18-10-2019
kolkata

বিজেপির নেতা -নেত্রীরা অশ্লীল, অশোভন, কুৎসিত ভাষায় কথাবার্তা বলতে অভ্যস্ত। এনিয়ে বিজেপির নেতা-নেত্রীদের মধ্যে প্রতিযোগিতা চলে। সকলেরই লক্ষ্য সংবাদ মাধ্যমে ভেসে থাকা। আর এর মাধ্যমে রাজনীতির পরিবেশ কে কলুষিত করার কাজটা তারা সযত্নে চালিয়ে যান।

সদ্য অর্থনীতিতে -নোবেল জয়ী অর্থনীতিবিদ অভিজিৎ বিনায়ক বন্দ্যোপাধ্যায়ের চিন্তা ভাবনা কে কেউ পছন্দ বা সমর্থন নাই করতে পারেন। ঐ চিন্তা ভাবনা কে কেউ "বামপন্থী"বলে নস্যাৎ ও করতে পারেন। এতে "অপরাধ" কিছু নেই। কিন্তু কেন্দ্রীয় মন্ত্রী পীযূষ গয়াল যে ভাষায় ও যে যুক্তিতে অভিজিৎ্ ব্যানার্জির চিন্তা ভাবনা নাকচ করলেন,তা হাসির উদ্রেক করে মাত্র। "গত লোকসভা নির্বাচনে "ন্যায় প্রকল্প " নস্যাৎ করার মাধ্যমে  জনগণ অভিজিৎ ব্যানার্জির চিন্তা ভাবনাকেও নাকচ করে দিয়েছে" বলে পীযূষ গয়ালের মন্তব্য নাগপুর স্কুলে শিক্ষিত ব্যক্তিবর্গরা বলতেই পারেন।

কিন্তু আর এস এস পাঠশালায় শিক্ষিত  রাহুল সিনহা যে ভাষায় অভিজিৎ বিনায়ক  ব্যানার্জিকে আক্রমণ করলেন, " নোবেল পুরস্কার পেতে বিদেশি বউ লাগে " তা শালীনতার সমস্ত সীমা অতিক্রম করে গেছে। নারীবিদ্বেষী , সামন্ততান্ত্রিক দৃষ্টিভঙ্গিতে লালিত -পালিত  বিজেপি নেতা রাহুল সিনহা বস্তুতঃ এস্টার ডাফলোকে কুৎসিত আক্রমণ করলেন। এজন্য আমরা ম্যাডাম ডাফলোর কাছে ক্ষমা চেয়ে নিচ্ছি। কিন্তু রাহুল সিনহার এই কুৎসিত নারীবিদ্বেষী সামন্ততান্ত্রিক মন্তব্যকে বাংলার মানুষ ক্ষমা করবে না। রাহুল সিনহাকে প্রকাশ্যে এই মন্তব্য প্রত্যাহার করে ক্ষমা চাইতে হবে।

পার্থ ঘোষ
সি পি আই (এম এল ) লিবারেশন