প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী তাঁর ১২ মে’র ভাষণে যখন কোভিড-১৯ মহামারীর সংকটকে একটা সুযোগ রূপে গণ্য করার জ্ঞানগর্ভ বাণী বিলোচ্ছিলেন এবং তার সাথে আত্মনির্ভরশীল ভারত নিয়ে তাঁর হালফিলের মন্ত্রণার রূপরেখাকে তুলে ধরছিলেন, তখন তিনি বেশ বড় একটা অঙ্কের উল্লেখও করলেন। তিনি ২০ লক্ষ কোটি টাকা (২৬৫ বিলিয়ন ডলার) বা ভারতের জিডিপি-র ১০ শতাংশের একটা প্যাকেজের ঘোষণা করলেন। এরপর পাঁচদিন ধরে অর্থমন্ত্রী নির্মলা সীতারামন ও তাঁর সহকারী অনুরাগ ঠাকুর (যিনি তাঁর গোলি মারো উক্তির জন্যই সমধিক খ্যাত) এই প্যাকেজের সবিস্তার বর্ণনা দিলেন। এবং তা একটা বড় প্রতারণা হয়েই দেখা দিল যার শিকার ভারত আগে আর কখনও হয়নি।
যদি অঙ্কগুলোর কথা ধরা হয় তবে এটা বিশাল আকারের পরিসংখ্যানগত একটা ধাপ্পা। গোটা পরিমাণটা শেষমেষ গিয়ে দাঁড়ায় ২০৯৭০৫৩ কোটিতে। এর মধ্যে ধরা রয়েছে ইতিপূর্বেই মার্চ মাসের শেষে সরকারের ঘোষণা করা ১৯২৮০০ কোটি টাকা (কর ছাড় ৭৮০০ কোটি, স্বাস্থ্য ক্ষেত্রে কোভিড ১৯-এর জন্য ১৫০০০ কোটির প্যাকেজ এবং প্রধানমন্ত্রী গরিব কল্যাণ প্যাকেজের ১৭০০০০ কোটি), এবং নীতির পরিমার্জনার মাধ্যমে আরবিআই-এর জোগানো ৮০১৬০৩ কোটি। অতএব পাঁচ দফায় ঘোষণা করা মোট প্রকৃত পরিমাণটা মোটামুটি হল ১১ লক্ষ কোটির বা মোদী ঘোষিত প্যাকেজের অর্ধেক।
ওই প্যাকেজের নির্দিষ্ট বিষয়গুলোর দিকে তাকালে দেখতে পাবেন আরও বড় ধাক্কা আপনার জন্যে অপেক্ষা করে আছে। আশু পরিপ্রেক্ষিতে সরকার নিজে ব্যয় করবে, প্যাকেজে বলতে গেলে সেরকম খুব একটা কিছু নেই। এর অনেকটাই হল ব্যাঙ্কগুলো যে ঋণ দেবে তার পরিমাণ, যার জন্য জামিনদার হবে সরকার। এরপর রয়েছে কর ফেরতের ১৮০০০ কোটি টাকা, যে টাকাটা সরকারকে করদাতাদের দিতে হবে, অথবা চালু প্রকল্পগুলোতে সরকারের দেয় টাকা, যেগুলোর কোনোটাকেই কোনো বিশেষ প্যাকেজ বলা যাবে না। বস্তুত, এ বছরের জন্য সরকারের নগদ ব্যয়ের পরিমাণ খুব বেশি হলে হবে ২.৪০ লক্ষ কোটি টাকা (কেউ কেউ আবার এই খরচের আনুমানিক পরিমাণটাকে মাত্র ১.৫০ লক্ষ কোটি টাকায় নির্দিষ্ট করেছেন)।
প্যাকেজের দাবি তা সমাজের প্রতিটি অংশ এবং অর্থনীতির সমস্ত ক্ষেত্রের স্বার্থকেই দেখেছে। তবে প্যাকেজ থেকে লক্ষণীয়ভাবে বাদ পড়েছে মোদী যেটাকে বলেছেন ‘জনসংখ্যার প্রাণবন্ত অংশ’ – ভারতের ছাত্র ও যুবক সম্প্রদায়। অন্যান্য বেশিরভাগ অংশগুলোকে ছুঁয়ে যাওয়া হলেও তাদের জ্বলন্ত এবং মূল দাবিগুলোকে এড়িয়ে যাওয়া হয়েছে। সরকার এতদিন সরাসরি সুবিধা হস্তান্তরের কথা বড়মুখ করে বলত। এখন যেটার দরকার তা হল – সমস্ত ক্ষতিগ্ৰস্ত পরিবারগুলোর কাছে অন্তত তিন মাস অথবা যতদিন লকডাউন চলবে ততদিন নগদ টাকা সরাসরি হস্তান্তর করা, কিন্তু প্যাকেজে এরকম কোনো সংস্থান নেই। প্যাকেজে অবশেষে রেশন কার্ড না থাকা জনগণের, বিশেষভাবে পরিযায়ী শ্রমিকদের সমস্যার কথা স্বীকার করা হলেও তা কিন্তু রেশনের সর্বজনীন লভ্যতার গ্যারান্টি দেয়নি। আর রেশনে যে পরিমাণ জিনিস দেওয়ার কথা বলা হয়েছে – মাথাপিছু ৫ কেজি দানা শস্য ও পরিবার পিছু ১ কেজি ডাল – সে সম্পর্কে যত কম বলা যায় ততই ভালো। পরিযায়ী শ্রমিকরা যাতে সস্তায় বাড়ি ভাড়া পেতে পারে, সে ধরনের প্রকল্প রূপায়ণের কথা প্যাকেজে বলা হয়েছে, কিন্তু পরিযায়ী শ্রমিকদের গুরুতর সংকট নিয়ে নীরবতা অত্যন্ত প্রকট ভাবে ফুটে উঠেছে, যে সংকট লকডাউন ঘোষণার সাথে সাথেই ফেটে পড়ে।
প্যাকেজের অংশ রূপে দুটো ঘোষণার ওপর জোর দেওয়া হয়েছে যেগুলো নাকি বিরাট পরিবর্তন এনে দেবে – একটা ক্ষুদ্র-ছোট-মাঝারি সংস্থাগুলো (এমএসএমই) সম্পর্কে এবং অন্যটা নতুন কেন্দ্রীয় আইনের অধীনে কৃষিপণ্যের অবাধ আন্তরাজ্য ব্যবসা নিয়ে। এমএসএমই-র সংজ্ঞাকে বিস্তৃত করে তার মধ্যে উৎপাদন ও পরিষেবা উভয় ক্ষত্রের সেই সমস্ত সংস্থাগুলোকে অন্তর্ভুক্ত করা হয়েছে যেগুলোতে বিনিয়োগের পরিমাণ ২০ কোটি এবং যাদের ব্যবসার বার্ষিক পরিমাণ ১০০ কোটি টাকা। বিস্তৃততর সংজ্ঞার অধীনে পড়া সংস্থাগুলোর জন্য ৩ লক্ষ কোটি টাকা ঋণ মঞ্জুর করা হয়েছে যে ঋণ নিতে গেলে কোনোকিছু বন্ধক দিতে হবে না, এবং এর মাধ্যমে ৪৫ লক্ষ সংস্থার সুবিধা হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে। কিন্তু এমএসএমই-গুলো বরং চায় সরকার এবং বেসরকারী ক্ষেত্রের কাছে তাদের পাওনা ৫ লক্ষ কোটি টাকা তারা মিটিয়ে দিক, যে বকেয়ার কথা কেন্দ্রীয় মন্ত্রী স্বয়ং নীতীন গডকড়িই স্বীকার করেছেন। এমএসএমই-দের অন্য দাবিটা হল লকডাউন পর্বে শ্রমিকদের দেওয়ার জন্য তাদের মজুরি সহায়তা দেওয়া হোক। কিন্তু এমএসএমই-দের যুক্তিযুক্ত দাবিকে মেনে নেওয়ার পরিবর্তে সরকার এখন চুপিসারে সেই নির্দেশিকাটাকেই তুলে নিয়েছে যেটাতে লকডাউন চলার সময় শ্রমিকদের মজুরি প্রদানকে বাধ্যতামূলক করা হয়েছিল। কৃষিপণ্যের আন্তরাজ্য অবাধ বাণিজ্যকে সক্ষম করে তোলার লক্ষ্যে যে কেন্দ্রীয় আইনের প্রস্তাব করা হয়েছে, সেটা বস্তুত ধনী চাষি এবং কৃষি বাণিজ্যে নিযুক্ত কর্পোরেট সংস্থাগুলোরই একটা বড় দাবি। কৃষক এবং ভাগচাষিদের দাবি বরং হল – সরকার এমন একটা দামে তাদের কাছ থেকে ফসল কেনা নিশ্চিত করুক যাতে চাষের খরচের অন্তত দেড়গুণ দাম পাওয়াটা সুনিশ্চিত হয়। প্রস্তাবিত নতুন আইন গোটা কৃষি অর্থনীতির উদারিকরণ ঘটাতে বড় ভূমিকা নেবে; এবং এর সাথে যদি কর্পোরেটদের জমি অধিগ্রহণকে সহজসাধ্য করে তোলার প্রস্তাবিত পদক্ষেপগুলোকে যোগ করা হয় তবে এর অর্থ হবে কৃষি জমিকে বড় আকারে ভিন্ন কাজে লাগানো এবং কর্পোরেট চাষকে এগিয়ে নিয়ে যাওয়া যেখানে কৃষক ক্রমেই আরও বেশি করে চুক্তি চাষিতে পরিণত হবে।
এই প্যাকেজের মধ্যে বেসরকারিকরণ এবং প্রত্যক্ষ বিদেশী বিনিয়োগে মদত দেওয়ার জন্য অন্যান্য পদক্ষেপের উল্লেখও রয়েছে, যথা, কয়লার বাণিজ্যিক খনন, বিদ্যুৎ ক্ষেত্র এবং বিমান বন্দরের বেসরকারিকরণ, প্রতিরক্ষা শিল্পগুলোতে প্রত্যক্ষ বিদেশী বিনিয়োগকে ৪৯ শতাংশ থেকে বাড়িয়ে ৭৪ শতাংশ করা, মহাকাশ গবেষণায় বেসরকারী ক্ষেত্রের অংশগ্রহণকে বাড়িয়ে তোলা, ইত্যাদি। পরিহাসের ব্যাপার হল, এই সমস্ত পদক্ষেপকেই আত্মনির্ভরশীল ভারতের মোড়কে পেশ করা হচ্ছে।
প্যাকেজ যেমন পরিসংখ্যানগত কারচুপি ও প্রতারণার অপরাধে কলঙ্কিত হয়েছে, তেমনি তা দুটি দিক থেকে সম্পূর্ণ রূপে ব্যর্থ বলেও দেখা দিচ্ছে। প্রথমত, ভারতকে কোভিড-১৯ চ্যালেঞ্জের মোকাবিলা করতে হলে যে সমস্ত জ্বলন্ত ইস্যুর সমাধান দরকার, প্যাকেজ সেগুলোর বিহিত করতে অস্বীকার করেছে। দ্বিতীয়ত, কোভিড-১৯ হানা দেওয়ার আগে থেকেই অর্থনৈতিক সংকোচন ও মন্দা ঘনিয়ে উঠছিল, এবং কোভিড-১৯ পরবর্তী পর্যায়ে তার আরও তীব্র হয়ে ওঠাটা অবধারিত বলে দেখা যাচ্ছে। প্যাকেজ এই গুরুত্বপূর্ণ বিষয়টির সমাধানেও ব্যর্থ হয়েছে। আমাদের মনে পড়ে যাচ্ছে, ২০১৯-এর মে মাসে ক্ষমতায় প্রত্যাবর্তনের পরপরই মোদী সরকার আগস্ট মাসে আরবিআই-এর উদ্বৃত্ত অর্থ থেকে বিশাল পরিমাণের ১.৭৬ লক্ষ কোটি টাকা নিয়েছিল, এবং এর প্রায় সবটাই বিপুল পরিমাণের কর ছাড়ের মাধ্যমে কর্পোরেট ক্ষেত্রকে বিলিয়ে দিয়েছিল।
জিডিপির সংকোচন অনিবার্য বলে যখন দেখা যাচ্ছে – জিডিপি-র ক্ষয় সুনিশ্চিতভাবে সম্ভবত ১০ শতাংশের বেশি হবে বলে পূর্বাভাস দেওয়া হচ্ছে – এবং মন্দাও অবধারিতভাবেই গভীরতর হতে চলেছে, তখন আয়ের ব্যবস্থা করে তার ভিত্তিতে চাহিদাকে বাড়িয়ে তোলার জন্য কিছু জরুরি পদক্ষেপেরই প্রয়োজন। ধনীদের ওপর কর বসানো এবং দরকার হলে টাকা ছাপানোর মতো পথে রাজস্ব বাড়িয়ে তুলে রাষ্ট্রের ব্যয়ের বৃদ্ধি ঘটানোটাই সংকট মোকাবিলার একমাত্র উপায় বলে দেখা যাচ্ছে। সরকার এ দুটোর কোনোটাই করছে না। বিদেশী বিনিয়োগ সহ বেসরকারি বিনিয়োগকে উৎসাহিত করা, শ্রম আইনগুলোর বিলোপ ঘটানো, পরিবেশের রক্ষাকবচগুলোকে দুর্বল করে তোলা এবং প্রাকৃতিক সম্পদ ও মানব শ্রমের ওপর কর্পোরেটদের অনায়াস ও বেশি মাত্রায় নিয়ন্ত্রণকে সহজসাধ্য করে তোলা – সরকারের পদক্ষেপগুলো এই লক্ষ্যেই চালিত হচ্ছে। সুবিশাল সংকটের বর্তমান সন্ধিক্ষণে এই ধরনের পদক্ষেপগুলো অবান্তর এবং সর্বনাশা বলেই প্রতিপন্ন হবে।
কোনো-কোনো ভাষ্যকার এই প্যাকেজকে মোদীর ১৯৯১-এর ক্ষণ বলে বর্ণনা করেছেন। এর মধ্যে দিয়ে তাঁরা সেই সময়ে নরসিমা রাও সরকারের দ্বারা অপ্রত্যাশিতভাবে উদারিকরণ, বেসরকারিকরণ ও বিশ্বায়নের অর্থনৈতিক নীতি গ্ৰহণের বিষয়টাকেই বুঝিয়েছেন, যে নীতি আমদানির দাম মেটানোর জন্য ভারতের বিদেশী মুদ্রার অপ্রতুলতার সমাধান রূপে গৃহীত হয়েছিল। সোভিয়েত ইউনিয়নের পতনের পরিণতিতে সেই সময়টা নয়া-উদারবাদী নীতিমালার তীব্রতর হয়ে ওঠার বিশ্বজোড়া লগ্নই হয়ে উঠেছিল। ওই নীতিমালার পরিণামে কল্যানমূলক পরিষেবা প্রদানের অর্থনৈতিক ভূমিকা থেকে জগৎ জুড়েই রাষ্ট্রের পশ্চাদপসরণ ঘটেছিল, আর দেখা গিয়েছিল একের পর এক দেশে তথাকথিত অবাধ ও অবারিত বাজারের জন্য বিশ্ব পুঁজির সম্প্রসারণবাদী বিপুল আগ্ৰাসী অভিযান। নাওমি ক্লেইন এটাকে সর্বনাশা পুঁজিবাদের শক থেরাপির তরঙ্গ বলে বর্ণনা করেছেন।
ভারত আজ মানবতার এক ভয়ঙ্কর সংকটে নিমজ্জিত, যেখানে অগ্রপশ্চাৎ বিবেচনা না করে সারা দেশে লকডাউন নামানোর ফলে দেখা দিয়েছে গণ ক্ষুধা ও শোচনীয় দারিদ্র এবং চরম অর্থনৈতিক নৈরাজ্য ও বিপর্যয়। এটা যথার্থই এক বৈশ্বিক সংকট যা বিশ শতকের প্রথমার্ধে সংঘটিত দুটি বিশ্ব যুদ্ধ প্রসূত ব্যাপক ক্ষয়ক্ষতির সঙ্গেই তুলনীয়। এই বিপর্যয় একদিক থেকে আবার আরও স্বতন্ত্র ও পরিব্যাপ্ত, কেননা আজকের এই অর্থনৈতিক সংকটের সঙ্গেই চলছে বিশ্বব্যাপী এক মহামারির প্রকোপ। এই মহামারি শুধু যে কর্পোরেট চালিত বিশ্বায়নের কাঠামোর সামনেই এক বড় প্রশ্নচিহ্নকে তুলে ধরেছে তা নয়, পুঁজিবাদের বুনিয়াদী সৌধ এবং যেভাবে তা জনগণ ও প্রকৃতির স্বার্থের চেয়ে মুনাফার ওপর অগ্ৰাধিকার দেয় ও তার পিছনে ছোটে, তাকেও এক বড় প্রশ্নের মুখে ফেলেছে। সারা দুনিয়াতেই জনগণ আজ চলতি অগ্ৰাধিকারগুলোকে পাল্টে দিয়ে জনস্বাস্থ্য, মানুষের বেঁচে থাকা এবং পরিবেশের সুরক্ষার প্রয়োজনগুলোকে অর্থনীতির কেন্দ্রীয় বিষয় করে তোলা নিয়ে চর্চা করছেন। এই সময়টাকে উদারিকরণ ও বেসরকারিকরণের ব্যর্থ এজেণ্ডাটাকেই আরও জোরদার করে তোলার একটা সুযোগ বলে বর্ণনা করা এবং তাকেই আবার ভারতের আত্মনির্ভতার উত্থান বলে অভিহিত করাটা এক গুরুতর অপরাধ ছাড়া অন্য কিছু নয়। ‘আত্ম নির্ভরশীলতার’ এই বাগজাল আসলে রাষ্ট্রের নিজের দায়ভার সম্পূর্ণরূপে পরিত্যাগ করাটাকে, নির্মম লকডাউন ও ক্রমবর্ধমান দুর্দশার কবলগ্ৰস্ত শতকোটির অধিক জনগণের বিপন্নতায় হাত গুটিয় থাকার ফিকিরকে কথার মারপ্যাঁচে ব্যক্ত করার এক কুৎসিত কসরত। এই প্যাকেজ প্রতারণা ও সর্বনাশের এক নির্ঘণ্ট; এই পথধারাকে পাল্টানো এবং এক বিকল্প প্যাকেজের জন্য আমাদের চাপ বাড়িয়ে চলতে হবে, যে বিকল্প প্যাকেজের মধ্যে থাকবে জনগণের আশু প্রয়োজন মেটানোর ঠিকানা এবং তা জনগণের দীর্ঘমেয়াদী স্বার্থকেও চরিতার্থ করবে।
(এম-এল আপডেট সম্পাদকীয়, ১৯ মে ২০২০)