে নিত্য প্রয়োজনীয় খাদ্য সামগ্রী ও অল্প কিছু আর্থিক সহায়তা করে চলেছেন। এই কাজে আন্তরিক সাহায্য করার জন্য প্রথমে ফোনের মাধ্যমে এবং পরে অনুশীলন কেন্দ্রের ৭০টি পরিবারকে নিয়ে যে হোয়াটস্যাপ গ্রুপ তৈরি হয়েছিল তার মাধ্যমে আবেদন রাখা হয়। আবেদনে সাড়া দিয়ে ১২টা পরিবার সাহায্যের হাত বাড়িয়ে দেয়, ফলে ১১টি পরিবারকে এখনও পর্যন্ত আমরা সুস্থ রাখতে পেরেছি। এটা গেলো একটা দিক —
দ্বিতীয়টা হলো, এই মহামারীর জেরে সরকারের অ-পরিকল্পিত লকডাউন, সবথেকে বেশি কষ্ট যাদের সইতে হচ্ছিল, সেই দিন আনা দিন খাওয়া মানুষগুলোর পাশে দাঁড়িয়ে আমাদের পার্টি সরকারের কাছে কিছু দাবি এবং সরকারের অপদার্থতার বিরুদ্ধে লড়াইয়ে যাতে ঐ ভুক্তভোগী মানুষগুলো আওয়াজ তুলতে পারে তার জন্য একাধারে ত্রাণ বিলি ও অন্যদিকে রাস্তায় নেমে জনসমক্ষে এআইসিসিটিইউ-এর ব্যানারে প্রতিবাদ সংগঠিত হয় যাতে বুঝতে পারে যে, ত্রাণ পাওয়াটা তাদের অধিকার, কোনো দয়া দাক্ষিণ্য নয়। ফলে স্ব-ইচ্ছায় ত্রাণ গ্রহিতা এবং ত্রাণ প্রদানকারী সরকারের বিরুদ্ধে প্রতিবাদে সামিল হয়। অর্থাৎ সচেতন ভাবে এই অনুশীলন চালানো গেলে হয়তো এই নতুন অভিজ্ঞতা আমাদের কাজে লাগবে।