করোনা — এই ছোট্ট শব্দটি সারা বিশ্বে ভয়ঙ্কর ত্রাস সৃষ্টি করেছে। যেন তৃতীয় বিশ্বযুদ্ধ শুরু হয়েছে। এমন পরিস্থিতি সৃষ্টি হওয়া অমূলক নয় কারণ বিশ্বের উন্নত দেশগুলি গত পঞ্চাশ বছরে এইরকম ভয়াল সংক্রমণের মুখোমুখি হয়নি। এর কারণ বিশ্লেষণ করলে কয়েকটি অবাঞ্ছিত তথ্য বেরিয়ে আসে। সেগুলি হল :
১) চীনের ভূমিকা;
২) WHO-এর ভূমিকা;
৩) উন্নত দেশগুলির প্রতিবিধানমূলক পরিষেবার অভাব ও তথ্য বিশ্লেষণে গাফিলতি;
৪) ওষুধ বিক্রেতাদের অবাধ রাজনৈতিক প্রসাদ লাভ; এবং
৫) মহামারীটিতে ক্রমশ অবাধ রাজনৈতিক হস্তক্ষেপ ও তথ্য বিকৃতি।
চীনের উহান শহরে প্রথমবার রোগটির প্রসার শুরু হওয়া থেকে আজ পর্যন্ত এই ভাইরাসটির উৎপত্তির কারণ রহস্যময় হয়ে রইল। বাদুড় থেকে এটা মানুষের মধ্যে এসেছে নাকি কোনও ল্যাবরেটরি থেকে, এটা আমরা এখনও সঠিক জানি না। প্রাথমিক পর্যায়ে চীন এই গোপনীয়তা বজায় রেখেছিল এবং সামগ্রিকভাবে WHO-র নজরদারিও সেই সময় ছিল খুবই দুর্বল। তাছাড়া, এর আগের করোনা ভাইরাসঘটিত রোগগুলিরও উৎপত্তিস্থল ছিল চীন, তাই এবারেও সেখানে নজরদারি প্রখর রাখাই সঙ্গত হত। এরপর রোগটি বিশ্বের নানা জায়গায় ছড়িয়ে পড়লে WHO চীন থেকে অন্যান্য দেশে আন্তর্জাতিক বিমান চলাচলের ওপর নিষেধাজ্ঞা জারি করল। ভারতবর্ষ একই পদক্ষেপ নিল, তবে তা আরও অনেক পরে। এই ধরনের ভাইরাল রোগ যেন ছড়াতে না পারে, তার একটা মান্য কার্যপ্রণালী আছে WHO-র কাছেই, যা পূর্বের বার্ড ফ্লু, সোয়াইন ফ্লু, সার্স (SARS) ইত্যাদির পরিপ্রেক্ষিতে তৈরি হয়েছিল। এক্ষেত্রে তা মানা হল না।
প্রথম বিশ্বের দেশগুলিতে তাদের উন্নত পরিকাঠামো, শিক্ষাব্যবস্থা, নাগরিকদের মধ্যে বহুদিন ধরে গড়ে ওঠা সচেতনতা, স্বাস্থ্যবিধি এবং এই সমস্ত কিছুর সমন্বয়ে এক উন্নত জনস্বাস্থ্য ব্যবস্থা গড়ে উঠেছে। এই উন্নত জনস্বাস্থ্য তাদের ছোঁয়াচে রোগগুলি — অপেক্ষাকৃত অনুন্নত তৃতীয় বিশ্ব মূলত যেসব রোগে ভোগে — থেকে বাঁচিয়ে রেখেছিল। একই চিত্র দক্ষিণ পূর্ব এশিয়াতেও। এইসব দেশে জনস্বাস্থ্যের বিষয়টির ক্রমান্বয়ে গুরুত্ব হারানো এবং স্বাস্থ্যখাতে ব্যয়ের ক্রমহ্রাসের কুফল এখন ভোগ করতে হচ্ছে। ঠিক এইরকম অপ্রস্তুত অবস্থায় দাঁড়িয়েও এই রোগটির সংক্রমণের বিপদকে যে উন্নত দেশগুলি লঘু করে দেখেছিল তা ট্রাম্প, বরিস জনসন বা ইটালির প্রধানমন্ত্রীর কথা থেকে আমরা সবাই জানতে পেরেছি।
আগামী বছর ভারতবর্ষে নানা রাজ্যে নির্বাচন। মাত্র কিছুদিন আগে পর্যন্ত আমাদের দেশের রাজনৈতিক ও প্রশাসনিক কর্তারা নির্বাচন বা নির্বাচনী রাজনীতি নিয়েই ব্যস্ত ছিলেন। এনআরসি, শাহিনবাগ এগুলোই ছিল আমাদের দেশের প্রধান ইস্যু। করোনা যখন এ দেশে প্রথমবার প্রবেশ করল এবং সে খবর জানা গেল, তখন পূর্বতন সরকার যা যা ঠিক কাজ করেছিলেন, সেসব কিছুই অনুসরণ করা হল না। পরিবর্তে যা যা করা হল তা মোটের ওপর চীনের নকল। ICMR বা WHO এক্ষেত্রেও তাদের যথাযথ ভূমিকা পালন করলেন না। রাজ্যের ক্ষেত্রে দেখা গেল নামজাদা চিকিৎসকেরা হঠাৎ জনস্বাস্থ্য নিয়ে, মহামারীবিদ্যা নিয়ে নানা কথা বলছেন, যা তাঁদের এর আগের মহামারীগুলিতে কখনও বলতে শুনিনি৷ মহামারী-বিশারদেরা সেই পিছনের সারিতেই থেকে গেলেন। NICED, যারা আগের মহামারিগুলিতে ত্রাতার ভূমিকা পালন করেছিলেন, তারাও অপাংক্তেয় হয়ে রইলেন। রোগ ছড়িয়ে পড়ল সারা দেশে।
ভাইরাস যখন কোনও প্রাণীর মধ্যে আশ্রয় নেয় ও বংশবৃদ্ধি করে, চরিত্রগতভাবে তা সহজে বদলায় না। এর জন্য কোনও ভাইরাস সাধারণত প্রাণীদের থেকে মানুষে সংক্রামিত হয় না।
কিন্তু মানুষের কিছু বদ-অভ্যাসের দরুণ এইচআইভি-র ক্ষেত্রে প্রথম এই ধরনের সংক্রমণ দেখা গেল। ১৯৫৯ সালে, বেলজিয়ান কঙ্গোতে। তা সত্ত্বেও এই ধরনের ভাইরাসের সংক্রমণ সম্বন্ধে ১৯৮০ সালের আগে আমরা জানতে পারিনি। ১৯৮৬ সালে কেরল ও তামিলনাড়ুতে যৌনকর্মীদের মধ্যে প্রথমবার এইচআইভি সংক্রমণ ধরা পড়ে ও এইডস কথাটি ভারতবর্ষে প্রবেশ করে৷
এর বেশ কিছুদিন পর আমাদের রাজ্যে, শিলিগুড়িতে হঠাৎ বেশ কিছু মানুষ জ্বরে আক্রান্ত হলেন ও পরে এনকেফালাইটিস নিয়ে মারাও গেলেন৷ একে বলা হল ‘শিলিগুড়ি জ্বর’। ক্রমে এর কারণ হিসাবে জানা গেল একটি ভাইরাসের নাম — NIPHA — যা বাদুড় থেকে লিচুর মাধ্যমে মানুষে সংক্রমণ ঘটিয়েছে৷ সেটা ২০০১ সাল। এর পরে ২০০২-০৩ সালে সার্স, ২০০৭ সালে বার্ড ফ্লু, ২০০৯ সালে সোয়াইন ফ্লু এবং ২০১২ সালে মার্স (MERS)। এর সবগুলিই এই রাজ্যে বেশ ভালোভাবেই নিয়ন্ত্রিত হয়েছিল৷
যে রোগগুলির বিবরণ দিলাম, সেগুলির প্রাদুর্ভাব ঘটার সময় আমি স্বাস্থ্যবিভাগে কর্মরত, তাই এই রোগগুলির বিষয়ে কিছু প্রত্যক্ষ অভিজ্ঞতা আমার আছে।
NIPHA ভাইরাসের সংক্রমণ রোখার অভিজ্ঞতা হওয়ার পর এল সার্স, ওই চীন থেকেই। আমরা আমাদের চিকিৎসকের দল নিয়ে কলকাতা ও বাগডোগরা বিমানবন্দরে কড়া নজরদারি শুরু করলাম। এর আগে আমরা সকলের সঙ্গে আলোচনা করলাম — করপোরেশন, রেলওয়ে, এয়ারপোর্ট অথরিটি, প্রতিরক্ষা দপ্তর, বন্দর কর্তৃপক্ষ এবং এঁরা ছাড়াও Community Medicine-এর প্রধানদের সঙ্গে৷ NICED অবশ্যই সঙ্গে ছিল৷ ছিলেন বেলিয়াঘাটা আইডি-র সুপার (তখনও ওই প্রতিষ্ঠানটি মেডিকেল কলেজ-এ রূপান্তরিত হয়নি)। সকলে মিলে, রাজ্য সরকারের পদাধিকারীদের নেতৃত্বে একটা কার্যপ্রণালী তৈরি করা হল, যাতে সকলেই যথাযথ সাহায্য করার অঙ্গীকার করলেন।
এই মিলিত দল নিয়ে আমরা বিমানবন্দর, হাওড়া-শিয়ালদা স্টেশন এবং কলকাতা বা হলদিয়া পোর্ট ট্রাস্ট-এ নজরদারি করতাম। কারও জ্বর, সর্দিকাশি ইত্যাদি উপসর্গ থাকলে বা কোনও সংক্রামিত দেশ বা রাজ্য থেকে আসার ইতিহাস থাকলে তাকে সোজা আইডি হাসপাতালে পৌঁছনো এবং তার swab নেগেটিভ হলে ছেড়ে দেওয়া, পজিটিভ হলে চিকিৎসা করা — এই সমস্ত কাজের তত্ত্বাবধান করতাম। বলে রাখা ভালো, এই কাজে এমনকি শিলিগুড়ি জ্বরেও PPE-র অভাবের কথা কেউ বলেননি। জেলাগতভাবে একজন উচ্চপদস্থ স্বাস্থ্য আধিকারিক এক একটি জেলার দায়িত্বে থাকতেন — কর্মপ্রণালী মানা হচ্ছে কিনা তা নিশ্চিত করার জন্য৷ তখন সব নমুনা NICED-এ পাঠানো হত। এবং দরকার হলে সেখান থেকে পুনায়৷
এই রোগগুলির ইতিহাস খুঁজলে দেখা যাবে রোগ প্রতিরোধে পশ্চিমবঙ্গের স্থান ভারতবর্ষের প্রথম তিনটি রাজ্যের মধ্যেই ছিল। মৃত্যুহার ছিল স্বল্প। যদিও ওই রোগগুলির fatality বা মারণক্ষমতা ছিল ৫০%-এর কাছাকাছি৷ বার্ড ফ্লু-র সময়ে প্রাণীসম্পদ দফতর আমাদের সঙ্গে মিলিতভাবে কাজ করেছে। সারাদিনের তথ্য নিয়ে প্রতিদিন সন্ধ্যায় আমাদের বৈঠক হত এবং আগামী দিনের রূপরেখা তৈরি করা হত। একজন নির্দিষ্ট জনস্বাস্থ্য বিশেষজ্ঞ আধিকারিক দলের মুখপত্র ছিলেন — একমাত্র তিনিই সংবাদমাধ্যমের প্রতিনিধিদের কাছে প্রতিদিন নির্দিষ্ট সময়ে সমস্ত তথ্য দিতেন৷
পূর্বের এই অভিজ্ঞতা নিয়েই একইভাবে এবারেও রোগ প্রতিরোধ পরিকল্পনা করলে হয়তো ভালো হত। এইচআইভি সংক্রমণে প্রথমে র্যাপিড টেস্ট করা হত সন্দেহভাজনকে শনাক্ত করার জন্য। এবারেও তা করা যেত। NICED সাহায্যের হাত বাড়িয়ে বসে আছে। কয়েকদিন আগে NICED-এর অধ্যক্ষ প্রকাশ্যে বললেন, পরীক্ষা আরও অনেক বাড়া উচিত। তিনি আরও বললেন, লকডাউন এই সংক্রমণের প্রধান এবং একমাত্র হাতিয়ার মনে হতে পারে, কিন্তু একদিন না একদিন তা তুলতেই হবে৷ ভাইরাল রোগ সম্প্রদায়ের মধ্যে ছড়িয়ে পড়লে তার মারণক্ষমতা ক্রমশ হারায় ও জনজীবনে ভাইরাসের বিরুদ্ধে প্রতিরোধ ক্ষমতা গড়ে ওঠে। এর আগের মহামারীগুলি বায়ুবাহিত ছিল, সরাসরি বাতাসের মাধ্যমেই সংক্রমণ ছড়াত। কিন্তু তখন পৃথিবীর কোথাও লকডাউন করা হয়নি।
কোভিড অনেক বেশি সংক্রামক কিন্তু অনেক কম মারক, ধরা যাক, ২-৫%। তা হলে একে নিয়ে এত বেশি উদ্বেগের কারণ কী? আমাদের জনসংখ্যার প্রায় ৮% মাল্টিড্রাগ রেজিস্ট্যান্ট টিবি রোগে আক্রান্ত। টিবি বা যক্ষ্মা সবচেয়ে মারক রোগ। কিন্তু সেটা নিয়ে আমাদের, না রাজনৈতিক না প্রশাসনিক, এর কণামাত্র উদ্বেগ নেই। এমনকি চিকিৎসকেরাও একথা মানতে চান না৷ কোভিড নিয়ে আরও গবেষণা হবে, টীকা নিশ্চয়ই বেরোবে, কিছু চিকিৎসাও। কিন্তু এখন শুধু ভয় নয়, লোকলজ্জাও কাজ করছে। ঠিক যেমন কুষ্ঠ বা টিবি-র ক্ষেত্রে করে৷ একদল PPE-র অভাবের কথা বলছেন। কিন্তু PPE তো সকলের জন্য নয়। এই পোশাক সঠিকভাবে পরতে গেলেও ট্রেনিং দরকার। একজন ইন্টার্ন বা একজন জুনিয়র নার্স তা জানেন না।
এ ছাড়াও জেলা বা ব্লক স্তরে পঞ্চায়েতের সহযোগিতা নিয়ে নজরদারি দল গঠন করতে হবে৷ তাদের সকলকে ট্রেনিং দিতে হবে। এরপর জোনাল সমীক্ষা অর্থাৎ এক বা একাধিক রোগী যেখানে পাওয়া গেছে, সেখানে বাইরে থেকে কেউ এসেছেন কিনা তাদের চিহ্নিত করা ও পরীক্ষা করা আবশ্যক৷ এবং তার চারিপাশের কমপক্ষে ৫০০টি পরিবারে খোঁজখবর নেওয়া ও দরকার হলে পরীক্ষা করার ব্যবস্থাও করা দরকার।
WHO বললেন স্বাস্থ্য মানে অসুস্থতা বা পারগতার অভাব নয়, দেহে, মনে ও সামাজিক দিক থেকে সুস্থ থাকা। কোর কমিটি বললেন কুস্বাস্থ্যের কারণ দেশের অধিকাংশ জনসাধারণের দারিদ্র্য, অপুষ্টি ও অশিক্ষা৷ কিন্তু বিশেষজ্ঞরা এর নিদানে স্বাস্থ্যকেন্দ্র তৈরি করার কথা বললেন, যেখানে চিকিৎসা হবে, তার সঙ্গে সঙ্গে প্রতিরোধমূলক পরিষেবা ও স্বাস্থ্যের উন্নতি ঘটানোর চেষ্টা হবে। আমাদের দেশে জিডিপির এক নগণ্য অংশ স্বাস্থ্যখাতে ব্যয় হয়। শুধু তাই নয়, স্বাস্থ্যখাতে মোট ব্যয়ের ১০ শতাংশও জনস্বাস্থ্যের জন্য প্রকৃত অর্থে ব্যয় হয় না। একটা পরিসংখ্যান দেওয়া যাক — ১৯৫০ সালে সরকার স্থির করলেন এক লক্ষ লোকের জন্য ব্লক প্রাথমিক স্বাস্থ্যকেন্দ্র ও ৩০,০০০ জনের জন্য সহকারী স্বাস্থ্যকেন্দ্র তৈরি হবে৷ এখন পশ্চিমবঙ্গের জনসংখ্যা ১০ কোটির ওপর। তবু স্বাস্থ্যকেন্দ্র ৮০০-রও কম। আটের দশকে বলা হল ৫০০০ জনের জন্য (জনজাতি অধ্যুষিত পাহাড়ি দুর্গম জায়গায় ৩০০০ জনের জন্য) উপস্বাস্থ্যকেন্দ্র তৈরি করা হবে৷ সেখানে একজন ANM (Auxilliary Nurse Midwife) থাকবেন যিনি ওই গ্রামেরই একজন অবিবাহিত মেয়ে৷ রাজনৈতিক নেতারা এই নিয়োগ প্রক্রিয়ায় হস্তক্ষেপ করে সব ওলটপালট করে দিলেন৷ নদিয়ার মেয়ে গেল পুরুলিয়ায়, নেতার চিঠির দাপটে তার চাকরি হল। পরবর্তীতে ASHA (Accredited Social Health Activist) নির্বাচনেও সেই একই গল্প। এই কাজটাই কেরল, তামিলনাড়ু, মহারাষ্ট্র অন্যভাবে করল।
জনস্বাস্থ্যের সূচক ভালো হতে সময় লাগে। কিন্তু সরকার চান পাঁচ বছরের মধ্যে কিছু করে দেখাতে। মাত্র পাঁচ বছর জনস্বাস্থ্য সূচকের ক্ষেত্রে ভীষণ কম সময়। হয়ত তাই আমাদের দেশ ১৫ বছর বয়সিদের মধ্যে পৃথিবীতে সর্বাধিক অপুষ্টিতে ভুগছে। ICDS (Integrated Child Development Services) পরিষেবা বেশ কিছু দশক ধরে আমাদের দেশে থাকা সত্ত্বেও জনস্বাস্থ্য গবেষণাগার কোনও জেলাতেই গড়ে ওঠেনি। তাহলে কল্পিত লক্ষ্যে পৌঁছনো যাবে কী করে? সামাজিক ন্যায়, গরিবি হঠাও এসব শুধুই শ্লোগান হয়ে থেকে যায়৷
সবশেষে বলি, শত সমস্যা সত্ত্বেও আমাদের মতো দেশে এ জাতীয় সংক্রমণ রোধ করা কঠিন হলেও অসম্ভব নয়। তার জন্য আমাদের দৃষ্টিভঙ্গি পালটাতে হবে, রাজনৈতিক-সামাজিক দূরত্ব হটিয়ে হাতে হাত ধরে সংক্রমণ ঠেকাতে হবে। এবং তা সম্ভবও হবে। আমি আশাবাদী।
(লেখাটি চার নম্বর প্ল্যাটফর্ম নামক ই-ম্যাগাজিন থেকে গৃহীত)