বিবৃতি
২৬ জুন, ২০২০ জরুরি অবস্থা (এমার্জেন্সি) বিরোধী প্রতিবাদ দিবস পালন করুন
june

২৫ জুন এক প্রেস বিবৃতিতে সিপিআই(এমএল) রাজ্য সম্পাদক পার্থ ঘোষ বলেন, ১৯৭৫ সালের ২৫ জুন মধ্যরাতে জারি হল সেই কালা আদেশনামা ও ফরমান। তোড়জোড় চলছিল বেশ কিছু দিন ধরেই। ইন্দিরা গান্ধী, দেবকান্ত বড়ুয়া (তৎকালীন কংগ্রেস সভাপতি), রজনী প্যাটেল, সিদ্ধার্থশংকর রায়ের দুষ্ট চতুষ্ঠয়ের প্রত্যক্ষ নেতৃত্বে দেশের ঘনীভূত অর্থনৈতিক, রাজনৈতিক সংকট সমাধানে সম্পূর্ণ ব্যর্থ হয়ে শাসক শ্রেণী ও শাসক জোটকে রক্ষা করতে ইন্দিরা গান্ধীর নেতৃত্বাধীন কেন্দ্রের কংগ্রেস সরকার নামিয়ে আনলো এমার্জেন্সি তথা জরুরি অবস্থা। ভারতের সংবিধান, গণতন্ত্র, যুক্তরাষ্ট্রীয় কাঠামো সবকিছুকে নস্যাৎ করে শুরু হল রাষ্ট্রীয় সন্ত্রাস ও স্বৈরশাসন। জনগণের তীব্র গণতান্ত্রিক আকাঙ্ক্ষা ও লাগাতার আন্দোলনের চাপে স্বৈরাচার শেষ পর্যন্ত পিছু হঠেছিল।

বর্তমান ও ভবিষ্যতের গণতন্ত্র রক্ষার স্বার্থে আজও এই দিনটির কথা আমরা স্মরণ করি, এই দিনটির কথা জনগণের কাছে তুলে ধরি। আজ দেশজুড়ে শুরু হয়েছে ফ্যাসিস্ট হামলা। সংঘ পরিবারের প্রত্যক্ষ সহায়তায় ও পৃষ্ঠপোষকতায় কেন্দ্রের বিজেপি সরকার নামিয়ে এনেছে এই ফ্যাসিস্ট সন্ত্রাস। দলিত, সংখ্যালঘু জনগণকে মব লিঞ্চিং করে হত্যা করা, ছাত্র-যুব-মহিলা, সাংস্কৃতিক আন্দোলন, নাগরিক আন্দোলন ও প্রতিবাদের উপর নেমে এসেছে রাষ্ট্রীয় হামলা। ভীমা কোরেগাও থেকে এনআরসি, সিএএ, এনপিআর বিরোধী প্রতিবাদকারীদের উপর প্রয়োগ হচ্ছে কুখ্যাত কালাকানুন ইউএপিএ। যুদ্ধজিগির তুলে, উগ্রজাতীয়তাবাদের আবহাওয়ায় এই সন্ত্রাসকে লাগামহীন করে তোলার চেষ্টা হচ্ছে। ২০২০ সালের ২৬ জুন গণতন্ত্র বাঁচাও, সংবিধান বাঁচানোর শ্লোগানে রাজ্যজুড়ে এই দিনটি পালন করা হবে।

যে স্লোগানগুলি আমরা তুলে ধরব :
► করোনা সংকটকে কাজে লাগিয়ে সারা দেশে অঘোষিত জরুরি অবস্থা জারি করা চলবে না ।
► সংবিধান বাঁচাও, গণতন্ত্র বাঁচাও।
► সিএএ, এনপিআর, এন‌আরসি বিরোধী আন্দোলনকারীদের উপর রাষ্ট্রীয় দমন পীড়ন, বিনা বিচারে আটক রাখা চলবে না।
► বিনাবিচারে আটক রাখার স্বৈরাচারী আইন ইউএপিএ বাতিল করো।
► রাষ্টীয় দমন পীড়ন পুলিশী সন্ত্রাস বন্ধ করো।
► সমস্ত রাজনৈতিক বন্দীদের মুক্তি চাই।
► সীমান্ত সংঘর্ষ নয়, আলোচনার মাধ্যমে কূটনৈতিক সমাধান করো।
► আপৎকালীন পরিস্থিতির নামে শ্রমিক-কৃষক জনবিরোধী আইন লাগু করা চলবে না।
► ভারত চীন প্রকৃত নিয়ন্ত্রণ রেখায় বর্তমান পরিস্থিতি নিয়ে শ্বেতপত্র প্রকাশ করো।

খণ্ড-27