সর্বভারতীয় স্তরে সারা ভারত কৃষি মজুর ও গ্রামীণ মজুর সমিতি এবং সারা ভারত কৃষক মহাসভা কৃষক ও গ্রামীণ মজুর এবং পরিযায়ী শ্রমিক জনগনের দাবি দাওয়া ও সমস্যা নিয়ে দেশব্যাপী উদ্যোগী হয়। লকডাউন-এর নিয়ম মেনে (মাস্ক পরা এবং শারীরিক দূরত্ব বজায় রাখা) এই ধরনের আন্দোলন বা কর্মসূচী করা নতুন নতুন অভিজ্ঞতাকে সামনে এনেছে। আমরা এই প্রোগ্রামে দেখলাম আসাম, এিপুরা, ছএিশগড়, অন্ধ্রপ্রদেশ, উত্তর প্রদেশ, মধ্যপ্রদেশ, হরিয়ানা, ঝাড়খণ্ড, তামিলনাড়ু, বিহার, বাংলা প্রভৃতি রাজ্যে সক্রিয়ভাবে উদ্যোগ গ্রহণ করেছে। পার্টির গড়ে তোলা দুটো কৃষক সংগঠনের নেতৃত্ব ও কর্মীবৃন্দ অল্প সময়ে পরিকল্পিতভাবে বিভিন্ন নতুন নতুন জায়গায় কর্মসূচী সংগঠিত করে। রিপোর্টগুলি বেশ উৎসাহ জনক।
আমরা দেখলাম আমাদের ঠিক করা দাবিগুলি ছাড়াও নতুন কিছু দাবি যুক্ত হয়। যেমন মধ্যপ্রদেশে বেশ কিছু জায়গায় আফিম চাষিদের, মালদা-মুর্শিদাবাদ পলুচাষির (রেশম) এবং চা পাতা চাষ করে তাদের দাবি-দাওয়াগুলি যুক্ত হয়ে পরে, তেমনি তার সাথে যুক্ত চাষিরাও এই আন্দোলনে সামিল হন। করোনাও লকডাউনের জন্য পরিযায়ি শ্রমিক, গ্রামীণ মজুর, কৃষক জনগন চরম দুর্বিষহ অবস্থার মধ্যে পড়েছে। পরিযায়ী শ্রমিকদের কাজ খাদ্য বাসস্থান নেই। তাদের অর্ধাহার অনাহারে দিন কাটাতে হচ্ছে। কৃষকরা তাদের উৎপাদিত ফসলের নায্য মূল্য পাচ্ছে না। তারাও সংকটে পড়েছে। যারা দেশের জনগণের খাদ্য তৈরি করে তারা আজ খেতে পাচ্ছে না। কাজ খাদ্য বাসস্থান থেকে কোটি কোটি মানুষ বঞ্চিত। এই কঠিন অবস্থায় কেন্দ্রীয় ও রাজ্য সরকারের ত্রান সামগ্রী খুব সীমিত। ক্ষোভ এর প্রকাশ ক্রমশ বাড়ছে। খুব স্বাভাবিক ভাবেই এই কর্মসূচীতে আমরা দেখতে পেলাম, জনগণের দাবি দাওয়া অবিলম্বে আশু সমাধান জরুরি। আমরা দেখতে পেলাম বাকুড়া, বর্ধমান, হুগলি, নদিয়া, বীরভূম, মুর্শিদাবাদ, দক্ষিন ২৪ পরগনা, মালদহ, দাজ্জিলিং, জলপাইগুড়ি, উত্তর ২৪ পরগনা, হাওড়া প্রভৃতি জেলার গ্রামাঞ্চলে কমরেডরা সাহসিক ও সৃজনশীল ভাবে কর্মসূচী সফল করেছেন। জনগণের অংশ গ্রহণের মধ্যেও উৎসাহ ছিল। এতে আমরা দেখলাম বর্ধমান, বীরভূম, হুগলি এই কয়েকটি জেলায় কাজের পুরনো জায়গা যুক্ত হয়েছে।
আসুন আমরা জনগণের এই ক্ষোভকে ব্লক ও জেলাশাসক-এর অফিসে পৌছে দিই জনগনের নায্য অধিকার আদায় করতে জনগণকে সামিল করি। লকডাউন উঠে গেলেই এই কাজে নেমে পড়তে হবে। বিজেপির ফ্যাসিবাদী রাজনীতিকে মোকাবিলা করেও রাজ্য সরকারের কাছে আমাদের দাবিকে জোরদার করি।
-- কার্তিক পাল