খবরা-খবর
দেশের সেনাদের মৃত্যু হচ্ছে, আর প্রধানমন্ত্রী মিথ্যা বলছে! লজ্জা! রাজ্যজুড়ে ধিক্কার!!
dea

চীন-ভারত প্রকৃত নিয়ন্ত্রণরেখায় সংঘাত ও ২০ জন ভারতীয় সেনার মৃত্যু প্রশ্নে দেশকে অন্ধকারে রেখে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী যেরকম বিভ্রান্তিকর ও ছলনাময় বক্তব্য রেখেছেন তাকে ধিক্কার জানিয়ে এবং নিহত সৈনিকদের প্রতি শোক জ্ঞাপন করতে সিপিআই(এমএল) কেন্দ্রীয় কমিটি ২২ জুন দেশজুড়ে শোক ও ধিক্কার দিবস পালন করে। সীমান্তে “সব ঠিক হ্যায়” বলে দেশের মানুষকে বিভ্রান্ত করা হচ্ছে কেন? দেশে করোনা সংকট, আর্থিক সংকটের সময়কালে নতুন করে কেন সীমান্ত সংকট সৃস্টি করা হচ্ছে? প্রধানমন্ত্রী মোদী বলছেন, চীন সীমান্তে কোনোরকম অনুপ্রবেশ হয়নি! তাহলে কোথায় কিভাবে আমাদের সেনারা মারা গেলেন? এই সমস্ত প্রশ্নগুলি তুলে ধরে রাজ্যের বিভিন্ন স্থানে এই কর্মসূচী পালিত হয়।

jda

কলকাতা

পার্টির রাজ্য দপ্তরের সামনে মৌলালি মোড়ে পোস্টার প্ল্যাকার্ড নিয়ে রাজ্য কমিটির বিভিন্ন সদস্য সহ জেলার অন্যান্য কর্মীরা শোক ও প্রতিবাদ প্রদর্শন করেন। সমগ্র বিষয়টি তুলে ধরে রাজ্য সম্পাদক পার্থ ঘোষ বক্তব্য রাখেন। সকালে বাঁশদ্রোণী মেট্রো স্টেশনের সামনে স্থানীয় ব্রাঞ্চের পক্ষ থেকে এই কর্মসূচী হয়। বিকেলে বেহালার কালিতলা ব্রাঞ্চের উদ্যোগে এবং সন্ধ্যায় যাদবপুর লোকাল কমিটির পক্ষ থেকে পালবাজার মোড়ে ও টালিগঞ্জ লোকাল কমিটির উদ্যোগে বাঘাযতীন মোড় ও আই-ব্লক মোড়ে মাইক সহ সভা হয় যেখানে পার্টির বক্তারা বক্তব্য রাখেন। মৌলালি ও বাঘাযতীনের প্রদর্শনে উপস্থিত ছিলেন জেলা সম্পাদক অতনু চক্রবর্তী।

dha

নদীয়া

ধুবুলিয়ার নেতাজী পার্কের জনবহুল এলাকায় শোক ও ধিক্কার সভা আয়োজিত হয় জেলা সম্পাদক সুবিমল সেনগুপ্তর নেতৃত্বে। বিভিন্ন বক্তারা বক্তব্য তুলে ধরেন যা বহু মানুষ আগ্রহ সহকারে শোনেন। গালোয়ান উপত্যকায় চীনের সাথে সংঘর্ষে হত ভারতীয় সেনাদের প্রতি শ্রদ্ধা জানানোর জন্য নীরবতা পালন করার সময় বহু সাধারণ মানুষ উঠে দাঁড়িয়ে অংশগ্রহণ করেন। যুদ্ধ উন্মাদনা সৃষ্টির বিরুদ্ধে, শান্তির স্বপক্ষে সভা সোচ্চার হয়ে ওঠে। জেলা সদর কৃষ্ণনগর শহরের কর্মীরা মিছিল করে বাসস্ট্যান্ডে যায় এবং সেখানে খালি গলায় প্রচার সভা করেন। বক্তব্য রাখেন জেলা নেতা অমল তরফদার। নবদ্বীপে অনুরূপ কর্মসূচীতে রেল হকার ইউনিয়নের কর্মীরাও অংশগ্রহণ করেন। চাকদা শহরে বিক্ষোভ কর্মসূচী সংগঠিত হয়, সেখানে ব্যাপক পোষ্টারিং করা হয়।

দার্জিলিং জেলা কমিটির পক্ষ থেকে শিলিগুড়ির হাসমি চকে প্রদর্শন হয়।

জলপাইগুড়ি কদমতলা বাস স্ট্যান্ডে শহর লোকাল কমিটির পক্ষ থেকে বিক্ষোভ প্রদর্শন করা হয়।

uttar

হুগলি

উত্তরপাড়া-রিষড়া এরিয়া কমিটির তরফ থেকে সংক্ষিপ্ত প্রতিবাদ সভা ও নীরব মিছিল সংগঠিত হয় কোতরং ২ নং কলোনি বাজার এলাকায়। মিছিলের শুরুতে রাজ্য সম্পাদক পার্থ ঘোষ ও শেষে এরিয়া কমিটির সদস্য সৌরভ রায় বক্তব্য রাখেন। হুগলির চার্চের মোড়ে, নিহত সৈনিকদের স্মরণে, নীরবতা পালন ও কালো ব্যাজ ধারণ করেন উপস্থিত মানুষেরা। চীনা দ্রব্য বয়কটের নামে খুচরো ব্যবসায়ীদের ওপর হামলার আশঙ্কা ব্যক্ত করে, মানুষকে এই কঠিন পরিস্থিতিতে ঐক্যবদ্ধ হবার আহ্বান জানানো হয়। পাণ্ডুয়া ব্লকের বৈঁচিতে পোস্টারিং করা হয়। বলাগড় ব্লকের গুপ্তিপাড়া ও ইছাপুর-বেলেডাঙা এই দুটি পার্টি ব্রাঞ্চের পক্ষ থেকে শোক দিবসের কর্মসূচী অনুষ্ঠিত হয়।

kal

পুর্ব বর্ধমান

কালনা ২নং ব্লকের অকালপৌষ গ্রাম পঞ্চায়েতের আগ্রাদহতে ৫০ জনের বেশি মানুষকে কালনা লোকাল কমিটির ডাকে জমা হয়ে শ্লোগান তোলেন। এক মিনিট নিরবতা পালন হয়। সভায় সমগ্র বিষয় তুলে ধরে বক্তব্য রাখেন রফিকুল ইসলাম। বর্ধমান শহর কমিটি, পূর্বস্থলী এরিয়া কমিটি, রায়নার শ্যামসুন্দর এলাকা ও মেমারীর নিমো এলাকায় অনুরূপ কর্মসূচীতে সামিল হন জেলার নেতৃবৃন্দ।

bara

উত্তর ২৪পরগণা

জেলা অফিস ছাড়াও জেলার বিভিন্ন প্রান্তে ২২ জুন কর্মসূচী পালিত হয়। বীজপুর, অশোকনগর চৌরঙ্গী মোড়, হালিশহর সরকার বাজার ও বারাসাত কোর্ট চত্তরে প্ল্যাকার্ড শ্লোগান সহ এই কর্মসূচীতে বক্তব্য রাখা হয়। পথচলতি মানুষ দাঁড়িয়ে শোনেন। জেলা সম্পাদক সুব্রত সেনগুপ্ত বীজপুর আঞ্চলিক কমিটি আয়োজিত প্রতিবাদ সভায় বক্তব্য রাখেন।

baj

দক্ষিণ ২৪ পরগণা

বজবজে বজবজ গ্রাম লোকাল কমিটি ও আইসা বজবজ জোনাল কমিটি যৌথভাবে কর্মসূচী পালন করে। বাখরাহাটে বিষ্ণুপুর-সাতগাছিয়া লোকাল কমিটির উদ্যোগে ধিক্কার কর্মসূচী চলাকালীন কেন্দ্রীয় কমিটির আহ্বান সম্বলিত লিফলেট এলাকার জনগণের মধ্যে বিলি করা হয়।

রাজ্যের এই কর্মসূচীগুলিতে শ্লোগানে ও বক্তব্যে যুদ্ধের বিরোধিতা, সীমান্ত সমস্যার কূটনৈতিক সমাধান দাবি এবং বিজেপি-আরএসএসের উগ্র জাতীয়তাবাদ ও চীনা পণ্য বয়কটের নামে মানুষকে ও খুচরো ব্যবসায়ীদের হুমকির বিরোধিতা জোরালোভাবে তুলে ধরা হয়।

খণ্ড-27