১২ জুন পূর্ব বর্ধমান জেলার মন্তেশ্বর থানার কুসুমগ্রাম বাজারে সারা ভারত কৃষক মহাসভা, ও সারা ভারত কৃষি ও গ্রামীণ মজুর সমিতির পক্ষ থেকে বিক্ষোভ মিছিল সংগঠিত হয়। ৫০ জনের বেশি মানুষ এই বিক্ষোভ মিছিলে সামিল হন। বিশেষ করে পরিযায়ী শ্রমিক যাদের বিভিন্ন প্রদেশে থাকাকালীন লকডাউন-এর সময় পার্টির উদ্যোগে সহযোগিতা করা হয়েছিল তাদের ভাল সংখ্যক অংশগ্রহণ গ্রহণ করেছিলেন। মিছিল বাজার পরিক্রমা করে জমায়েত হয়ে বক্তব্য রাখা হয়। খালি গলায় বক্তব্য রাখেন সারা ভারত কৃষি ও গ্রামীণ মজুর সমিতির জেলা সম্পাদক কমরেড আনসারুল আমন মন্ডল।
উপস্থিত ছিলেন সারা ভারত কৃষক মহাসভার জাতীয় কার্যকরী কমিটির সদস্য কমরেড সলিল দত্ত ও আর ওয়াইএর জেলা নেতা কমরেড সমির বসাক। বিক্ষোভ মিছিল মানুষের মধ্যে ভাল উৎসাহ সৃষ্টি করে। শেষে অত্যাবশ্যকীয় পণ্য আইনের সংশোধনী বিল পুড়িয় বিক্ষোভ দেখানো হল।
কালনা ২নং ব্লক-এর বৈদ্যিপুর বাস স্ট্যান্ড বাজারে শতাধিক লোকের মিছিল ও বিক্ষোভ সংগঠিত করা হল। মিছিল বাজার পরিক্রমা করে বাস স্ট্যান্ড-এ জমায়েত হয়। মিছিল সংগঠিত করেন এআইকেএম, আয়ারলা ও আদিবাসী অধিকার ও বিকাশ মঞ্চের পক্ষ থেকে। বিক্ষোভে বক্তব্য রাখেন সিপিআই(এম-এল) লিবারেশন এর কালনা লোকাল কমিটির সম্পাদক কমরেড রফিকুল ইসলাম। উপস্থিত ছিলেন আয়ারলা জেলা সভাপতি কমরেড হরেকৃষ্ণ ঘোষ, এআইকেএম এর জেলা কমিটির সদস্য কমরেড প্রদ্যুত ঘোষ ও আদিবাসী অধিকার ও বিকাশ মঞ্চের কমরেডরা।
অর্ডিন্যান্স পুড়িয়ে দেওয়ার মাধ্যমে কর্মসূচী সমাপ্ত হয় ।
হুগলীর পান্ডুয়া ব্লকের বেশ কিছু গ্রাম থেকে গরিব কৃষক ও শ্রমজীবী মানুষ দুর্যোগপূর্ণ আবহাওয়ার মধ্যেও আজ বিডিও অফিসে বিক্ষোভ কর্মসূচীতে সামিল হন। মজুতদারীকে বৈধতা দেওয়া, চুক্তি চাষের নামে কৃষিক্ষেত্রকে কর্পোরেটদের হাতে তুলে দেওয়া এবং অতিকায় খাদ্য ব্যবসায়ীদের হাতে ফসল কেনার দায় সঁপে দেওয়ার উদ্দেশ্যে কেন্দ্রের আনা অর্ডিনান্সের কপি জ্বালিয়ে দেওয়া হয়। অবশেষে অর্ডনান্সগুলি প্রত্যাহারের দাবি জানিয়ে প্রধানমন্ত্রীর উদ্দেশ্যে লেখা প্রতিবাদ পত্র বিডিওর হাতে তুলে দেওয়া হয়। বিডিওর নিকট একশ দিনের কাজের জব কার্ড সংক্রান্ত দুর্নীতির বিষয়,পঞ্চায়েতের উদ্যোগে তৈরি শৌচাগারের দুরবস্থা ইত্যাদি স্থানীয় সমস্যাগুলিও জানানো হয়। নিরঞ্জন বাগ, ইউসুফ মন্ডল, শিবলাল হাঁসদা, ময়না সরেন প্রমুখ কৃষক ও কৃষিমজুর নেতৃত্ব ডেপুটেশন টিমে ছিলেন।বিক্ষোভ কর্মসূচীতে আদিবাসী মহিলাদের অংশগ্রহণ ছিল চোখে পড়ার মতো ।
বলাগড়েও এই কর্মসূচী পালিত করে ও ডেপুটেশন দেওয়া হয়।
মুর্শিদাবাদ জেলার বহরমপুর শহরের টেক্সটাইল মোড়ে বিক্ষোভ প্রদর্শন করা হয়। এবং অর্ডিন্যান্স বিল পোড়ানো হয়। প্রচন্ড বৃষ্টির মধ্যেই কর্মসূচী কার্যকর করতে হয়। কর্মসূচী পরিচালনা করেন জেলা সম্পাদক কমরেড রাজীব রায়। উপস্থিত ছিলেন জেলা কমিটির সদস্য কমরেড অপুর্ব লাহিড়ী, বহরমপুর শহরের সম্পাদক কমরেড রবি মন্ডল, যুবনেতা মনভোলা চৌধুরী, বেলডাঙার কমরেড আবুল হোসেন, আয়ারলার রাজ্য সভাপতি কমরেড সজল পাল ও অন্যান্য কয়েক জন। তারপর এআইকেএম ও আয়ারলার পক্ষ থেকে প্রধান মন্ত্রীর উদ্দেশ্যে স্মারক লিপি জেলাশাসক মারফত পাঠানো হয়। এবং জেলাশাসকের উদ্দেশ্যে ও একটি স্মারক লিপি দেওয়া হল। জেলাশাসকের পক্ষ থেকে কেউই ডেপুটেশন গ্রহণ করেন নাই।দপ্তরে জমা দেওয়া হল ।
কৃষি বাণিজ্য অর্ডিন্যান্স ও অত্যাবশ্যকীয় পণ্য সংশোধনী বাতিলের দাবিতে নদীয়ার ধুবুলিয়ায় সুবিমল সেগুপ্তের নেতৃত্বে ও কৃষ্ণনগরে জয়তু দেশমুখ ও অন্যান্য কৃষক নেতাদের উপস্থিতিতে বিক্ষোভ কর্মসূচী পালিত হয়।
আয়ারলা ও এআইকেএম-এর পক্ষ থেকে হাওড়া জেলাশাসকে মেইল করে পাঠানো হয় ডেপুটেশন এবং বাগনানের বাঙ্গালপুর এলাকায় বিক্ষোভ দেখানো হয় স্থানীয় মানুষকে সঙ্গে নিয়ে। এআইকেএম-এর পক্ষে কমঃ দিলীপ দে আয়ারলার কমঃ সনাতন মনি ও নবীন সামন্ত বক্তব্য রাখেন।
দক্ষিণ ২৪ পরগণার বিষ্ণুুপুরে ডেপুটেশন সংগঠিত করা হয়। উপস্থিত ছিলেন কমরেড দিলীপ পাল।
জলপাইগুড়ি জেলায় কৃষক সমিতি ও আয়ারলার পক্ষ থেকে ঐদিন একই ইস্যুতে কর্মসূচী পালিত হয়।
বাঁকুড়ায় এই দাবিতে কৃষক সংগঠনের পক্ষ থেকে কর্মসূচী পালন করা হয়।
দাবিগুলি হল :