২২ এপ্রিল কলকাতায় লেনিন মূর্তির পাদদেশে বামদলগুলির পক্ষ থেকে লেনিনের মূর্তিতে মাল্যদান করা হয়। সিপিআই(এমএল) লিবারেশনের পক্ষ থেকে মাল্যদান করেন বাসুদেব বসু।
সিপিআই(এমএল)-এর ৫১ তম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী ও কমরেড লেনিনের ১৫০ তম জন্মবার্ষিকীতে মৌলালিতে পার্টির রাজ্য অফিসের সামনের শহীদ বেদীতে স্থানীয় মানুষদের নিয়ে কর্মসূচী হয়। মাল্যদান করেন প্রবীর দাস, বাসুদেব বসু।
আইসা ও সিপিআই(এমএল)-এর উদ্যোগে ৫০ টি পরিবারকে খাদ্য সামগ্রী বিতরণ সহ করোনার সম্পর্কে সচেতনতা মূলক অভিযান চালানো হয় বেহালার সিপিআই(এমএল)-এর কালীতলা পার্টি অফিস সংলগ্ন অঞ্চলে। বেহালার রবীন্দ্রনগর অঞ্চলে দিনটি পালন করা হয় কমরেড চারু মজুমদার ও কমরেড সরোজ দত্ত এর মূর্তিতে মাল্যদান করে সমস্ত শহীদদের স্মরণ ও সংকল্প গ্রহণের মাধ্যমে। যাদবপুর-ঢাকুরিয়া লোকাল কমিটির পক্ষ থেকে পার্টির প্রতিষ্ঠা দিবস পালিত হয় লোকাল অফিসে পতাকা উত্তোলন ও শহীদ বেদীতে মাল্যদান করার মধ্য দিয়ে। ২২ এপ্রিলের পার্টির আহ্বান পাঠ করেন কমরেড জয়তু দেশমুখ। টালিগঞ্জ লোকাল কমিটির পক্ষ থেকে শপথ পাঠ ও সংকল্প গ্রহণ করে ২২ এপ্রিল পালিত হয়। সমস্ত কর্মসূচীতে স্থানীয় কমরেডরা সামিল হন শারীরিক দূরত্ব ও স্বাস্থ্য বিধি বজায় রেখে।
জেলা অফিস – ২২ এপ্রিল সকালে হুগলী ঘাটে জেলা পার্টি অফিসে কর্মসূচীর শুরুতে রক্ত পতাকা উত্তোলন করেন বর্ষীয়ান পার্টি সদস্য কমরেড মানিক দাশগুপ্ত, এরপর জেলা সম্পাদক প্রবীর হালদার সহ সকলে শহিদবেদী ও লেনিনের প্রতিকৃতিতে পুষ্প অর্পণ করেন। শহিদ স্মরণে এক মিনিট নীরবতা পালন করা হয়। এরপর কেন্দ্রীয় কমিটি প্রেরিত শপথ পত্রটি সম্মিলিতভাবে পাঠ করা হয়। লাউডস্পীকারে সাধারণ সম্পাদকের আহ্বানটি প্রচারিত হয়। সবশেষে ‘ভেদী অনশন মৃত্যু তুষার ও তুফান’ গানটির সঙ্গে উপস্থিত কমরেডদের গলা মেলানোর মধ্য দিয়ে কর্মসূচী সমাপ্ত হয়। পার্টি অফিস সংলগ্ন গরিব মানুষদের পরিবার সহ ৫০টি পরিবারের হাতে খাদ্য সামগ্রী তুলে দেওয়া হয়।
গ্রামাঞ্চল – পাণ্ডুয়া ব্লকের বৈঁচিতে লোকাল পার্টি অফিসে পতাকা উত্তোলন করেন কমরেড আব্দুল কাশেম এবং ২২ এপ্রিলের শপথপত্র পাঠ ও আলোচনায় অংশ নেন আদিবাসী ও কৃষিজীবি কয়েকজন কমরেড। পাণ্ডুয়ার সাঁচিতাড়া ব্রাঞ্চে পতাকা উত্তোলন ও শপথপত্র পাঠ হয়। বলাগড় ব্লকের গুপ্তিপাড়া ব্রাঞ্চের পক্ষ থেকে রক্ত পতাকা করেন ব্রাঞ্চ সম্পাদক কমরেড কীর্তিবাস বৈদ্য। এরপরে নীরবতা পালন এবং কেন্দ্রীয় কমিটির আহ্বানের শপথপত্র পাঠ করা হয়। মহিপালপুর লোকাল কমিটির পক্ষ থেকে ইটাগড় গ্রামের প্রাথমিক বিদ্যালয়ের মাঠে সকাল ৮টায় রক্ত পতাকা উত্তোলন করেন কমরেড সুভাষ বাউলদাস এবং ১ মিনিট নীরবতা পালনের পর শপথপত্র পাঠ করা হয়। ইছাপুর বেলেডাঙ্গা ব্রাঞ্চের পক্ষ থেকে বেলেডাঙ্গা গ্রামে পতাকা উত্তোলন করা হয় সকাল ৭টা ৩০ মিনিটে।পতাকা উত্তোলন করেন পার্টির ব্লক কমিটির সদস্য কমরেড শুকলাল মাণ্ডি। নীরবতা পালনের পর শপথপত্র পাঠ করা হয়। ধনিয়াখালির মল্লিকপুরে শহীদ স্মরণ ও কেন্দ্রীয় কমিটির শপথপত্র পাঠ করে আলোচনা হয়।
শহরাঞ্চল – চুঁচুড়ায় সংখ্যালঘু অধ্যুষিত খাগড়াজোল এলাকায় অসংগঠিত শ্রমিকদের নিয়ে গঠিত পার্টি ব্রাঞ্চে ২২ এপ্রিলের কর্মসূচী পালিত হলো। উপস্থিত কমরেডরা শহিদ স্মরণ ও কেন্দ্রীয় কমিটির শপথ পাঠ করেন। ভদ্রেশ্বরে চাঁপদানি এলাকায় অ্যাঙ্গাস ব্রাঞ্চের উদ্যোগে পতাকা উত্তোলন ও শপথবাক্য পাঠ করেন শ্রমিক কমরেডরা। পার্টির উত্তরপাড়া-রিষড়া এরিয়া কমিটির আহ্বানে এই কমিটির অধীনস্থ প্রায় সবক’টি ব্রাঞ্চের উদ্যোগে কোন্নগর ও হিন্দমোটরের মোট ৭ টি জায়গায় স্মরণ ও শপথগ্রহণ কর্মসূচী সংগঠিত হয়, যার মধ্যে ছিল – কোন্নগর হরিসভা, এলপুকুর, অরবিন্দ পল্লী, ২ নং কলোনি বাজারে পার্টি অফিসের সামনে, কোতরং বিধানপল্লী, হিন্দমোটর ইটখোলা মোড় ও দেশবন্ধু পার্ক এলাকা। এর মধ্যে বিধানপল্লী এলাকার কর্মসূচীতে বিশেষ অগ্রণী ভূমিকা রাখেন কমরেড দূর্গা রায়, কৃষ্ণা পাল, সীমা যাদব প্রমুখ, হিন্দমোটর ইটখোলা মোড়ের কর্মসূচী সামগ্রিক ভাবেই নির্মাণ শ্রমিক কমরেডদের পরিচালনায় হয় এবং কোন্নগর অরবিন্দ পল্লীতে কর্মসূচীটি হয় পার্টি পরিচালিত ত্রাণকেন্দ্রের সামনে, যেখান থেকে লকডাউনে বিপন্ন দরিদ্র পরিবারগুলির বাড়িতে খাদ্যসামগ্রী পৌঁছানো হচ্ছে।
বসিরহাটে পার্টির ৫১তম প্রতিষ্ঠা বার্ষিকী এবং কমরেড লেনিন-এর ১৫০ তম জন্ম বার্ষিকীতে প্রথমে প্রয়াত সাথী ও শহিদদের স্মরণে ১ মিনিট নীরবতা পালন করার পর শপথ পাঠ এবং কমরেড দীপঙ্কর ভট্টাচার্য-এর হোয়াটস অ্যাপের যুগে ‘হোয়াট ইজ টু বি ডান’ লেখাটি পাঠ করা হয়।
আইসা উত্তর ২৪ পরগনা জেলার পক্ষ থেকে লেনিনের সার্ধশত জন্মবার্ষিকী ও সিপিআই(এমএল)-এর ৫১তম প্রতিষ্ঠা বার্ষিকী পালিত হয় এবং কমরেডরা আজকের দিনটিকে স্মরণ করে একটি ভিডিও প্রকাশ করে।
গাইঘাটা ব্লকে ঢাকুরিয়া পার্টি অফিসে পার্টি প্রতিষ্ঠা দিবস পালন করা হয়।
খড়দায় কমরেডরা শপথ বাক্য পাঠ করেন।
বীজপুর পার্টি কমিটির পক্ষ থেকে আজ দাসপাড়া অঞ্চলে কমরেডরা মাঠে লাল ঝান্ডা হাতে জড়ো হয়ে শপথ পাঠ করেন।
বেলঘরিয়ায় লেনিনের ১৫০ তম জন্ম বার্ষিকী ও ৫১তম পার্টির প্রতিষ্ঠা দিবসে সিপিআই(এমএল)-এর জেলা কার্যালয়ে কর্মসূচী পালিত হয়। পতাকা উত্তোলন, প্রতিবাদী কর্মসূচী, কেন্দ্রীয় কমিটির আবেদন পড়া ও আলোচনা হয়। বেলঘরিয়া লোকাল কমিটির সম্পাদক কমরেড অশোক সাহা কোভিড ১৯ নিয়ে সহজ সাবলীল ভাষায় আলোচনা করেন।
বারাসাতে পার্টির উদ্যোগে উত্তর ২৪ পরগণা জেলা পরিষদ কার্যালয়ের সামনে মহামতি লেনিনের ১৫০ তম জন্মদিবস ও সিপিআই(এমএল)-এর ৫১ তম প্রতিষ্ঠা বার্ষিকীতে কর্মসূচী সংগঠিত হল যথাযোগ্য মর্যাদার সাথে সকাল ১০টায়। অনুষ্ঠানে শহীদবেদিতে মাল্যদান করেন পার্টির বারাসাত লিডিং টিমের সম্পাদক কমঃ দিলীপ দত্ত। ভারতবর্ষের বিপ্লবী বাম আন্দোলনের সকল শহীদদের প্রতি শ্রদ্ধা জানাতে ১ মিনিট নীরবতা করার পরে সংক্ষিপ্ত বক্তব্য রাখেন পার্টির উত্তর ২৪ পরগণা জেলা কমিটির সদস্য কমলেড নির্মল ঘোষ, বক্তব্য রাখেন রাজ্য নেতা তথা রাজ্য পার্টির বাংলা মুখপত্র ‘আজকের দেশব্রতী’ পত্রিকার সম্পাদক কমরেড অনিমেষ চক্রবর্তী। দেশজোড়া করোনাজনিত লকডাউনের পরিস্থিতিতেও স্থানীয় কমরেডদের উৎসাহ উদ্দীপনা ছিল লক্ষণীয়। পথচলতি সাধারণ মানুষকেও আজকের কর্মসূচী যথেষ্ঠ আকৃষ্ট করে।
নৈহাটি শহর আঞ্চলিক কমিটির উদ্যোগেও আজ ২২ এপ্রিল কর্মসূচী পালিত হয়। নৈহাটির শিবদাসপুর গ্রামে কমরেডরা রক্ত পতাকা উত্তোলন করে শপথ পাঠ করেন।
অশোকনগর পার্টি কার্যালয়ে ২২ এপ্রিল সকালে ৫১তম পার্টি প্রতিষ্ঠা দিবসের পতাকা উত্তোলন করা হয়। সন্ধ্যাবেলায় কমরেডরা আজকের দিনের তাৎপর্য নিয়ে ঘরোয়া আলোচনা করেন।
জগদ্দলের পার্টি কমরেডরা লকডাউনের মধ্যে বাড়ি থেকেই শপথ পাঠ করেন।
সিপিআই(এমএল) লিবারেশনের জেলা দপ্তরে লেনিনের ১৫০তম জন্মদিবস ও পার্টির ৫১তম প্রতিষ্ঠা দিবস উদযাপনে পার্টির আহ্বান ৫টি শপথ নিয়ে বক্তব্য রাখেন জেলা সম্পাদক কিশোর সরকার। রক্তপতাকা তোলেন কমঃ লক্ষিকান্ত অধিকারী। মাল্যদান, শ্লোগান ও শহীদ স্মরণের মধ্যে দিয়ে সভা শেষ করা হয়। বজবজ গ্ৰাম লোকাল কমিটিতেও যথাযোগ্য মর্যাদা ২২ এপ্রিল পালন করা হয়।
বালিতে জেলা অফিসে শারীরিক দূরত্ব বজায় রেখে পার্টি প্রতিষ্ঠা দিবস এবং লেনিন জন্মবার্ষিকী স্মরণে পাঠ করা হয় পার্টির ২২ এপ্রিলের আহ্বান। ঘোড়াঘাটা লোকাল কমিটির উদ্যোগে রক্ত পতাকা উত্তোলন, শপথ পাঠ ও শ্রমজীবী মানুষদের মধ্যে খাদ্যসামগ্রী বিলি করা হয়। জনগণের স্বার্থই পার্টির স্বার্থ; জেলার অন্যান্য এলাকার মতোই আজ পার্টি প্রতিষ্ঠাদিবসে বাঙালপুর-হাটুরিয়া লোকাল কমিটির সদস্যরা পৌঁছে গেলেন মানুষের কাছে। ত্রাণের খাদ্যসামগ্রী পৌঁছে দেওয়া হয় বাগনান রাজাপাড়া ও হাড়োপ শেখপাড়ায়।
২২ এপ্রিল সিপিআই(এমএল)-এর ৫১তম প্রতিষ্ঠা বার্ষিকীতে নবদ্বীপ শাখার পক্ষ থেকে পাঠচক্র সংগঠিত হয়। শারীরিক দূরত্ব বজায় রেখেই অংশগ্রহণ করেন স্হানীয় কমরেডরা। পার্টি প্রতিষ্ঠা দিবস পালিত হয় গাছা বাজার ও নোয়াপাড়া কালীনগর গ্রামে।
মুর্শিদাবাদ জেলা অফিসে পার্টির আহ্বান পাঠ ও সংকল্প গ্রহণের মাধ্যমে উদযাপিত হয় ২২ এপ্রিল।
মন্তেশ্বরে সিপিআই(এমএল) পার্টি অফিসে পার্টির প্রতিষ্ঠা দিবস ও কমরেড লেনিন-এর ১৫০তম জন্ম বার্ষিকী পালন করা হয় এবং শপথ পাঠ করা হয়।
বর্ধমান শহরে পার্টি প্রতিষ্ঠা বার্ষিকী পালন করা হয়। কমঃ কুনাল, শ্রীকান্ত, বাপন, হোসেন, শিবু, প্রাণ বল্লভ উপস্থিত ছিলেন। সকলেই আজকের দিনের প্রাসঙ্গিকতা নিয়ে কিছু আলোচনা করেন
বর্ধমান সদরের কামারকিতা ব্রাঞ্চে পার্টির প্রতিষ্ঠা বার্ষিকী পালন করা হয়। কমঃ সমীর, নারায়ণ, চাঁপা, লক্ষণ ও অন্যান্যরা উপস্থিত ছিলেন।
আজ করন্দায় পার্টির প্রতিষ্ঠা বার্ষিকী পালন করা হয়।
পার্টির ৫১তম প্রতিষ্ঠা দিবস পালিত হয় পূর্বস্থলীর মেড়তলা চন্ডীপুরে। প্রতিষ্ঠা দিবস পালন করা হয় ফলেয়া পার্টি অফিসে। এছাড়াও রায়না ও তিয়াগুলে পার্টি প্রতিষ্ঠা দিবস ও লেনিনের জন্মদিবস স্মরণ করা হয়।
বাবুরহাটে আলিপুরদুয়ার জেলা পার্টি অফিসে পার্টির ৫১তম প্রতিষ্ঠা দিবস ও কমঃ লেনিনের ১৫০তম জন্মবার্ষিকীতে রক্তপতাকা উত্তোলন করেন পার্টির জেলা কমিটির বর্ষীয়ান সদস্য কমঃ সুশীল চক্রবর্তী।উপস্থিত ছিলেন জেলা সদস্য কমঃ সুনীল রায় সহ অন্যান্য কমরেডরা।
শিলিগুড়িতে জেলা পার্টি অফিসে লেনিনের প্রতিকৃতিতে মাল্যদান এবং শপথ গ্রহণ করা হয়। শিলিগুড়ির শক্তিগড় ব্রাঞ্চে শহীদ স্মরণ ও শপথ গ্রহণ করা হয়।
ফাঁসিদেওয়া ব্লকের রাঙ্গাপানিতে পার্টি প্রতিষ্ঠা দিবস ও লেনিনের জন্মদিবসে পতাকা উত্তোলন ও শপথ গ্রহণ কর্মসূচী সংগঠিত হয়।
খড়িবাড়ী ব্লকের বিত্তানজোতে পার্টি প্রতিষ্ঠা দিবস পালন ও শপথ গ্রহণ। পতাকা উত্তোলন করেন নকশালবাড়ি আন্দোলনের শহীদ বাবুলাল বিশ্বকর্মকারের পুত্র বিভাস কর্মকার। শপথ পাঠ করান চানেশ্বর সিং। বক্তব্য রাখেন ব্লক সম্পাদক কান্দ্রা মুর্মু। উপস্থিত ছিলেন মীরা মাহালি, লাল সিং, রমু সিং প্রমুখ।
জলপাইগুড়ি পার্টি অফিসে পার্টি প্রতিষ্ঠা দিবস ও লেনিনের জন্মদিবসে শহীদ স্মরণ ও শপথ গ্রহণ করা হয়।
বাঁকুড়ায় সকাল ৭টায় হেলনা বিকেল ৫টায় নিকুঞ্জ পুর ছাতনার তিলাসোতা এবং বিষ্ণুপুরে পালন করা হয়। হেলনায় ৭ জন, বিষ্ণুপুরে ১৩ এবং নিকুঞ্জপুরে ১৭ জন তিলাসোতায় ৮ জন উপস্থিত ছিলেন। সব জায়গায় সাধারণ সম্পাদকের বক্তব্য শোনানো হয় এবং কেন্দ্রীয় কমিটির বক্তব্য পাঠ করা ব্যাখ্যা করা হয়। হেলনা এবং নিকুঞ্জপুরে ব্যাখ্যা করেন বাবলু ব্যানার্জী, তিলাসোতায় রামনিবাসএবং বিষ্ণুপুরে ফারহান। গত একমাসে জেলা পাটির যা ইতিবাচক কাজের অভিজ্ঞতা তুলে ধরা হয়। যেমন হেলনাতে বাসন শিল্পের সাথে যুক্ত ৩৪টি শ্রমিক পরিবারকে বিডিও নিজে এসে চাল দিয়ে যান এদের সবার কার্ড RKSY-২। এবং ষোলআনা কে কাজে লাগিয়ে ১৪৮ পরিবারকে চাল-আলু-কুমড়ো দেওয়া হয়। মে মাসেও দেওয়া হবে। বিষ্ণুপুরে পাটির পক্ষ থেকে ২০০-র বেশি পরিবারকে চাল দেওয়া হয়। ইন্দপুরে ৭ পরিবারকে বিডিও অফিস থেকে চাল দেওয়া হয়। বেলিয়াতোড় থানা থেকে কোষ্ঠিয়া অঞ্চলের ৩টি গ্রামের ৬৪টি পরিবারকে চাল, আলু আদায় করিয়ে দেওয়া হয়। বিশেষ ত্রাণের চাল তৃণমূল নিজেরা পাটি অফিস থেকে বিলি করছে। বাঁকুড়া-১ বিডিও-কে এই অভিযোগ করার পর কোষ্ঠিয়া পঞ্চায়েত আমাদের নেতৃত্বকে আজ ডাকেন, সেখানে তৃনমূলের নেতাদের উপস্থিতিতে আমাদের কৃষিমজুর নেতারা তর্ক করার পরে পঞ্চায়েত সচিব আমাদের তালিকা গ্রহণ করেন। এইসব শুনে উপস্থিত সমস্ত কমরেড খুশিী হন এবং করোনা পরিস্থিতিতে পার্টিকে আরো প্রাসঙ্গিক করে তুলতে এবং আন্দোলনমুখী করে তুলতে কিছু কর্মসূচী নেওয়া হয়। চার জায়গায় সরকারের ‘প্রচেষ্টা প্রকল্প’র ফর্ম বিভিন্ন গ্রামে ব্যাপক সংখ্যায় পুরণ করে জমা দেওয়া হবে। বিষ্ণুপুর এসডিও-কে ডেপুটেশন দেওয়া হবে। কেন্দ্রীয় কর্মসূচীর অংশ হিসেবে আগামী ২৭ এপ্রিল সকাল ৭টা থেকে ৯টা নিকুঞ্জপুর সবজি হাটে পোষ্টার ব্যানার সহ অবস্থান করা হবে ৪০ জনের উপস্থিতিতে। দাবি হল, রেশন কার্ড ছাড়াই প্রতি পরিবারকে মাসে ৫০ কেজি চাল দিতে হবে, সব গরিব পরিবারকে মাসে ১০০০০ টাকা ক্ষতিপূরণ দিতে হবে, চাষিদের কাছ থেকে সমস্ত ধরনের ফসল দেড়গুণ দামে কিনতে হবে, এবছর সব ধরনের চাষিদের বিনামূল্যে বীজ-সার-কীটনাশক ওষুধ, সেচের বিদ্যুৎ বা ডিজেল দিতে হবে।