18-10-2019
Kolkata

সেই দুঃস্বপ্নের দিনগুলি আবার ফিরে আসছে। দেশজুড়ে, রাজ্যজুড়ে। কখনও "আরবান নকশাল" বলে, কখনও "মব লিঞ্চিং এর বিরোধিতা" করে প্রধানমন্ত্রীকে প্রতিবাদপত্র  পাঠানোর জন্য দেশদ্রোহী আখ্যা দিয়ে মামলা দায়ের করা হচ্ছে। ফ্যাসিস্টরা গোটা দেশটাকেই জেলখানা বানাতে চায়।

সাংবাদিক সন্ময় বন্দ্যোপাধ্যায় বেশ কিছুদিন ধরে তৃণমূল সরকার ও তৃণমূল নেতাদের দূর্ণীতি, অগণতান্ত্রিক কার্যকলাপের ‌বিরোধিতা করে সামাজিক মাধ্যমে লেখালেখি করছেন। রাজ্যবাসী যুক্তি -বুদ্ধি অনুযায়ী তা গ্রহণ বা বর্জন করছেন। কিন্তু তৃণমূল সরকার বা তৃণমূল কংগ্রেস দলের গাত্রদাহ এতে বেড়ে যায়। তথ্য উদাহরণ দিয়ে তাকে নস্যাৎ করার পরিবর্তে তৃণমূল সরকার ও দল সন্ময়বাবুকে ভীতি প্রদর্শন শুরু করে।

দিনকয়েক আগে সন্ময়বাবুর পাণিহাটি আগরপাড়ার বাসভবনে পুলিশ মাঝরাতে হানা দেয়। সন্ময়বাবুকে না পেয়ে পুলিশ তাঁর প্রবীণ দাদা, বৌদিকে  হেনস্থা করে। এখানেই রাস্ট্রের সন্ত্রাস থেমে থাকেনি। তৃণমূল নেতা নেত্রীদের বিরুদ্ধে সামাজিক মাধ্যমে " কুৎসিত আক্রমণ" করছেন,এই অজুহাত তুলে রাজ্যের বিভিন্ন থানায় শাসকদল এফ আই আর দায়ের করে। পুরুলিয়ার কোন এক থানায় দায়ের করা এমনই এক এফ আই আর এর নামে পুলিশ গতকাল মাঝরাতে হানা দিয়ে  সন্ময়বাবুকে তাঁর আগরপাড়া পাণিহাটির বাড়ি থেকে তুলে নিয়ে যায়। মধ্যরাতে পুলিশের কড়া নাড়ার এধরনের ঘটনা জরুরী অবস্থার দিনগুলিতে আমরা অহরহ প্রত্যক্ষ করেছি।

অঘোষিত জরুরী অবস্থায় আজ আবার এরাজ্যে তা শুরু হচ্ছে। আমরা রাজ্য সরকার, রাজ্য পুলিশ প্রশাসনের এই স্বৈরাচারী আচরণের তীব্র বিরোধিতা করছি এবং অবিলম্বে বিনা শর্তে সন্ময় বন্দ্যোপাধ্যায়ের মুক্তির দাবি জানাচ্ছি। তৃণমূল সরকারের এই অগণতান্ত্রিক আচরণের বিরুদ্ধে  রাজ্যবাসী কে সোচ্চার হতে হবে।

পার্থ ঘোষ
সি পি আই (এম এল) লিবারেশন