মানবতার লজ্জাউত্তরপ্রদেশ সরকারের পরিচালিত একটি শেল্টার হোমে কোয়ারান্টাইনে রাখা নাবালিকাদের চরম লাঞ্ছনা ও সম্ভাব্য যৌন উৎপীড়নের এক ভয়াবহ ঘটনা মিডিয়া রিপোর্টের মাধ্যমে আমাদের সামনে উঠে এসেছে। রিপোর্ট বলছে, এখানে একেকটি বেডে দুই এমনকি তিনজনকে গাদাগাদি করে রাখায় রোগ ছড়িয়ে পড়ে। টেস্ট করার পর দুদিনের মধ্যে ৫৭ জন নাবালিকার কোভিড-১৯ পজিটিভ ধরা পড়ে যার মধ্যে ৭ জন গর্ভবতী এবং একজন এইচআইভি পজিটিভ।
মুখ্যমন্ত্রী যোগী আদিত্যনাথ শাসিত সরকারের একাধিক ব্যর্থতার ঘটনার সাথে আরও একটি যুক্ত হল। এই সরকারের আমলেই কয়েক বছর আগে ঐ রাজ্যেরই দেওরিয়া জেলার এক শেল্টার হোমে একই রকম ঘটনা আমরা দেখেছিলাম। সেই ঘটনার তদন্ত চলাকালীন যে সমস্ত তথ্য উঠে আসে তা থেকে সিদ্ধান্ত গৃহীত হয় যে নির্দিষ্ট সময় অন্তর রাজ্যের সমস্ত শেল্টারগুলির পর্যবেক্ষণ করা হবে এবং তার রিপোর্টিং করা হবে। কিন্তু সরকার এই নিয়মগুলোকে যথাযথ লাগু করার ক্ষেত্রে কড়া পদক্ষেপ তো অনেক দূরের কথা, বরং অত্যন্ত সচেতনভাবে সমস্ত কিছু এড়িয়ে যায়। যার ফলে কানপুর হোম শেল্টারের মতো ঘটনা এখনও আমাদের শুনতে হয়।
উত্তর প্রদেশ জুড়ে শেল্টার হোমগুলোতে নাবালিকাদের উপর দীর্ঘদিন ধরে চলতে থাকা বিভিন্ন অমানবিক, নির্মম অত্যাচার, দুর্ব্যবহার এবং সরকারের উদাসীনতা ও দোষীদের বিরূদ্ধে কড়া পদক্ষেপ গ্রহণ করার ক্ষেত্রে গাফিলতিকে তীব্র নিন্দা জানায়। বিভিন্ন শেল্টারগুলিতে যে একের পর এক যৌন নিগ্রহের ঘটনা অবিলম্বে রুখতে দ্রুত এই ঘটনার স্বতন্ত্র ও নিরপেক্ষ তদন্ত করে দোষীদের কঠোর শাস্তি দিতে হবে। এই ঘটনায় কেন্দ্রীয় মহিলা কমিশনের অবিলম্বে হস্তক্ষেপ চাই।
প্রতিবেদন: সুমন ঘোষ