গত সপ্তাহখানেক ধরে বৈঁচির বেড়েলা-কোঁচমালি এলাকায় পরিযায়ী শ্রমিকরা ভিন রাজ্য থেকে ফিরছেন। তাঁদের মধ্যে যাঁরা বাসে করে আসছেন, তাঁদের বেশিরভাগ শ্রমিকের ন্যূনতম টেস্টও হচ্ছে না এবং সরকার ও প্রশাসনের তরফে কোনোপ্রকার প্রাতিষ্ঠানিক কোয়ারান্টাইনের ব্যবস্থা না থাকায় তাঁদেরকে সরাসরি বাড়িতেই থাকতে হচ্ছে। এটা এলাকার মানুষ মেনে নিতে পারছিলেন না। গ্রামের বিভিন্ন পাড়ার বেশ কিছু মানুষ বিশেষত যুবকরা নিজেদের মধ্যে যোগাযোগ করে এর প্রতিকারে উদ্যোগী হন। ফিরে আসা পরিযায়ী শ্রমিকদের সরকারী তত্ত্বাবধানে ১৪ দিন কোয়ারেন্টিন ও উপযুক্ত টেস্টের ব্যবস্থার দাবি ওঠে গ্রামবাসীদের মধ্যে। ওখানকার সিপিআই(এম-এল) লিবারেশনের সংগঠক কমরেড পাভেল গত ৩০ মে স্থানীয় ফাঁড়িতে কথা বলায় পুলিশকর্তা জানান যে, এটা সম্পর্কে আগে তাদের কাছে তেমন কোনো সরকারী নির্দেশ ছিল না, তবে পরে নির্দেশ আসায় স্বাস্থ্যকর্মীরা সেদিনই দায়িত্ব নিয়ে ওদের কোয়ারেন্টিন করবে। কিন্তু সেইমত কাজ না হওয়ায় পার্টির তরফ আবার সন্ধ্যায় যোগাযোগ করলে উনি জানান, এটা সম্পূর্ণ বিডিও আর স্বাস্থ্য বিভাগের এক্তিয়ারভুক্ত তাই তিনি কিছু করতে পারবেন না। ফলত পাভেলের নেতৃত্বে গ্রামবাসীরা ঠিক করেন আর কোথাও তাঁরা দরবার করবেন না।
৩১ মে সকাল থেকে প্রাকৃতিক দুর্যোগ সত্ত্বেও অবরোধে সামিল হয় গ্রামের মানুষ। এক ঘণ্টার উপর অবরুদ্ধ হয় জি টি রোড। পার্টির তরফ থেকে কমরেড মুকুল কুমার পাণ্ডুয়ার বিডিওর সাথে যোগাযোগ করলে জানা যায় যে, বেড়েলা জুনিয়র বেসিক স্কুলে ঐ শ্রমিকদের রাখার সিদ্ধান্ত হয়েছিল। কিন্তু তা বাস্তবায়িত হচ্ছিল না এবং এবিষয়ে আগে গ্রামবাসীদের কিছু জানানোও হয়নি। মানুষ পথে নামায় প্রশাসন অবশেষে নড়েচড়ে বসলো। এরপরে পার্টি নেতৃত্বের মধ্যস্থতায় প্রশাসন আজকের মধ্যে বিষয়টির সমাধান করার আশ্বাস দিলে অবরোধ উঠে যায়।